পদার্থবিজ্ঞানের ভৌত আলোক বিজ্ঞান অনুশীলনীর গুরুত্বপূর্ণ অনুধাবন প্রশ্নোত্তর পর্ব ২

পদার্থবিজ্ঞানের ভৌত আলোক বিজ্ঞান অনুশীলনীর গুরুত্বপূর্ণ অনুধাবন প্রশ্নোত্তর পর্ব ২

পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র ভৌত আলোকবিজ্ঞান HSC সৃজনশীল প্রশ্ন ও গাণিতিক সমস্যা সূত্র সমাধানের জন্য অনুধাবন প্রশ্নোত্তর
পদার্থবিজ্ঞানের ভৌত আলোক বিজ্ঞান অনুশীলনীর গুরুত্বপূর্ণ অনুধাবন প্রশ্নোত্তর পর্ব ২


প্রশ্ন: সুসংগত উৎস কীভাবে পাওয়া যায়? 
উত্তরঃ সুসংগত আলোক উৎস তৈরীর জন্য সাধারনত একটি উৎস থেকে নির্গত আলোকে দুটি অংশে এমনভাবে বিভক্ত করা হয় যেন প্রতিটি বিভক্ত অংশই একটি স্বতন্ত্র উৎস হয়। এই দুটি বিভক্ত অংশকে দুটি সুসংগত উৎস হিসেবে ধরা হয়। 



প্রশ্নঃ স্থায়ী ব্যতিচারের শর্তসমূহ লিখ ? 
উত্তরঃ স্থায়ী ব্যতিচারের শর্তসমূহ নিম্নরূপ- 
ক. আলোক উৎস দুটি সুসংগত হতে হবে। 
খ. উৎস দুটি পরস্পরের খুব নিকটে হতে হবে। 
গ. তরঙ্গদুটির বিস্তার সমান বা প্রায় সমান হতে হবে।
ঘ. পর্যায়ক্রনিক উজ্জ্বল ও অন্ধকার  বিন্দুর  জন্য তরঙ্গ দ্বয়ের পথপার্থক্য সর্বদা    এর যুগ্ম ও অযুগ্ন গুণিতক হতে হবে।   




প্রশ্নঃ গ্রেটিং এর ব্যবহার লিখ ? 
উত্তর: গ্রেটিং বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। নিম্নে এর ব্যবহার উল্লেখ করা হল- 
ক. আলোকের তরঙ্গদৈর্ঘ্য নির্ণয় করা যায়। 
খ. একই তরঙ্গদৈর্ঘ্যের দুটি বর্ণালী পৃথক করা যায়। 
গ. তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সাপেক্ষে অপবর্তন কোনের পরিবর্তনের হার নির্ণয় করা যায়। 




প্রশ্ন : ধ্বংসাত্মক ব্যতিচারের শর্তসমূহ লিখ ? 
উত্তরঃ যে সকল বিন্দুতে উপরিপাতিত তরঙ্গদ্বয়ের পথ পার্থক্য, x = (2n – 1 )  হয় সে সকল বিন্দুতে ধ্বংসাত্বক ব্যতিচারের সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ যে সকল বিদ্রুতে উপরিপাতিত তরঙ্গদ্বয়ের পথপার্থক্য এর  অযুগ্ন গুণিতক হয় সেসব বিন্দুতে ধ্বংসাত্মক ব্যতিচারের সৃষ্টি হয়। 



প্রশ্ন: সুসংগত উৎসের বৈশিষ্ট্য লিখ ? 
উত্তর: সুসংগত উৎসের বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ- 
ক. নিঃসৃত আলোক তরঙ্গগুলোর একই তরঙ্গদৈর্ঘ্য থাকতে হবে। 
খ. আলোক তরঙ্গদয় একই দশায় বা নির্দিষ্ট দশা-পার্থক্য নিঃসৃত হতে হবে। এ দশা পার্থক্য সব সময়ের জন্য বজায় থাকতে হবে। 




প্রশ্নঃ গঠনমূলক ব্যাহচারের শর্তসমূহ লিখা ? 
উত্তরঃ যে সকল বিন্দুতে উপরিপাতিত তরঙ্গদ্বয়ের পথপার্থক্য  এর যুগ্ম গুণিতক অর্থাৎ পথ-পার্থক্য = 2n যেখানে, n = 0, 1, 2, 3...ইত্যাদি সেসব বিন্দুতে  গঠনমূলক ব্যতিচারের সৃষ্টি হয়। 



প্রশ্নঃ সুসংগত আলো ছাড়া স্থায়ী ব্যতিচার সম্ভব নয়। ব্যাখ্যা কর। অথবা, ব্যতিচারের সাথে সুসংগত উৎসের সম্পর্ক কী? 
উত্তর: ব্যতিচার সৃষ্টির জন্য দুটি সুসংগত উৎসের প্রয়োজন হয়। কেননা- দুটি বাতিকে পাশাপাশি রাখলে কখনোই ব্যতিচার ঘটবে না। এমনকি বাতি দুটি একই একই তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো নিঃসরণ করলেও ব্যতিচার ঘটবে না। কারন ব্যতিচার ঘটবে তখনই যখন আলোক উৎস থেকে নিঃসৃত আলোক তরঙ্গদ্বয় একই দশায় বা নির্দিষ্ট দশা- পার্থক্যে নিঃসৃত হবে এবং তাদের তরঙ্গদৈর্ঘ্য সর্বদা একই থাকবে। আর এরূপ আলো কেবল মাত্র সুসংগত উৎস থেকে পাওয়া সম্ভব। সুতরাং সুসংগত আলো ছাড়া ব্যতিচার পাওয়া সম্ভব নয়। 



প্রশ্নঃ গ্রেটিং ধ্রুবক ব্যাখ্যা কর। 
উত্তর: অপবর্তন গ্রেটিং এর যে কোন একটি চিরের শুরু থেকে পরবর্তী চিরের শুরু পর্যন্ত দুরত্বকে গ্রেটিং ধ্রুবক বলে। মনেকরি, কোন সমতল নিঃসরণ গ্রেটিং এ চির বা দাগের সংখ্যা = N 
গ্রেটিং ধ্রুবক, d =
আবার, কোন সমতল নিঃসরণ গ্রেটিং এর অস্বচ্ছ রেখার বেধ =b 
এবং স্বচ্ছ অংশের তথা চিরের বেধ = a : গ্রেটিং উপাদান বা গ্রেটিং ধ্রুবক, d = (a + b)