বিজ্ঞানের নতুন আবিষ্কার চোখ দেখেই বুজা যাবে রুগীর অঙ্গের মৃত্যুর তারিখ

বিজ্ঞানের নতুন আবিষ্কার চোখ দেখেই বুজা যাবে রুগীর অঙ্গের মৃত্যুর তারিখ

বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে চোখের মনি পরীক্ষা করে জানা যাবে ঐ ব্যক্তির অঙ্গের মৃত্যুর তারিখ। 
আমরা মানুষের চোখ দেখেই চিনতে পারি মানুষটিকে। করোনার চলাকারীন সময়গুলোতে আমরা সকলেই মাস্ক পরে থাকি তবুও আমরা একে ওপরের চোখ দেখেই বুজি ব্যক্তিটিকে। মানুষের চোখ মানুষের মনের অন্তর আত্মার কথা বলে। চোখ দেখেই বুজা যাই তার মনে কি চলছে সে কি করতে চাই। মানুষ তার মুখের বঙ্গি দিয়ে তার মনের কথা ঢাকতে চাইলেও চোখ দিয়ে ঢাকতে পারে না। মানুষের হাসি, কান্না, দুঃখ, কষ্ট সবই চোখের মাধ্যমে প্রকাশ প্রায়। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এমন একটি প্রোগ্রামিং অ্যালগরিদম তৈরী করেছেন ওটার মাধ্যমে যদি কোনো মানষের চোখ ভালো মতো পরীক্ষা করা যাই তাহলে ঐ ব্যক্তির মৃত্যুর তারিখের সময় আন্দাজ করা যেতে পারে। মানুষের প্রধান অঙ্গ গুলো হলো লিভার, কিডনি, হার্ট, লান্জ এবং মস্তিষ্ক। এই প্রধান সব অঙ্গ গুলোই চোখের রেটিনার সাথে সংযুক্ত। 

আপনার কোনো একটি অঙ্গ নষ্ট হলেই ডাক্তাররা খালি চোখেই আপনার চোখ দেখেই আন্দাজ করতে পারে আপনার কি সমস্যা হতে পারে। যদি আপনার জন্ডিস বা যকৃত সমস্যা বা লিভারের সমস্যা হয় তাহলে আপনার চোখের সাদা অংশের রং হলুদ বর্ন ধারণ করবে। যদি আপনার উচ্চ রক্তচাপ বা সংক্রমণ রোগ থাকে তাহলে আপনার চোখ লাল বর্ন ধারণ করবে। রক্তশূন্যতা বা ডায়াবেটিস হলে চোখ ফ্যাকাশে রং হবে ইত্যাদি বৈশিষ্ট ডাক্তাররা খালি চোখেই দেখে রোগ নির্ণয় করতে পারেন। ঠিক অনেকটা তেমনি চোখের রেটিনার স্নায়ুকোষ এবং রক্তজালিকা খুব নিখুঁত ভাবে পরীক্ষা করলে জানা যাবে মানুষের প্রধান অঙ্গ গুলোর বয়স সীমা।     

এটির অ্যালগরিদম এমন ভাবে তৈরী করা হয়েছে এটি পরীক্ষাথী ব্যক্তিকে তার শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ গুলি পরীক্ষা করে দেখে যে অঙ্গগুলি বর্তমানে কি অবস্থায় আছে এবং সামনে কোনো কিছু হওয়ার সম্ভবনা আছে কিনা। অবশ্যই আপনার কিডনি অথবা অন্য কোনো শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ভালো মতো যদি পরীক্ষা করা যাই তাহলে বুজা যাবে মৃত্যুর আগে আপনার কোন কোন অঙ্গ গুলি আগে সমস্যা দিবে। তবে এটা সত্য যে সঠিক ভাবে কোনো পরীক্ষা করার পরেও তার ফলাফল সঠিক হওয়া সম্ভব নাও হতে পারে তারপরেও এই প্রযুক্তি কেবল শুধুমাত্র বিজ্ঞানের অগ্র যাত্রার একটি ফল। তবে হ্যা এই আবিষ্কারের সাফল্য হয়তো আমাদের চিকিৎসা বিজ্ঞানকে আরো দ্রুত গতিতে নিয়ে যাবে।    

শরিলের ভিতরে যত ক্ষয় ক্ষতি হয় বা হবার আশঙ্কা থাকে তা সবার আগে মস্তিস্ক সিগন্যাল পাই সেই সাথে চোখের রেটিনাও সংবেদনশীল হয়ে উঠে। কোনো অঙ্গ প্রাকৃতিকভাবে নষ্ট হওয়ার আশংখা হলেই রেটিনার রক্তজালিকা গুলো অস্বাভাবিক আকৃতির রূপ ধারণ করে। ঐ ভিক্তির উপরেই পরীক্ষা করে অ্যালগরিদম তৈরী করা হয়েছে সেটি শরিলে কি কি সমস্যা আছে বা হতে পারে। পরে সেটির উপর ভিত্তি করে রুগীর চিকিৎসা আগে ভাগেই করলে রুগী দ্রুত সুস্থ্য হওয়ার থাকে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন এই প্রযুক্তি সমগ্র বিশ্বে ব্যবহার চালু করলে মৃত্যুর হার ৪০ শতাংশ কমানো সম্ভব। আমেরিকায় ৫০ বছরের উদ্ধে প্রায় পঁচিশ হাজার ব্যক্তিদের নিয়ে একটি পরীক্ষা করে। তাদের চোখ ভালো মতো এলগোরিদম এর সাহায্যে পরীক্ষা করে তাদের বয়সের একটি সময় সীমা আন্দাজ করেন এবং সামনে তাদের কি কি ধরণের রোগ বালাই হতে পারে। গবেষণায় দেখায় যাই প্রায় ১০ বছরের মধ্যে পাঁচ হাজারের মতো লোকজন প্রায় কাছা কাছি ওই রকম সমস্যায় ভুগেছেন। সুতরাং বুজাই যাচ্ছে এই প্রযুক্তি কতটা সাফল্যের। সাধারণত সম্পূর্ণ শরীর পরীক্ষা করা অনেক ব্যয় বহুল এবং রুগীকে প্রচুর ব্যথাও সহ্য করতে হয়। কিন্তু এটি একটি সাধারণ পরীক্ষার মাধ্যমেই ফলাফল আনা সম্ভব। ১০ থেকে ১২ বছর আগেই জানা যাবে ব্যক্তিটি সামনে কোন রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভনা রয়েছে। এতে মৃত্যুর হারও দিন দিন কমে আসবে।