নারী শিক্ষা অনুচ্ছেদ ১০ম শ্রেণি Nari shikkha onuched

নারী শিক্ষা অনুচ্ছেদ ১০ম শ্রেণি Nari shikkha onuched

প্রিয় শিক্ষাথী ভাই ও বোনেরা এই অনুচ্ছেদটি বাংলা ২য় পত্রের নবম - দশম শ্রেনিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তোমাদের জন্য যোগাড় করে এ অনুচ্ছেদটি আনা হয়েছে।
 

নারী শিক্ষা 
বিশ্বের প্রতিটি শিশু মাতৃগর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হয়ে চোখ খুলে পায় মা ও মাতৃভূমির প্রতিকৃতি। বড় হয়ে উঠে মা ও মাটির স্নেহে। প্রথম শিক্ষাগ্রহণ করে মায়ের কাছ থেকে। শিক্ষিত মা মানেই শিক্ষিত সন্তান। শিক্ষিত সন্তান মানে উন্নত নাগরিক, উন্নত জাতি। তাই একটি জাতি শিক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞানে বড় হয়ে ওঠার প্রথম শর্ত শিক্ষিত মায়ের আঁচলে থেকে শিক্ষাগ্রহণ করা। তাছাড়া নারী ও পুরুষ মানব সমাজের ভারসাম্য ও স্থিতির সমরূপ। তাই নারী ও পুরুষের পারস্পারিক সহযোগিতা হচ্ছে সমাজ সভ্যতার ক্রমবিকাশ। ফলে নারীকে পুরুষের সমান শিক্ষার সুযোগ না দিলে সে পিছিয়ে পড়বে। আর সভ্যতার বিকাশের গতি অনেকটা মন্থর হয়ে যাবে। তাই জ্ঞান-বিজ্ঞান ও কর্মের ক্ষেত্রে নারীর আসন কার্যকর করা প্রয়োজন এবং তার পূর্বশর্ত নারী শিক্ষা। উচ্চ শিক্ষার ফলে নারী আজ সমাজের উন্নয়নে অর্থনীতি, রাজনীতি সর্বক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। শিক্ষা, সংস্কৃতি, প্রশাসনিক ক্ষেত্রে আজ নারীর ভূমিকা প্রশংসনীয়। তাই নারী শিক্ষার প্রসার আজ সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশেও অত্যাবশ্যকীয়। নারী শিক্ষার অগ্রগতির জন্য সে পদক্ষেপগুলো নেয়া উচিত, সেগুলো হলো-১. নারীর সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ২. প্রয়োজনীয় স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা যাতে শুধু নারীরা পড়ালেখা করতে পারে, ৩. নারী নির্যাতন বন্ধ করা, ৪. মেয়েদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাবার জন্য পৃথক পরিবহন, ৫. বয়স্ক নারীদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা, শিক্ষাব্যবস্থা অবৈতনিক ও বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করা, ৭. শিক্ষাঙ্গনে নারীদের উৎসাহ দান করা, ৮. উপবৃত্তির ব্যবস্থা করা। সবশেষে বলা যায়, "বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।" একথা মনে রেখে, আমাদের স্বাধীন দেশে নারীকে উপযুক্ত মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে তুলতে হবে। তবেই দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব হবে।