পদার্থবিজ্ঞানের ভৌত আলোক বিজ্ঞান অনুশীলনীর গুরুত্বপূর্ণ অনুধাবন প্রশ্নোত্তর পর্ব ৩

পদার্থবিজ্ঞানের ভৌত আলোক বিজ্ঞান অনুশীলনীর গুরুত্বপূর্ণ অনুধাবন প্রশ্নোত্তর পর্ব ৩

পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র ভৌত আলোকবিজ্ঞান HSC সৃজনশীল প্রশ্ন ও গাণিতিক সমস্যা সূত্র সমাধানের জন্য অনুধাবন প্রশ্নোত্তর
পদার্থবিজ্ঞানের ভৌত আলোক বিজ্ঞান অনুশীলনীর গুরুত্বপূর্ণ অনুধাবন প্রশ্নোত্তর পর্ব ৩

প্রশ্নঃ তরঙ্গের ব্যতিচার কেবলমাত্র তরঙ্গধর্ম নির্ধারণ করতে পারে; তরঙ্গের প্রকৃতি নির্ণয় করতে পারে না কেন? 
উত্তর: তরঙ্গের ব্যতিচার কেবলমাত্র তরঙ্গধর্ম নির্ধারণ করতে পারে; তরঙ্গের প্রকৃতি নির্ণয় করতে পারে না। কেননা- ব্যতিচারের মাধ্যমে তরঙ্গের উপরিপাতন নীতি তরঙ্গমুখ ইত্যাদি নির্ধারণ করা যায়। আবার অনুদৈর্ঘ্য ও অনুগ্রস্থ উভয় আলোক তরঙ্গ ব্যতিচার ঘটাতে পারে তাই কোন ধরনের আলোক তরঙ্গের জন্য ব্যতিচার ঘটছে তা নিরুপন করা কঠিন। সুতরাং তরঙ্গের ব্যতিচার কেবলমাত্র তরঙ্গধম নির্ধারণ করতে পারে; তরঙ্গের প্রকৃতি নির্ণয় করতে পারে না। 



প্রশ্নঃ দশা পার্থক্য ও পথ পার্থক্যের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন কর। 
উত্তর: কোন তরঙ্গের দুটি তরঙ্গদর্শীর্ষ বা তরঙ্গপাদ এর দূরত্ব হলো তরঙ্গদৈর্ঘ্য λ এবং ঐ দুই বিন্দুর দশা পার্থক্য হলো 2π 
ধরি, তরঙ্গস্থিত যে কোন দুটি কনার পথপার্থক্য = x এবং দশা পার্থক্য = 
এখন λ পথ পার্থক্যের জন্য দশা পার্থক্য = 2π 
x পথ-পার্থক্যের জন্য দশা পার্থক্য, =     x
সুতরাং দশা পার্থক্য =  X  পথ-পার্থক্য।




প্রশ্নঃ ব্যতিচার সৃষ্টিকারী তরঙ্গের একটির পথে একটি পাতলা কাঁচপ্লেট রাখলে ঝালরের কিরুপ পরিবর্তন ঘটবে? 
উত্তর: ব্যতিচার সৃষ্টিকারী তরঙ্গের একটির পথে t বেধের একটি পাতলা কাচপ্লেট রাখলে তরঙ্গদ্বয়ের মধ্যে t পরিমান অতিরিক্ত পথপার্থক্যের সৃষ্টি হবে ।   এখানে = কাঁচের প্রতিসরাংক। ফলে সমগ্র ব্যতিচার ঝালর, কাঁচ প্লেটের যেদিকে রাখা হয়েছে সেদিকে সরে যায়। কিন্তু ব্যতিচার ঝালরে সরণ ঘটলেও ঝালর প্রস্থের কোন পরিবর্তন হয় না। 



প্রশ্নঃ অপবর্তনের কারণ লিখ ? অথবা, অপবর্তন সজ্জা সৃষ্টি হয় কেন ? 
উত্তর; কোন অস্বচ্ছ ধার বা কিনারা ঘেঁষে যাওয়ার সময় আলোকরশ্মির জ্যামিতিক ছায়া অঞ্চলের দিকে বেঁকে যাওয়ার ঘটনাকে আলোকের অপবর্তন বলে। আলো যখন কোন তীক্ষ্ণ ধারে আপতিত হয় থখন একটি তরঙ্গমুখ সেখানে উপস্থিত হয়। ধারের সন্নিকটে তরঙ্গমুখের প্রতিটি উন্মুক্ত বিন্দু  হতে উপতরঙ্গ সৃষ্টি হয়। এসব উপতরঙ্গ মূল গতিপথ ছাড়াও অন্যান্য দিকে অগ্রসর হয়। ফলে উপতরঙ্গ তথা আলো ছায়া অঞ্চলের মধ্যে চলে আসে ফলে আলোকের ব্যতিচার ঘটে এবং অপবর্তন সজ্জা সৃষ্টি হয়। 



প্রশ্নঃ ছিদ্র হতে পর্দা অতি নিকটে থাকলে অপবর্তন অবলোকন করা যায় না কেন? 
উত্তর: অপবর্তন সজ্জার প্রতিটি উজ্জল ও অন্ধকার ডোরার গ্রন্থ নির্ভর করে ছিদ্র হতে পর্দার দূরত্বের উপর। এ দূরত্ব অত্যন্ত স্বল্প হলে ঐ ডোরা গুলোর প্রস্ত এত কম হয় যে খালি চোখে দেখা যায় না। এ কারনে ছিদ্র হতে পর্দা অতি নিকটে থাকলে অপবর্তন অবলোকন করা যায় না।



প্রশ্নঃ সূর্যের আলোয় আলোকীত সাবানের ফেনায় গঠিত বর্ন ও প্রিজমে গঠিত বর্ণের মধ্যে পার্থক্য আছে কী? 
উত্তর; সূর্যের আলোয় আলোকিত সাবানের ফেনায় গঠিত বর্ণ ও প্রিজমে গঠিত বর্ণের মধ্যে পার্থক্য আছে কেননা সাবানের ফেনায় আলোকরশ্মি প্রতিসরণের মাধ্যমে বিশিষ্ট হয়ে বিভিন্ন বর্ণে পৃথক হয় এবং প্রিজমে আলোর প্রতিসরন ও বিচ্ছুরণের মাধ্যমে আলোকরশ্মি বিশিষ্ট হয়ে সাতটি বর্ণে পৃথক হয়। 



প্রশ্নঃ অপবর্তন ঝালরে উজ্জ্বল পট্টি গুলোর প্রত্যেকটিতে আলোক তীব্রতা একই থাকে না ভিন্ন হয় বা ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ অপবর্তন সজ্জায় পট্টিগুলোর বেধ কখনো সমান হয় না। কেন্দ্রীয় পট্টির উজ্জ্বলতা সর্বাধিক। পরবর্তী চরম পট্টিগুলোর উজ্জ্বলতা ক্রমশ কমতে থাকে। এ কারণে অপবর্তন ঝালরে উজ্জ্বল পট্টি গুলোর প্রত্যেকটিতে আলোক তীব্রতা একই থাকে না, ভিন্ন হয়।



প্রশ্নঃ ফ্রেনেল শ্রেনীর অপবর্তন বলতে কী বুঝায়? 
উত্তর: ফ্রেনেল শ্রেণীর অপবর্তন : যখন উৎস এবং নদী তাদের মধ্যবর্তী বাধা হতে অল্প দূরত্বের মধ্যে অবস্থান করে তখন ঐ বাধার দরুন পর্দায় আলোকের যে অপবর্তন সৃষ্টি হয়। তাকে ফেনেল শ্রেণীর অপবর্তন বলে।