বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধের উপায়

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধের উপায়

বাংলাদেশে দিন দিন সড়ক দুর্ঘটনার হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২১ সালে সমগ্র দেশে প্রায় ৭ হাজারের মতো মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায়। কিন্তু খুব স্বল্প ব্যবস্তা নিলেই এই দুর্ঘনা গুলো এড়িয়ে চলা সম্ভব। একটি পরিবারের কেউ দুর্ঘটনায় মারা গেলে বা পঙ্গু হয়ে গেলে সে পরিবারের সকলকেই এর ভার বহন করতে হয় সারা জীবনের কান্না হিসাবে। বাংলাদেশ বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নত করলেও এখনও জনগণের উগ্রতার জন্য পিছিয়ে রয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হলো রোডের সঠিক ম্যাপ তৈরী না করা। রাস্তার দুই পাশে হচ্ছে সাধারণ মানুষের চলাচলের পথ কিন্তু সেখানে হকাররা বসে দখল নিয়ে নেয় যা আমাদের প্রতিরোধ করতে হবে, অবশ্যই সরকারের এসব গরিব হকারদেরও দেখতে হবে। সাধারণ মানুষ যাতে ফুটপাত দিয়ে চলাচল করতে পারে তারা যেন অসাবধানতার জন্যেও যেন রোড দিয়ে হাঁটাচলা না করতে পারে তাই ফুটপাতের সাইডে গ্রিল দিয়ে রাখতে হবে। সামান্য দূরে দূরে রাস্তা পারাপারের জন্য জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার করতে হবে। এবং জেব্রা ক্রসিং এর আগে অবশ্যই স্পিড ব্র্যাকার বসাতে হবে। 

২০ বছর আগের পুরোনো বাস গুলি বন্ধ করে দিতে হবে বাস গুলোতে অবশ্যই সেফটির ব্যবস্তা থাকতে হবে। বাসের ড্রাইভাররা কে কতক্ষন ডিউটি করছে তার একটি ইলেকট্রনিক ফিচার তৈরী করতে হবে। কারণ আমাদের দেশের অধিক মুনাফার জন্য দিন রাত ভরে গাড়ি চালায় যা দুর্ঘটনার প্রধান আরেকটি কারণ। ড্রাইভাররা এবং হেলপারকে বাধ্যতামূলক মূলক অষ্টম শ্রেণী পাশ করতে হবে। তারা সময় ভাগ করে করে গাড়ি চালাবে। প্রত্যেকটি বাসের ভিতরে সিসিটিভি এর ব্যবস্থা থাকতে হবে। রাস্তার মাঝখান থেকে লোক উঠা নামা করা যাবে না। বাসের ভিতরে সিট গুলো প্রচুর নোংরা থাকে তাই ওই গুলো পরিবর্তন করে প্লাস্টিকের সিটের ব্যবস্তা করতে হবে। জালানার গ্লাস গুলো প্লাস্টিকের তৈরী গ্লাস লাগাতে হবে। ভার্চুয়াল প্রযুক্তির মাধ্যমে ড্রাইভার এবং হেলপারকে গাড়ি চালাতে শিখতে হবে। অধিক স্পীডে গাড়ি চালানো শাস্তি যোগ্য অপরাদের আইন তৈরী করতে কবে। যেখানে সেখানে গাড়ি না থামিয়ে এক মাত্র বাস স্টেশনে গাড়ি থামাতে হবে। ট্রাফিক পুলিশ একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে সবচেয়ে বেশি আমাদের দুর্ঘটনার প্রধান কারণ ওভার টেকিং করা। 

আমরা প্রায়সই দেখতে পাই দুইজন বাস চালক রাস্তায় প্রতিযুগিতা করে ফলে দুর্ঘটনা হয় এগুলো সবচেয়ে বেশি বাস চালকদের মধ্যে বেশি হয় তাই বাস, রেল গাড়ির মতো সিরিয়ালে চলবে এর একটি ব্যবস্তা করতে হবে। অনেকসময় ট্রাক গুলো অতিরিক্ত ভার বহন করে যা দুর্ঘটনার আরেকটি কারণ যা ট্রাফিক পুলিশকে সব সময় খেয়াল রাখতে হবে। দেশে প্রচুর পরিমানে রিস্কার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাদের সকলকেই লাইসেন্সের আওতাভুক্ত করতে হবে। ৯৯% রিশকা চালকরা ট্রাফিক আইন সম্পর্কে কিছুই জানে না কোথায় মোড় নিবে আর কোথায় নিবে না তার কিছুই তারা জানে না তাই সরকারকে এদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ব্যবস্তা করে দিতে হবে। অনেকে আছে অলি গলির মধ্যে বেপরোয়া ভাবে বাইক চালায় যা সাধারণ মানুষদের হয়রানির শিকার হতে হয় তাই এসব অলিগলি সিসিটিভি ধারা নিয়ন্ত্রিত রাখতে হবে থানা ভিত্তিক পুলিশ কর্মচারীদের। জ্যাম যানজট রোধ করতে ব্যবস্থা নিতে হবে থানা পুলিশদের। আশেপাশের  শিক্ষা প্রতিষ্টান, প্রাইভেট এবং সরকারি প্রতিষ্টান গুলোর নিধারিত সময় ফিক্সড করে দিতে হবে। এতে সবাই এক সাথে বের হয়ে যানজট সৃষ্টি হবে না, দুর্ঘটনার প্রবনতাও হ্রাস পাবে। সাধারণ মানুষ এবং যারা গাড়ি চালায় তাদের উভয়কেই অধিক পরিমানে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসতে হবে। তবেই দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলা সম্ভব। সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে কোটি কোটি টাকার প্রয়োজন নয় শুধু মাত্র নিয়ম শৃঙ্খলার মাধ্যমে এড়িয়ে যাওয়া যায়।