এবার কমান্ড চলবে হাতের ইশারাই - Typealik

এবার কমান্ড চলবে হাতের ইশারাই - Typealik

বর্তমান এ প্রযুক্তি যুগে দিন দিন বহু আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স  আমরা দেখছি। ভবিষ্যতে যার ব্যবহার আরো বাড়বে। দিন যত বাড়বে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কোড গুলি এক সময় বিনা মূল্যে বিতরণ করা হবে। তখন এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রোডাক্ট আরো সস্তা হবে। বর্তমানে আমরা উন্নত জীবনের মধম স্থানে রয়েছি, ভবিষ্যতে এই পৃথিবী কত উন্নত হবে তা সম্পকে আমাদের কারোরই ধারণা নেই। একসময় পাইথন প্রোগ্রাম অচল ছিল তখন প্রোগ্রামমাররা সি বা জাভা দিয়ে বেশি কাজ করতো। কিন্তু সময়ের সাপেক্ষে সি প্রোগ্রামের কাজ প্রায় কমে গেছে এবং জাভা তার আগের জায়গাতে থাকলেও ডিমান্ড বাড়ছে পাইথন প্রোগ্রামের। সকল ধরণের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর কাজ হয় এই প্রোগ্রাম ধারা। সহজ, সরল ভাষা হওয়ায় সিনটেক্স ত্রুটি এর জটিলতাও কম।  তাই এই ভাষা ব্যবহার করে প্রোগ্রামাররা আনলো নতুন এক প্রযুক্তি। 

প্রোগ্রামাররা কম্পিউটারে কমান্ড চালানোর জন্য নতুন একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করছেন যা হাতের অঙ্গভঙ্গি ব্যবহার করে। একটি সাধারণ ল্যাপটপের ওয়েবক্যামের মাধ্যমে টাইপএলাইক নামক যন্ত্র লাগাতে হয়। টাইপএলাইকের প্রোগ্রামটি ওয়েবক্যামের মাধ্যমে কীবোর্ডের পাশে বা কাছাকাছি ব্যবহারকারীর হাত চিনে হাতের ক্রিয়াকলাপ অবস্থানের উপর ভিত্তি করে আউটপুট দেখায়। যেমন ব্যবহারকারী কিবোর্ডের পাশে আঙুল দিয়ে উপরে উঠালে টাইপএলাইকের প্রোগ্রামটি এটিকে ভলিউম বাড়ানোর জন্য মনে করবে। বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে প্রোগ্রামটি ঐ পরিসর অনুযায়ী আউটপুট দিবে। ব্যবহারকারীর কীবোর্ড শর্টকাটের কীবোর্ড শর্টকাটের প্রয়োজনীয়তা কমানোর, সময় বাঁচাতে এবং মানব সভ্যতা আরো উন্নত ও গতিশীল করতে কম্পিউটার ইন্টারঅ্যাকশনের উদ্ভাবন করা হয়। প্রোগ্রামাররা প্রথমে ভেবেছিলেন ওয়েবক্যাম ব্যবহার করে নতুন উপায় তৈরী করা যেহুতু ওয়েবক্যামটি মুখ এবং হাতের আশেপাশে অংশটি নিয়ে ফোকাস করে কিন্তু এইখানে তেমন হাতের ব্যবহার থাকে না তাই তারা চিন্তা করে হাতের অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে কম্পিউটার চালনা করা। টাইপএলাইক প্রোগ্রামটি লেখার জন্য প্রোগ্রামমাররা মেশিন লার্নিং ব্যবহার করেছিলেন। ওয়েবক্যামটির সাথে একটি ছোট যান্ত্রিক সংযুক্তি লাগানোর পর তা হাতের দিকে নাড়ানোর নিদেশ বুজার চেষ্টা করে। সফ্টওয়ারটি এরূপ চিন্তায় বানানো হয়েছিল যে কোনও ব্যবহারকারী এটি ব্যবহার করতে পারে। এটি তৈরিতে প্রোগ্রামামরদের প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছে। তারা একটি নিউরাল নেটওয়ার্ক তৈরী করেছে এবং তাতে বিভিন্ন ভাবে অ্যালগরিদম তৈরী করেছেন কারণ তারা জানে সব মানুষ এক ভাবে  অঙ্গভঙ্গি করে না। এক একজনের অঙ্গভঙ্গি এক এক রকম হয় তাই তারা বিভিন্ন মানুষের উপর এর পরীক্ষা নিয়ে প্রচুর ডেটা সংগ্রহ করে। এই টাইপএলাইক প্রোগ্রামটি তৈরী করতে প্রচুর স্বেচ্ছাসেবক তাদের সাহায্য করেছে। তারা প্রায় ৪০-৫০ জন মানুষের উপর এ পরীক্ষা চালায়। তারা দেখে তাদের হাতের অঙ্গভঙ্গির কিরূপ পরে সেগুলো ডাটাবেস রেকর্ডে জমা রাখা হয় এবং সেরূপ অনুযায়ী যত টা সম্ভব কার্যকরী প্রোগ্রাম তৈরী করা যায়। এটি তৈরী তে অধ্যাপক ড্যানিয়েল বলেন, আমরা মানুষের জন্য এমন জিনিস তৈরি করার চেষ্টা করি যা মানুষের পক্ষে ব্যবহার করা সহজ লভ্য। দিন দিন মানুষ আর কম্পিউটারের সম্পক বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই মানুষ যাতে Typealik এর মতো আরো নতুন নতুন প্রযুক্তি দেখতে পাই যা আমাদের মূল লক্ষ্য। আমরা এমন প্রযুক্তি তৈরি করতে চাই সব সময় যা সহজবোধ্য, কিন্তু এসব প্রযুক্তি তৈরি করতে অনেক জটিল গবেষণা, সফটওয়্যার এবং সময়ের প্রয়োজন হয়। তারা সামনে টাইপলাইক প্রোগ্রামের আরো উন্নত সংস্করণ তৈরী করার চেষ্টা করবে যাতে হাতের অঙ্গভঙ্গি প্রয়োজন আরো কম হয়। এই প্রযুক্তি আমাদের ভবিষ্যতে উন্নতির একটি প্রথম ধাপ। Typealik  আমাদের জীবন গতিসীমাকে আরো বাড়িয়ে তুলবে। আমরা হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে কম্পিউটারকে সম্পূর্ণ কন্ট্রোল করতে পারবো। আগে আমরা শুধু মাত্র কীবোর্ড দিয়ে কম্পিউটারকে নিয়ন্ত্রণ করি পরে মাউস আমাদের আরো সহজ করে দেয়।  এখন ভয়েস কম্যান্ড আর হাতের ইশারাই কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ আরো সব কিছু সহজ হয়ে যাবে।