চোখ ওঠার লক্ষণ প্রতিকার এবং ঘরোয়া ও ডাক্তারি চিকিৎসা

চোখ ওঠার লক্ষণ প্রতিকার এবং ঘরোয়া ও ডাক্তারি চিকিৎসা

আবহাওয়ার পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রকোপ বাড়ছে কনজাংটিভাইটিস বা চোখ উঠা। এটি ভাইরাসজনিত একটি সংক্রামক রোগ। তাই আক্রান্ত ব্যক্তির স্পর্শ, হাঁচি কাশি, এমনকি একই পানির গ্লাস ব্যবহারের ফলে চোখ উঠতে পারে। কিন্তু বেশির ভাগ সময় দেখা যায় পরিবারের কেবল একটি সদস্যই কেবল অসুস্থ বাকি সদস্যরা সম্পূর্ণ সুস্থ। চোখ উঠা কোনো বড় বা স্থায়ী রোগ নয়। আক্রান্ত হওয়ার ১০-২০ দিনের মধ্যেই রুগী আপনাআপনি সুস্থ হয়ে উঠে। তবে চোখ উঠলে রুগীর খুব কষ্ট হয় তাই কষ্ট লাঘব করার জন্য কিছু আলোচনায় আজকের মূল বিষয়।
 

চোখ উঠার লক্ষণ 

১। চোখ উঠলে এক চোখ বা দুটি চোখই লাল হয়ে যায়। 
২। চোখে খচখচ ময়লা পড়েছে এমন মনে হয়।
৩। চোখ থেকে পানি পরতে থাকে। 
৪। আলোর দিকে তাকানো যায় না। তাকালে চোখ নিবে যায় ও পানি পরে চোখ থেকে। 
৫। ঘুম থেকে উঠলে দেখা যায় চোখের পাতা একসাথে লেগে পুঁজের মতো জমা হয়ে থাকে। 
৬। চোখ প্রচন্ড চুলকায় ও জ্বালাপোড়া করে। 
৭। চোখ ব্যাথা ও সব কিছু জাপ্সা মনে হয়।    

 

এই রোগের ডাক্তারি চিকিৎসা

এটি একটি ভাইরাস জনিত সংক্রামক রোগ। তাই চোখে অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ক্লোরামফেনিকল দৈনিক তিন বার ১ ফোটা করে ব্যবহার করতে পারেন। আর যদি চোখ প্রচুর পরিমানে চুলকায় তাহলে অ্যান্টিহিস্টামিন ব্যবহার করতে পারেন। তবে অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ ও অ্যান্টিহিস্টামিন অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু চোখ উঠা নিয়ে কোনো ঔষুধ বা ড্রপ ব্যবহার না করাই উত্তম সতর্কতা অবলম্বন করলেই এ রোগ থেকে বাঁচা যায়।  
 

চোখ উঠা করনীয়

১। প্রতিদিন ২-৩ ঘন্টা পর পর পরিষ্কার পানি দিয়ে চোখ পরিস্কার করা। 
২। চোখের ভিতরে ময়লা জমলে পরিষ্কার কাপড় বা পানি দিয়ে ময়লাটি বের করে ফেলতে হবে। মনে রাখতে হবে কোনো মতেই যেন চোখে হাত না লাগে। 
৩। কালো চশমা রোদ কুপরিবাহী তাই দিনে বা বাইরে কালো চশমা পড়লে আরাম পাওয়া যায়। 
৪। একজনের রুমাল বা গামছা অপরজন ব্যবহার করবেন না। 
৫। যে সকল ছাত্র ছাত্রীর চোখ উঠেছে তাদের স্কুল কলেজে না যাওয়ায় উত্তম তবে পরীক্ষা থাকলে চশমা পরে এবং লোকসমাগম থেকে দূরে থেকে যেতে হবে। 
৬। চোখ উঠা আক্রন্ত ব্যক্তি সর্বদা কারোর সঙ্গে স্পর্শ থেকে বিরত থাকতে হবে। 
৭। চোখ উঠলে চোখ চুল্কাবেই তাই কখনও তা চুলকানি যাবে না এতে চোখ আরো লাল ও আরো খারাপ অবস্থা হয়ে যেতে পারে। 

 

কখন ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন ?

১। আপনার চোখ যদি ফুলে যায়। 
২। চোখ অতিরিক্ত লাল হয়ে গেলে।
৩। চোখ দিয়ে কোনো কিছু প্রচুর পরিমানে জাপ্সা দেখলে। 
৪। অথবা যদি আপনার চোখ উঠা ১৫ দিনের মধ্যে না কমে তাহলে চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন।
 
 
click-here-worldtimetech-health
চোখ উঠা করনীয়, চোখ ওঠার ঔষধ, চোখ ওঠার ঘরোয়া চিকিৎসা, চোখ উঠার ড্রপ, চোখ উঠলে ঔষধ, চোখ উঠার লক্ষণ, চোখ উঠার কারণ, চোখ উঠলে করণীয়, চোখ উঠলে করণীয়, চোখ উঠলে কি করবো, চোখ উঠা রোগের চিকিৎসা, চোখ উঠলে যা করবেন, চোখ উঠলে করনীয়, চোখ উঠার চিকিৎসা, চোখ ওঠা, চোখ উঠলে চিকিৎসা, চোখ উঠা, চোখ উঠলে কি করনিয়, চোখ উঠলে কি করণীয়, চোখ উঠলে কি করতে হয়, চোখ ওঠার কারণ, চোখ ওঠা রোগ হলে যা করবেন, chokh utha rog, chokh utha treatment, chokh uthar karon, chokh utha disease, chokh uthar lokkhon