মোটা হওয়ার টিপস Mota Howar Tips

মোটা হওয়ার টিপস Mota Howar Tips

অতিরিক্ত মোটা হওয়া যেমন অপমানের শিকার হতে হয় ঠিক তেমনি অতিরিক্ত চিকন হলেও অপমানের শিকার হতে হয়। শরীর চিকন হওয়ার মূল কারণ হলো ক্যালোরির ঘাটতি ও ফ্যাট উৎপন্নকারী হরমোন শরীরে কম থাকা। তাই আজকে আমরা আলোচনা করবো সহজে মোটা হওয়ার টিপস। 

মোটা হওয়ার জন্য ব্যায়াম
আমরা অনেকেই মনে করি যে ওজন কমাতে ব্যায়াম করা দরকার তা ঠিক, কিন্তু এই ধারণাটি সম্পূর্ণ সঠিক নয়। ওজন কমানোর জন্য যেরকম আমাদের ব্যায়াম দরকার, ঠিক তেমনি ওজন বাড়াতেও আমাদের দরকার। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র দৌড়ানো এবং লাফ দিলেই হবে না। আপনাকে প্রতিদিন সরাসরি ১ থেকে ২ ঘণ্টা জিমে যেতে হবে। জিমে একজন অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক থাকে তিনিই আপনাকে আপনার ওজন, দেহ এবং চেহারা দেখে আপনাকে বলে দিবে আপনাকে দৈনিক কি কি ধরণের ব্যায়াম করতে হবে।

মোটা হওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার খাদ্য তালিকা পরিবর্তন করতে হবে। মোটা হওয়ার খাদ্য তালিকা নিচে দেওয়া হলো :-

মোটা হওয়ার জন্য ফাস্ট ফুড খাবার খান 
আমরা বেশির ভাগই জানি কোমল পানীয় এবং ফ্যাটি খাবার খেলে স্বাস্থ্য মোটা হয়ে যায়। কোমল পানীয় এবং ফ্যাটি খাবারে  প্রচুর পরিমাণে ইনসুলিন থাকে। ইনসুলিন শরীরের  হরমোন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এই হরমোনের প্রভাবে আমাদের শরীরে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও চর্বি তাড়াতাড়ি জমা হয়।যখন আপনি চর্বিযুক্ত খাবার খাবেন তখন প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন, তখন মোটেও কোমল পানীয় বা সফট ড্রিংক খাবেন না। আবার  কোমল পানীয় বা সফট ড্রিংক খেলে আপনি চর্বিযুক্ত বা ফ্যাটি খাবার খেতে পারবেন না। এতে করে ধীরে ধীরে আপনার পাতলা স্বাস্থ্য খুব দ্রুততার সাথে মোটা হয়ে যাবে।

মোটা হওয়ার জন্য পান্তা ভাত খান
জী হ্যা সকালে উঠে যদি আপনি পান্তা ভাত খান তাহলে আপনি মোটা হতে পারবেন কারণ পান্তা ভাতে ক্যালোরির পরিমান বাসি থাকে যা শরীরে ফ্যাট জমতে সাহায্য করে। 

প্রচুর পরিমানে ফল খান মোটা হওয়ার জন্য
ফল হল সবচেয়ে পুষ্টিকর খাদ্য। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ক্যালরি। যদি আপনি প্রতিদিন প্রচুর ফল ও ফলের রস খান তাহলে আপনি শিগ্রই মোটা হতে থাকবেন। ফলের তৈরী জ্যালি, সিরাপ, আচার, ইত্যাদি খান কারণ এতে পর্যাপ্ত পরিমানে  ফ্যাট থাকে যা স্বাস্থ্যকে মোটা করে তুলতে সাহায্য করবে।

রাতে ঘুমানোর আগে ক্যালোরি যুক্ত খাবার দুধের সাথে মধু মিশিয়ে খান
ঘুমাতে যাওয়ার আগে অধিক পুষ্টিকর এবং ক্যালরির যুক্ত খাবার খান। কারণ ঘুমের আমরা কোনো কাজ করি না তাই সারারাত শরীরে  ক্যালোরি থাকার কারণে এটি  আপনার ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে এবং আপনাকে শক্তিশালী করবে। তাই প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে অত্যাধিক পুষ্টিকর এবং ক্যালরি খাবারের মধ্যে রয়েছে দুধ ও মধু। তাই ঘুমানোর আগে অবশ্যই দুধে মধু মিশিয়ে খান। এতে ১ মাসের মধ্যেই আপনার শরীরের মোটা হওয়ার লক্ষন প্রমান পাবেন। এটি পরীক্ষিত একটি উপায় উপায়।

সকাল বিকাল ও রাত্রে ড্রাই ফ্রুটস খান
আপনি জানেন কি ড্রাই ফ্রুটস হলো স্থূলতা বা ওজন বৃদ্ধির জন্য একটি আদর্শ খাবার। কারণ এতে প্রচুর ক্যালরি থাকে। তাই যদি আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় কাজু, খেজুর, কিসমিস ও বাদাম খান তাহলে আপনি খুব দ্রুত মোটা হতে পারবেন। প্রতিদিন  সকালের নাস্তায় ১৪ - ১৬টি বাদাম, কিসমিস বা খেজুর খেতে পারেন। তাছাড়া যদি আপনি রাতে ১৪ - ১৬টি বাদাম, কিসমিস বা খেজুর আধা কাপ পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে আরো বেশি ভালো হয়। সকাল বিকাল ও রাত্রে খেলে দ্রুত মোটা হতে পারবেন।