সাউথ আফ্রিকাকে ৩৮ রানে পরাজয় করলো বাংলাদেশ

সাউথ আফ্রিকাকে ৩৮ রানে পরাজয় করলো বাংলাদেশ

সাউথ আফ্রিকাকে ৩৮ রানে পরাজয় করলো বাংলাদেশ।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং পাই বাংলাদেশ । শুরুতেই বাংলাদেশের ব্যাটিং স্টাইল ছিল কাঁপাকাঁপির মতো। প্রথম ওভারে কোনো রানওই করতে পারেননি তামিম লিটন। কিন্তু এই উইকেট  ধরে রাখার কারণেই বাংলাদেশের বড় রানের টার্গেট করতে পারে। তামিম লিটনের একটি বড় জুটির মাধ্যমে সমাপ্তি হয় ৯১ রানে। আন্ডিলে ফেহলুক্বায়ের বলে এলবি ডাবলু হন তামিম, তিনি ৬৭ বলে ৪১ রান করে ১ টি ছয় এবং ৩টি চার মারেন। এর পরে নামেন সাকিব। কিন্তু একটু পরই লিটন দাস কেশব ৬৭ বলে ৫০ রান করে  মহারাজ এর বলে বোল্ট আউট হন তিনি ৫টি চার এবং ১টি ছক্কা হাঁকান। তখন নামেন মুশফিক তিনি মাত্র ১২ বলে ৯ রান করে কেশব মহারাজ এর বলে কট আউট হন। কিন্তু তখন মাঠ কাঁপছিলো আমাদের সাকিব এবং তার সাথে ছিল ইয়াসির। আমরা অনেকদিন পর দেখতে পাই সাকিবের চির চেনা ব্যাটিং এর দার। তিনি ৬৪ বলে ৭৭ রান নিয়ে ৩টি ছক্কা ও ৭টি চার মারেন ,তিনি লুঙ্গি ঙঈদী এর বলে এলবি ডাবলু হন। তখন বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৯ রানে ৪ উইকেট। এর ৪ রান পরই আউট হন ইয়াসির মার্কো জ্যানসেন বলে কট আউট , তিনি ৪৪ বলে ৫০ রান নিয়ে ২টি ছক্কা ও ৪টি চার মারেন। 
এর পর আমরা দেখতে পাই মাহমুদুল্লাহ এবং আফিফ এর জুটি কিন্তু তা শুরু হতেই শেষ হয় গেল মার্কো জ্যানসেন বলে কট হন আফিফ।  ১৩ বলে ১৭ রান করে আউট হন আফিফ, ১ টি করে ছক্কা ও চার মারেন। এর পর আউট হন মাহমুদুল্লাহ তিনি ১৭৪ বলে ২৫ রান করে ১ টি করে ছক্কা ও চার মারেন। পরিশেষে বাংলাদেশের দলীয় রান হয় ৭ উইকেটে ৩১৪ রান যা সাউথ আফ্রিকার জন্য বিশাল কঠিন। 
মাঠে নেমেই বাজিমাত করতে থাকেন বাংলাদেশের বোলাররা প্রথম উইকেটটি শরিফুল নেন পরে একে একে যেতে যেতে তাদের মোট দলীয় রান হয় ২৭৬ রান। সাকিব ১০ ওভারে ৫৪ রান দেন তিনি কোনো উইকেট শিকার করতে পারেননি। তাসকিন ১০ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ৩ টি উইকেটের সাথে ১ টি মেডেন ওভার দেন। 
মুস্তাফিজ ১০ ওভারে ৫০ রান দেন তিনি কোনো উইকেট শিকার করতে পারেননি। শরিফুল ৮ ওভারে ৪৭ রান দেন তিনি ২টি উইকেট শিকার করেন। মেহেদী ৯ ওভারে ৬১ রান দিয়ে ৩ টি উইকেটের মালিক হন। মাহমুল্লাহ ১ ওভার ৫ বল করে ২৪ রান দিয়ে শেষ উইকেটের মালিক হন। দুই দলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান নেন রাসিয়ে ভ্যান ডার ডুসেন তিনি ৯৮ বলে ৮৬ রান নেন এবং ১টি ছক্কা ও ৯টি চার মারেন।  আর সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকার করেন মেহিদি হাসান তিনি ৪টি উইকেটের মালিক হন।