টঙ্গাবাড়ি বঙ্গবন্ধু সড়কে জুতার কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড একজন পুরুষ এবং দুইজন নারী কর্মী নিহত

টঙ্গাবাড়ি বঙ্গবন্ধু সড়কে জুতার কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড একজন পুরুষ এবং দুইজন নারী কর্মী নিহত

টঙ্গাবাড়ি বঙ্গবন্ধু সড়কে জুতার কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। একজন পুরুষ এবং দুইজন নারী কর্মী নিহত 
সাভারের আশুলিয়ায় এক প্রাইভেট জুতা কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের এক বিশাল ঘটনা ঘটেছে। তিনজন অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে সাথে সাথে মারা গিয়েছেন(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বুধবার ২৩ শে ফেব্রুয়ারী বিকেল ৫টার সময় জুতার কারখানায় আগুন লাগে। এটি আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি বঙ্গবন্ধু সড়কে জুতার কারখানাটি অবস্থিত। এক ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট আগুন নিভাতে সক্ষম হন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন পুরুষ এবং দুইজন নারী কর্মী ছিল। আগুন লাগার প্রায় এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে আসে তাদের সাতটি ইউনিটের যৌথ চেষ্টাই ১ ঘন্টার ভিতরেই গুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কারখানার ভেতর হটাৎ করে বিকেলে প্রচুর পরিমানে ধোঁয়া বের হতে থাকে এবং পরে তা বাড়তে বাড়তে আগুনের শিখা উপরে উঠতে দেখা যায়। প্রাথমিক ভাবে অগ্নিকাণ্ডে সর্বমোট তিন জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন এবং ১০ জনের অধিক শ্রমিক মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছেন এই ঢাকার আশুলিয়ায় জুতার কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ঘটনায়। 

ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র অফিসার বলেন, টঙ্গাবাড়ী বঙ্গবন্ধু সড়কে ফুটওয়্যার জুতা কারখানায় বিকেলে আগুন লাগে। তারা আগুনের খবর পেয়ে এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে, তাদের সাথে সাতটি ইউনিট ফায়ার সার্ভিসের একত্রে কাজ করেছেন। পরে সেখানে তল্লাশি করে তারা তিনটি মৃত দেহ উদ্ধার করেন; এদের মধ্যে দুই নারী ও একজন পুরুষ পাওয়া গিয়েছে। তাদের পরিচয় এখনও আমরা পাইনি ডিএনএ এর মাধ্যমে সনাক্ত করে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করতে হবে। আর বাকি ১০ জন যারা আহত হয়েছেন তাদের নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন যেহুতো এটি জুতার কারখানা তাই প্রচুর পরিমানে দাহ্য পদার্থ, চামড়া, প্লাস্টিক এবং রাসায়নিক পদার্থ ছিল তাই আগুন দ্রুত কারখানার ভিতরে ছড়িয়ে পড়ে। তাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আন্তে আনতেই কারখানার পুরো ভিতরে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে আমরা মনে করছি। এবং আমরা এখনও ভিতরে কেউ আছে কিনা আমরা খোঁজার চেষ্টা করছি। সেখানে এলাকাবাসীর এক স্থানীয় নাগরিক বলেন, তারা কয়েকজন মাইল দোকানে চা খাচ্ছিলেন হটাৎ তাদের চোখের সামনে কিছু ধুয়া দেখতে পান পরে ভাবেন এটি হয়তো কারখানার ধুয়া। পরে খুব দ্রুতই ধুয়া বাড়তে থাকে পরে তা ভয়াবহ আগুনে রূপ নেই। আমরা সকলেই আতংকিত হয়ে পরি। পরে কারখানার লোকজন এবং আশে পাশের লোকজন মিলে আগুন নিভাতে চেষ্টা করে পরে ১ ঘন্টা পর ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি গাড়ি আসে পরে আরো চারটি গাড়ি আসে। এবং তিনি আরো বলেন এই কারখানায় প্রায় ১০০ থেকে ২০০ জন শ্রমিক কাজ করেন।