বাণিজ্য মেলায় আজ মিলল একটু স্বস্থি বিক্রেতাদের

বাণিজ্য মেলায় আজ মিলল একটু স্বস্থি বিক্রেতাদের

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা করোনা ওমিক্রন ভীতিকর পরিস্থিতিতেও চলছে। কিন্তু মাসব্যাপী ঢাকার এ মেলা এখনো জমজমাট হয়ে উঠেনি। মেলা শুরুর প্রথম সপ্তাহ পুরো ফাঁকা ছিল। বিক্রেতারা খুবই হতাশাগস্থ ছিল। হটাৎ শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় মেলায় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। বাণিজ্য মেলা সব সময় ঢাকার আগারগাঁওয়ে আয়োজন করা হলেও এবারে প্রথম পালিত হচ্ছে উত্তরার পূর্বাচলে। শুক্রবার সমকাল থেকেই দর্শনার্থী ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। ছুটির দিনে মেলায় ভিড় বাড়লেও বাড়েনি বিক্রি তেমনটা। সবাই ঘুরা ঘুরিই বেশি করছে। সেখানে আগমনকারীর প্রায়ওই নতুন লোক তারা বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছেন। দিন দিন করোনা পরিস্থিতির খারাপ হওয়ায় ঢাকায় ক্রেতা-দর্শনার্থীর সংখ্যাও অনেক কম। বেশির ভাগ লোকজন কেনাকাটার চেয়ে দেখতে বেশি আগ্রহী দেখছেন। সেখানে দৈব্য মূল্য বেশির কারণেও ক্রেতারা ও হটছে পড়ছেন। 

ভিড় বেশ কম থাকলেও কোথাও কোথাও দেখা যাচ্ছে উপচে পড়া ভিড়। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের সামনে মানুষের সমাগম বেশি হতে দেখা গেছে এইখানটিতে। সেখানে অনেকেই ছবি, ভিডিও এবং লাইভ করছেন। বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন বিবিসিএফইসির ভেতরে সেখানেও মানুষের বেশি জমায়েত দেখা গিয়েছে। এসব বিশেষ আস্তানায় এবং এর আশেপাশে মানুষের বেশি সমাগম হতে দেখা গেছে কিন্তু এ দুটির সামনের দোকানে ক্রেতা-দর্শনার্থী খুবই কম দেখা গেয়েছে। 
মেলায় খাবারের দোকানগুলোতে তুলনামূলক ভাবে বেশি ভিড় দেখা গেছে। ক্রেতারা ঘরের আসবাবপত্র এবং জামা কাপড়ের দোকানেও ঢুকছেন কিছু। দোকানে ভিড় না থাকলে বিক্রেতারা ডাক দিয়ে দিয়ে  ক্রেতা দের প্রবেশ করেছেন। কিন্তু দেখা গেছে বড় আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক্সের দোকানে ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। মেলায় আগমন কারীরা তাদের  আত্মীয়স্বজন বন্ধুদের নিয়ে একসাথে গুরতে আসে। অনেকে করোনার ভয়াবহ পরিস্তিতির কারণে আসতে না চাইলেও পরিবারের চাপে এইখানে আসতে মানুষ খুবই আগ্রহী।  

মেলায় প্লাস্টিক পণ্যের দোকানে তুলনামূলকভাবে বেশি ভিড় দেখা গেছে। দোকানের বিক্রেতারা বলেন অন্যদিনের তুলনায় আজকে বিক্রি বেশি হলেও আশানুরুপ ক্রেতা খুব কম। প্লাস্টিক পণ্যের দোকানে বিক্রি বেশি হলেও সেখানে ভিড় কম। আমরা সেখানে আরেক বিক্ৰেতার সাথে কথা বলি তিনি বলেন আমি গত ১ যুগ যাবৎ এখানে ব্যবসা করছি প্ৰত্যেক বছর বাণিজ্য মেলায় শুক্রবার কয়েক লাখ টাকায় বিক্রি করি। কিন্তু এবারে আর তা নেই, এইখানে বেশির ভাগ লোক গ্রামের আশপাশের বাসিন্দা। তারা শুধু ঘুরাফেরাই করছে কেউ কিছু কিনছে না। 

এইখানে যাতায়েত এর অনেক অসুবিধা রয়েছে বেশির ভাগ বিক্রেতারা বলছেন  দূরত্ব ও পরিবহন জটিলতার সমস্যার কারণে ঢাকা থেকে ক্রেতারা বড় পন্য কিনছেন না। বড় জিনিস কম বিক্রি হচ্ছে। বড় জিনিস পছন্দ বেশি হলে তারা ঢাকার শোরুম থেকে অর্ডার দিচ্ছে। তাই এখন ফলস্বরূপ অনলাইনে পণ্য প্রদর্শন এবং প্রচারে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে কোম্পানিগুলি বিক্রির চেয়ে। এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ শুক্রবার জনসভায় করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তা নিয়ন্ত্রণের জন্য পাঁচ দফা নির্দেশ দিয়েছেন। 

নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও মেলা কর্তৃপক্ষ বাণিজ্য মেলার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু মেলায় বেশির ভাগ ক্রেতা-দর্শনার্থী দূরত্ব এবং মাস্ক ব্যবহারে অনীহা দেখা দিচ্ছে। তাই বাঁধ হয়ে মেলা কর্তৃপক্ষ মাস্ক ছাড়া কাউকে দেখলে জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন এবং মেলার কর্মচারীরা ক্রেতা-দর্শনার্থীদের সামাজিক দূরত্ব রাখার চেষ্টা করছেন। সর্বমোট করোনা মোকাবেলায় আগত বেক্তিবর্গনের মধ্যে প্রচুর উদাসীনতা দেখা যায়। আমরা মাস্ক ছাড়া এক ব্যক্তির সাথে তিনি বলেন মাস্ক পড়লে ওনার শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, কথা বলতে পারেন না। মেলার হোটেলে প্রচু অনীহা দেখা যায় সেখানে মাস্ক পড়লেও খাবারের সময় খাবার মাস্ক খুলে ফেলে। একসাথে বসে একই টেবিল এ খাবার খেতে দেখা যায়। যা কোনো ভাবেই মন্ত্রিপরিষদের পাঁচ দফা মান্য করে না।