শীত কালে জীবন যাপন করা খুবই কঠিন। শীত কালের সবচেয়ে বিরক্তিকর হলো ত্বকের যত্ন নেওয়া। অন্যান্য মাসের তুলনায় এই মাসে ত্বকের যত্ন বেশি বেশি করে নিতে হয়। শীতকালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঠোঁট কারণ ঠোঁট খুবই পাতলা এবং সূক্ষ ত্বক।নিয়ম মাফিক ঠোঁটের ত্বকের যত্ন নিলে শীতকালেও ঠোঁট মোটা ও সুন্দর হবে।
লিপ জেল বা বাম ব্যবহার করুন:
শীতকালে ঠান্ডা বাতাসে শুষ্ক থাকে তখন তা থেকে ঠোঁটে আর্দ্রতা আহরণ করে ফলে ঠোটে আস্তরণ পরে। এর ফলে ঠোঁট ফেটে শুকিয়ে যায় মাঝে মাঝে রক্তক্ষরণ হয়। অনেকসময় ঠোট কালো ও পাতলা হয়ে যায়। ঠোটে প্রচুর জ্বালা পোড়া সৃষ্টি হয়, তাই দ্রুত এ সমস্যা থেকে বিস্তার পাওয়া উচিত তার জন্য ঠোটে লিপ জেল বা বাম ব্যবহার করতে হবে। লিপ জেল বা বাম আপনার ঠোঁটকে নরম ও ময়শ্চারাইজ করে রাখবে। বাইরের বাতাস থেকে আপনার ঠোট কে প্রতিরক্ষামূলক হিসাবে কাজ করবে। শীতের বাতাসে জীবাণুরা দ্রুত বিস্তার লাভ করতে পারে তাই লিপ জেল বা বাম ব্যবহারে জীবাণু আক্রান্ত হবে সম্ভাবনা কম থাকে। তাই ২ ঘন্টা অন্তরে অন্তর লিপ জেল বা বাম ব্যবহার করুন। ঘরে বাইরে কোথাও গেলে লিপ জেল বা বাম সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।
ঠোঁট চাটবেন না:
অনেকেরই ঠোট চাটা অভ্যাস রয়েছে। আসলে অনেকেই ঠোঁটে স্থায়ী বেজা ভাব পাওয়ার জন্য এ রকম অশোভন আচরণ করে থাকেন। তারা এইরকম মনে করেন কোনও রকম লিপ বাম ব্যবহার না করেই ঠোঁট কয়েক ঘন্টা বেজা রাখবে। এটা একদমই ভুল ধারণা এটি লিপ বামের বিকল্প হিসাবে মোটেও কাজ করে না বরং ঠোঁটকে আরো রুক্ষ করে তুলে। আপনি ঠোঁট চাটলে তার লালা বাষ্পীভূত হয়ে ঠোঁটকে আরো শুষ্ক করে তুলে যা নরমাল অবস্থা থেকে বেশি দ্রুত শুষ্ক হয় এবং এই লালা এসিড ঠোঁটকে পুড়েও ফেলে। এটা একটা বদভ্যাস তাই এটি আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে করছেন বা অইচ্ছাকৃতভাবে ঐ অভ্যাস অবশ্যই আপনাকে পরিত্যাক্ত করতে হবে।
রাত্রে ঠোঁটের যত্ন:
আমরা জেগে থাকলে দিনে কয়েকবার ঠোঁটে লিপ বাম লাগায় কিন্তু ঘুমিয়ে থাকলে আমরা কিন্তু লিপ বাম লাগাতে পারি না। তার মানে সারা রাতই ঠোট অযত্নে থাকবে। শীতকালে রাতে বেশি ঠান্ডা পরে তখন ত্বকের আরো বেশি যত্ন নিতে হয়। তাই ঘুমানোর সময় লিপ লিপ বাম গারো করে দিতে হবে। আপনি ইচ্ছা করলে লিপ অয়েল বা গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পারেন। ঘুমানোর আগে কখনও লিপস্টিক পরে ঘুমাতে যাবেন না। যতই অলসতা লাগুক ভালো করে ঠোট ধুয়ে শুকনো করে লিপ বাম লাগায়। সপ্তাহে একবার সম্ভব হলে ঠোঁটে এক্সফোলিয়েট করুন।
ঠোঁটে পিলিং এড়িয়ে চলুন:
আমরা অনেকেই ঠোঁটের শুষ্ক চামড়া চিমটি দিয়ে তুলে ফেলার অভ্যাস রয়েছে আবার অনেকে চামড়া তুলে তুলে মজা উপভোগ করে যা ত্বকের জন্য প্রচন্ড খারাপ। ঠোঁটের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হতে অবশই এগুলো এড়িয়ে চলা উচিত। চিমটি দিয়ে ঠোঁটের শুষ্ক চামড়া তুললে চামড়ার নরম অংশ বেশে উঠে ফলে রক্তপাত, সংক্রমণ ঘটতে পারে।
ঠোঁট ফাটা রোধে পানি পান করুন:
আমাদের হাইড্রেটেড থাকার জন্য পানি পান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের যত্নে সর্বদা হাইড্রেটেড থাকা উচিত। শীতকালে বেশি ঠান্ডা পড়ায় মানুষ কম ঘামে যার ফলে পানি পান করার প্রবণতা কম থাকে। যার ফলে মানুষের আরো বেশি বেশি ঠোঁট ফাটে ও শুষ্ক হয়। তাই ত্বক এবং ঠোঁটের স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
উপরের টিপস গুলো ১ মাস অন্তরে কাযকর না হলে আপনার নিকটস্থ স্কিন বিশেষজ্ঞ ডক্টর দেখান।
WorldTimeTech provides Top News,Education, Health Tips, Lifestyle, Science and Technology, Computer Help Tips and Unknown facts and also more and more. We Always Try to Give You Helpful Content to you. Thank You...
Copyright © 2023 WorldTimeTech.com All Rights Reserved.