প্রাকৃতিক উপায়ে ৩০ দিনে ওজন কমানোর টিপস ১০০% কার্যকরী - Bengali Weight Loss Tips in Bangla

প্রাকৃতিক উপায়ে ৩০ দিনে ওজন কমানোর টিপস ১০০% কার্যকরী - Bengali Weight Loss Tips in Bangla

জীবনে ভালোভাবে বাচঁতে সুন্দর দেহ প্রয়োজন। মোটা শরীলে জীবন যাপন করা কষ্ট হয়ে যায়। মোটা শরীলে বিভিন্ন রোগ বালাই এর সমূখীন হতে হয়। তাই শরীলরের মেদ কমানোর কিছু বিষয় নিচে তুলে ধরা হলো। 


খাবার চিবিয়ে চিবিয়ে খান:
খাবার সবসমই ধীরে ধীরে খেতে হয় যারা অতিরিক্ত ওজন সমস্যায় ভুগসেন তাদের কে ডাক্তাররা তাদের ধীরে ধীরে খাবার চিবানোর পরামর্শ দিই। ধীরে ধীরে খাবার খেলে পাকস্থলীতে আসতো খাবার থাকে না ফলে খাবার সহজেই পরিপক্ত হয়। সকালের নাস্তা না করলে আপনার ওজন বূদ্ধি হতে পারে| সকালে পুষ্টিকর নাস্তা করলে শরীরে মেদ দূর হয়।

সুষম খাবার খান:
আপনি যতই কঠোর পরিশ্রম ওয়ার্কআউট করে ক্যালোরি পোড়ান খারাপ ডায়েটের জন্য সবই বৃথা। অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট খাবার পরিহার করুণ। উচ্চ কার্বোহাইড্রেট
খাবার যেমন সফ্ট ডিংক্স, বাদামী চাল, ওটস ইত্যাদি। তবে আপনি অল্প পরিমাণে পরিবেশন করতে পারেন যাতে আপনার পূর্ণ বোধ করে এবং আপনার ইনসুলিনের মাত্রা না বাড়ায়। আমাদের দেহের জন্য চর্বি অপরিহার্য। সঠিক মাত্রায় চর্বি খেলে আপনি মোটা হবে না। আসলে খাদ্যে চর্বি, মাখন, ঘি, প্রোটিন খুবই গুরত্বপূন।

সময় মত খাবার খান:
পুষ্টিকর খাবারের জিনিসটি এড়িয়ে না এড়িয়ে| অনেকেই চিন্তা করেন বেশি খাবার খেলে মানুষ মোটা হয়ে যায় এবং বলে এই বার যথেষ্ট হয়েছে| আপনাকে দিনে অবশ্যই চার বার খেতে হবে| এবং অবশ্যই রাতের খাবার রাত ৮ টার ভিতরে খেতে হবে| দিনে চার বার খেলে শরীরে পুষ্টিকর ছন্দ পায়| সাধারণতো ফিটনেস কোচ ওজন কমানোর জন্য চর্বি এবং চিনির খাওয়া পরিমান কমানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন| এবং রুটিন মাফিক পুষ্টি কর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন| 

সকালে ভারী খাবার এবং সন্ধ্যায় হালকা খাবার খান:
ওজন কমতে অবশ্যই রাতে হালকা খাবার এবং সকালে ভারী খাবার খেতে হবে| প্রতিদিন নিয়ম মাফিক প্রোটিন খেতে হবে| এবং বেশি বেশি পানি পান করতে হবে যা আপনাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সহজ করবে| আপনার ওজনের অবস্থা থেকে আপনার ঐ অনুযায়ী খেতে হবে তাই একজন পুষ্টিবিদের সাথে পরামর্শ নিন|

আপনাকে অবশ্যই চিনি খাওয়া লোভ সামলাতে হবে:
চিনির খাওয়ার ব্যাপারে আপনাকে অনেক সচেতন হতে হবে। এটি বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত যে ওজন কমানোর দ্রুততম উপায় চিনি কম খাওয়া। একটু গভীর সচেতনতা ভাবে চিন্তা করলে দেখবেন যে আপনি যা খান তাতে কোনো না কোনোও ভাবে চিনি রয়েছে যা আপনার দেহে চিনির পরিমাণ বাড়ায় যার ফলে চিনি আপনার ফ্যাট বাড়িয়ে ওজন বৃদ্ধিতে অবদান রাখে। সফ্ট ড্রিঙ্কস যা আপনি খাবারে সাথে খান বা প্রায়সই খান তার মধ্যে প্রচুর চিনি থাকে যা আপনি বুঝতেও পারেন না। যখনই আপনি বাজারে যান, অতিরিক্ত চিনির সামগ্রী প্যাকে আছে কিনা তা পরীক্ষা করা হলো প্রথম পদক্ষেপ এবং দ্বিতীয় পদক্ষেপটি উচ্চ চিনির প্যাক গুলো সচেতনভাবে এড়িয়ে চলা। চিনি সম্পূর্ণরূপে কেউ সম্পর্ণ রূপে এড়িয়ে যাওয়া যায় না। তবে আমাদের যত টুক সম্বব এড়িয়ে চলা উচিত।

ওজন কমাতে গ্রিনটি খান:
গ্রিন টি অন্যতম স্বাস্থ্য পানীয় হিসেবে ওজন কমানোর জন্য আবির্ভূত হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে গ্রিনটি চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে কারণ এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ এবং ক্যালোরি পরিমাণও এতে কম থাকে| তাছাড়া গ্রিন টি বিপাক ক্রিয়া করতেও সহায়তা করে| তাই বেশি বেশি গ্রিন টি পান করুন। সকালে এবং দুপুরের খাবারের পর গ্রিনটি খাওয়ার ভাল সময় কারণ তখন আমাদের বিপাকের হার সব সেয়ে বেশি| দ্রুত হজমের জন্য গ্রিনটি খান|
কীভাবে খাবেনঃ এক কাপ গরম পানিতে কয়েক ফোটা মধু ও লেবু মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর পান করুন। এটি খুব বেশি বড় প্রচেষ্টা নয় তবে খুব কার্যকর পদ্ধতি যা ওজন নিয়ন্ত্রণ করে। এই পানীয়তে মেটাবলিজম থাকে যা আপনার চর্বি পোড়াই। সকালে ঘুম থেকে ওঠে খালি পেটে এক গ্লাস পান করলে মাসের ভিতর ফলাফল পাবেন। 

ব্যায়ামের সাথে প্যাকেট জাত প্রেটিন খান:
দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণ বোধ এবং অত্যন্ত সন্তোষজনক হওয়ার জন্য প্যাকেট জাত প্রোটিন খুবই উপকারি ও কার্যকর। এটি সহজেই ক্ষুধা নিবারণ করে এবং প্যাকেট জাত হওয়ায় অস্বাস্থ্যকর খাবার হওয়া থেকে বিরত থাকে। প্যাকেট জাত প্রোটিন ওজন এবং চর্বি কমাতে সাহায্য করে। রুগীরা তাদের নিয়মিত খাবারের তুলনায় সামগ্রিকভাবে কম ক্যালোরি খাবার গ্রহণ করে। তখন ডক্টররা রুগীদের প্যাকেট জাত প্রোটিন খাবে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। প্যাকেট জাত প্রোটিন আপনার ক্যালোরির চাহিদাকে একটি উচ্চ কার্ব এবং উচ্চ চর্বিযুক্ত খাদ্য থেকে চর্বিহীন প্রোটিনের উৎসে রূপান্তরিত করে যা একটি সুষম খাদ্য হিসাবে বজায় রাখতে সহায়তা করে। ভারী ওয়ার্কআউট যারা করে এবং বয়স্ক লোকদের দৈনন্দিন প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে প্যাকেট জাত প্রোটিন খাওয়ার ডক্টররা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। 

ওজন কমাতে সাতার কাটুন:
আজকাল সুইমিং পুলে সাঁতার কাটা কঠিন কিছু নয়। এটি বিভিন্ন ক্লাব বা এপার্টমেন্টে প্রায়সই দেখা যাই। পুলের চারপাশে আমরা অলসতা উপভোগ করি সেখানে  সাঁতার কাটার মজা পাওয়া যাই না। পুলে নেমে সাঁতার কাটার মাধ্যমে শারীরিক ব্যায়াম এর পাশা পাশি মন আনন্দময় থাকে। ওজন কমাতে সাঁতার কাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাঁতার কাটা জয়েন্টগুলিতে চাপ প্রয়োগ করে যা পূর্ণ-শরীরের ওয়ার্কআউট। আপনি যখন সাঁতার কাটেন তখন আপনাকে স্রোতের বিপরীতে যেতে আপনাকে শরীরে টান, ধাক্কা এবং লাথি মারতে হয় যার জন্য শক্তি প্রচেষ্টার প্রয়োজন। যা শরিল ওজন কমানোর একটি গুরুত্ব পূর্ণ ব্যায়াম। 


নিয়মিত উপরের অভ্যাস গুলো আয়ত্তে আনলে শরীলের মেদ কমে আনা সম্ভব।