ত্রুটি হীন টেকসই  সিলিকন স্পিন কিউবিট তৈরি করলো বিজ্ঞানীরা

ত্রুটি হীন টেকসই সিলিকন স্পিন কিউবিট তৈরি করলো বিজ্ঞানীরা

এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব তার প্রধান কারণ হলো টেকনোলজি এর উন্নয়ন। কম্পিউটারকে আরো উন্নত করে এবার তৈরী হলো সিলিকনের কোয়ান্টাম কম্পিউটার। যা  সামনের বিশ্বকে ত্রুটিহীন কুন্তুম গণনা করতে সাহায্য করবে। এবার কোয়ান্টাম কম্পিউটার আবিস্কার করলো কিউটেক এবং রিকেন এর ডেভেলপাররা। কিন্তু এবারে  তারা ৯৯.৫ শতাংশের টু কিউবিট গেট প্রদর্শন করেন। এটি আগের তুলনায় অনেকবেশি সহনশীল ও ত্রুটিহীন। কোয়ান্টাম কম্পিউটারটি তৈরী করতে টু ডেল্ফট  এবং টি এন ও দুইটি সংস্থা সহযুগি করেছে। সহনশীল ও ত্রুটিহীন কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরিতে তারা সিলিকনে ইলেকট্রন স্পিন কিউবিট ব্যবহার করে। তাছাড়া  এটিতে ন্যানোফ্যাব্রিকেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। দিন দিন কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির প্রচেষ্টা বাড়ছে। মার্কেটে একবার কোয়ান্টাম কম্পিউটার আসলে তখন বর্তমান সাধারণ কম্পিউটারের ব্যবহার হ্রাস হতে শুরু করবে। শুরুতে কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সমস্যা ছিল ডিকোহেরেন্সের। অথাৎ কোয়ান্টাম কম্পিউটারের কিউবিট গুলো আওয়াজ করতো। এছাড়া আওয়াজ অতিরিক্ত হওয়ায় স্কেলিং বাধা গ্রস্ত হতো। একটি বড় অ্যাপ্লিকেশনের জন্য উচ্ছ মানের কম্পিউটার প্রয়োজন এবং ত্রুটি দূর করার জন্য ৯৯ শতাংশের কার্যকরী টু কিউ বিট গেট দরকারী। কিউটেক এবং রিকেন এর কোয়ান্টাম কম্পিউটার  সুপারকন্ডাক্টিং সার্কিট, টাইট আয়ন এবং লেজারের হীরার কেন্দ্রের নাইট্রোজেন উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে কিউবিট। লক্ষ লক্ষ নিউরো  কিউবিট ব্যবহার করো হয়েছে ত্রুটি সংশোধন করার জন্য যা ছিল খুবই কঠিন। 


ত্রুটি দূর করার জন্য তারা নট (সিনট) গেট ব্যবহার করে পরীক্ষা করে। এর আগে তারা সাধারণ স্লো গেট ব্যবহার করেছিল যা কোনো স্ট্রেনড সিলিকন  জার্মেনিয়াম ওয়েল সাবস্ট্রেটে ন্যানোফ্যাব্রিকেটেড কোয়ান্টাম ছিল না। পরে গেটের গতি বিধি করার জন্য তারা  নিউ মডেলে ডিভাইসটি তৈরী করে এবং গেট  ইলেক্ট্রোডগুলিতে বিভিন্ন ভোল্টেজ  দিতে থাকে। এটি পরে বড়  টু কিউবিট সহ মাইক্রোম্যাগনেট ব্যবহার করে উন্নত দ্রুত গতির সিঙ্গেল-স্পিন তৈরী হয়। ফলাফল আগের চেয়ে এটি ১০ গুণ বেশি শক্তিশালী হয়। কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির সময় ডেভেলপারেরা বলেছিলো তারা এইবার অনেকবেশি ঘূনণশীল সিঙ্গেল-স্পিন তৈরী করবে কিন্তু একটি নিদিষ্ট গতি যাওয়ার পর তারা দেখলো এটি কম্পিউটারটির সমস্যা বৃদ্ধি করছে। 


সম্পূর্ণ ডেভেলপের সময় তারা একটি প্রজেক্ট তৈরী করে যার নাম দেয়া হয় রাবি ফ্রিকোয়েন্সি।  কম্পন কৃত কিউবিটগুলি কিভাবে তার অবস্থার পরিবর্তন করছে তার একটি চিহ্নিতকারী হলো  রাবি ফ্রিকোয়েন্স। সিস্টেমটি সম্পূর্ণ চালানোর জন্য তারা বিভিন্ন টুল ও ফ্রিকোয়েন্সি পেয়েছিলো তারা। গেট গুলো ডিলিট করে করে দেখে  প্রথেমে তারা দেখে একক-কুবিট গেট কাজ করে ৯৯.৮ শতাংশ এবং টু-কুবিট গেটের কাজ করে ৯৯.৬ শতাংশ। তারা তৈরী করতে পেরেছে তাদের কোয়ান্টাম কম্পিউটার যেকোনো কিছু প্রোগ্রামার লোড নিতে পারবে। একক কিউবিট এবং দুই-কুবিট নিয়ে অপারেশন এর মাধ্যমে প্রমাণিত হলো যে তাদের প্রজেক্টটি সঠিক ভাবে  ত্রুটি সংশোধন করতে সক্ষম। সিস্টেমটির সক্ষমতা পরীক্ষা করার জন্য তারা দুই-কুবিট ডয়েচ, গ্লোবার সার্চ এলগোরিদম এবং জোসা অ্যালগরিদম প্রয়োগ করেছিল। সকল পরীক্ষায় ৯৬%- ৯৮% ফলাফল দিয়েছে। অথাৎ সিলিকন কোয়ান্টাম কম্পিউটার নির্ভুলতার সাথে কোয়ান্টাম পরিমাপ করতে পারবে। গবেষণার প্রধান বলেন "উপস্থাপিত ফলাফলগুলি সর্বজনীন কোয়ান্টাম নিয়ন্ত্রণ কর্মক্ষমতার পরিপ্রেক্ষিতে সুপারকন্ডাক্টিং সার্কিট এবং আয়ন ফাঁদের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো স্পিন কিউবিটগুলিকে সঠিক ভাবে কাজ করে৷ কোয়ান্টাম কম্পিউটারের উপলব্ধি গবেষণা ও উন্নয়নের দিকে বিশ্বকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।" সাধারণ একই নিয়মে, সিলিকন কিউবিটে প্রাপ্ত একইভাবে উচ্চ-বিশ্বস্ততা সার্বজনীন কোয়ান্টাম গেট সেটের পরীক্ষামূলক প্রদর্শনও দুটি নিরপেক্ষ গবেষণা দল থেকে রিপোর্ট করে। কিউটেক এর একটি দল কোয়ান্টাম ডট ইলেক্ট্রন স্পিন কিউবিট ব্যবহার করে এবং ইউএনএসডব্লিউ সিডনি থেকে আরেকটি দল সিলিকনে একজোড়া আয়ন-প্রতিস্থাপিত ফসফরাস নিউক্লিয়াসকে পারমাণবিক স্পিন কিউবিট হিসেবে ব্যবহার করে প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করে।