আলোর থেকে গতিশীল কোনো কিছু তৈরি করা কি সম্ভব! বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা - light of speed possible?

আলোর থেকে গতিশীল কোনো কিছু তৈরি করা কি সম্ভব! বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা - light of speed possible?

মানব জীবনের সভ্যতার যাত্রার শুরুতে চাকা আবিষ্কার আমাদের দ্রুত যাত্রার সূচনা হয়। জল, আকাশ, ভূমি সব ক্ষেত্রেই মানব জাতির পদাচল রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থায় দ্রুত করতে মানুষ কিছুই বাদ দেইনি, বিজ্ঞানীরা তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ দিয়ে যাত্রা দ্রুত করার চেষ্টা করছে। বিজ্ঞানীরা যুগে যুগে যাত্রা দ্রুত করার উদ্দেশ্যে অসংখ্য যন্ত্র-পাতি উদ্ভাবিত করেছেন। কিন্তু জয় করার নেশা মানুষকে ইচ্ছার কোন শেষ হয় না। মহাবিশ্বের সবকিছুর গতি সীমা রয়েছে যা প্রমান করেছেন বিজ্ঞানী আইনস্টাইন। 

আপেক্ষিকতার তত্ত্ব জন্য আলোর গতি যে কোনো কণার সর্বোচ্চ গতি হয়। বায়ু শূন্যের মধ্য দিয়ে আলোর যে দ্রুতি বা বেগ তাকে আলোর দ্রুতি বলে।  বর্তমানে গতির জন্য বর্তমান মানুষের আকাঙ্ক্ষা হল আলোর চেয়ে দ্রুত গতি কোন বাহন আবিষ্কার করা। প্রথম বারের মত ডেনিশ জ্যোতির্বিজ্ঞানী ওলে রোমার ১৬৭৬ সালে আলোর গতি পরিমাপ করেন। তাছাড়া আলোর গতি বিষয়ে অনেক বিজ্ঞানি অনেক গভেষনা করেন। তখন আলোর চেয়ে দ্রুত গতি কিছু আছে কিনা বা তৈরি করা যায় কিনা তা আবিষ্কার করার জন্য চেষ্টা করেন। সেই সময় বিজ্ঞানী আইনস্টাইন বলেছিলেন যে আলোর চেয়ে দ্রুত কোন কিছু গতি তৈরি করা সম্ভব নয়।  কিন্তু গবেষণা না থেমে কিছু বিজ্ঞানী পদার্থবিজ্ঞানকে সমর্থন না করে এখনও সেই মহাজাগতিক গতিসীমায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। 

ইউরোপীয় অপেরা টেস্ট দাবি করেন যে তারা গবেষণাগারে আলোর গতিকে অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছে। অপেরা টেস্টের বিজ্ঞানীরা দাবি করেন তারা নিউট্রিনো কণার গতি এক সেকেন্ডের ক্ষুদ্রতম ভগ্নাংশে আলো নির্গত করেছে। সেই কৃতিত্ব অল্প সময়ের জন্য সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ল। কিন্তু অপেরার গবেষণার ফলাফল দুর্ভাগ্যবশত দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। জার্মান এবং আমেরিকার কিছু বিজ্ঞানী প্রমান করেছেন অপেরা ভুল টেস্টে করেছে, তাদের নিউট্রিনো কণা জিপিএস সিস্টেমের সাথে ত্রুটিপূর্ণ সংযোগের কারণে ভুল গতি পরিমাপ করেছে। আমরা জানি, কোনও বস্তুর বাড়াতে ঐ বস্তুর উপর বল প্রয়োগ করতে হয়। লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার এখন পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী কণা এক্সেলেরেটর। 

এটি প্রোটনগুলিকে সর্বাধিক গতিতে ভ্রমণ করতে সহায়তা করে। তবে আলোর গতি থেকে বেশি নয়। আলোর থেকে বেশির জন্য অব্যশই কণার প্রভাব শক্তিশালী করতে হবে যার শক্তি হতে হবে অসীম। যা আমাদের পক্ষে প্রাইয় অসম্ভব। বিজ্ঞানীরা বহু বছর যাবৎ ধরে আলোর থেকে গতিশীল কোনও কিছু পাওয়া যায় কিনা তার আবিষ্কার করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু প্রতিবারই ফলাফল ব্যর্থতা হচ্ছে জিতে যাচ্ছে আলোর গতি। সার্বজনীন গতিসীমা হচ্ছে, আলোর গতি যা মৌলিক। স্থান এবং সময় একই বিন্দুর ভিতরে অবস্থা নের কারনে আলোর গতি সর্বচ্ছ| 

শূন্যে স্থানে আলোর গতি ৩০০,০০০০ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ড। অর্থাৎ ১৮৬,০০০ মাইল প্রতি সেকেন্ড আলো অতিক্সম করে যার থেকে দূত কোনও কিছু হওয়ায় সম্ভব নয়। আবার অনেকেই মনে করেন অন্ধকারের গতি বেশি, কারন তারা বিহীন রাতে যতদূর চোখ যায় অন্ধকার থাকে। যা ভুল কারন আলোর অনুপস্থিতি কেই অন্ধকার বলে। অর্থাৎ ভৌত বস্তুর জন্য সেই আলো দ্রুততম গতিতে যায়। যেহেতু আলো নিভে গেলে অন্ধকার ফিরে আসে তাই অন্ধকারের গতি আলোর গতির সমান। এখন কেউ যদি আলোর থেকে বেশি দ্রুত কিছু তৈরী করতে চান তাহলে তাকে অসীম শক্তি প্রয়োগ করার জন্য কিছু তৈরী করতে হবে এবং স্থান ও সময় এক বিন্দু থেকে বিভক্ত করতে হবে যা ফিজিক্স এর ভাষায় প্রায় অসম্ভব। তাছাড়া আলোর গতিতে ভ্রমণ সময় মানুষের পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। আমরা যদি আলোর বেগে চলতে পারি তবে আমার টাইম ট্রাভেলও করতে পারব। একজন মানুষ গড় সর্বাধিক জি-ফোর্স সৈয্য করতে পারবে প্রতি মিনিটে ১৬ গ্রাম(১৫৭ মিটার/ সেকেন্ড)। তাছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তির উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ত্বরণ সহ্য করার ক্ষমতা রাখে।