শেষ ওয়ানডেতে ৭ উইকেট হাতে নিয়েই বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতে যায় আফগানিস্তানরা।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ। এবারের লক্ষ্য ম্যাচ জিতে পয়েন্ট বাড়ানো টিম টাইগারদের। গত দুটি ম্যাচ দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে জয় নেই বাংলাদেশ। আজকের শুরুটা ভালোই হয়েছিল টাইগারদের পরে হটাৎ ফজল হকের প্রথম বলেই ৪৩ রানের জুটি ভেঙে আউট হন তামিম ইকবাল। পরে হাল ধরেন সাকিব আর লিটন, তখন বহু উত্তেজনায় ছিল বাংলাদেশের ঘরে। হটাৎ ৩০ রান করে আজমাতুল্লাহ ওমরজাই বলে আউট হন সাকিব আল হাসান। পরে সাথে সাথে সাজঘরে ফিরেন মুশফিক এবং ইয়াসির আলী তারা যথাক্রমে ৭ ও ১ রান করে কট আউট হন রশিদ খানের বলে। গত ম্যাচে দাপটে খেলা মুশফিকও আজকের ম্যাচটি রান করতে পারেননি। পরে নাথে থাকেন বাংলাদেশ দুই ব্যাটসম্যান মাহমুদুল্লাহ ও লিটন দাস। তখনও বাংলাদেশ বড় রানের স্বপ্ন দেখছে কারণ এর পরে রয়েছে আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান। ৮৬ রান নিয়ে মোহাম্মদ নাবির বলে ক্যাচ আউট হন লিটন দাস। পরে আফিফ হোসেন ৬ বলে ৫ করে মোহাম্মদ নাবির বলে ক্যাচ আউট হন। তিনি গত প্রথম ম্যাচটিতে বাংলাদেশকে আফগানিস্তানের সাথে জয় এনেছিলেন। ওনার এমন আউট বাংলাদেশকে রানের যে পাহাড় গড়ার চিন্তা করেছিল তা শেষ হয়ে যায়। তার পর মাঠে নামেন ইয়াংস্টার মেহেদী হাসান তিনি নাজিবুল্লাহ জাদরান দ্বারা রান আউট হয়ে যান। পরে একেএকে দোষ নামে বাংলাদেশ উইকেটের উপর তাসকিন আহমেদ রশিদ খানের বলে এল.বি.ডাবলু এবং শরিফুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান রান আউট হয়ে যান। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তিনি হয়তো সঙ্গী পেলে বাংলাদেশের খোসাগরে আরো কিছু রান হতো। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ৪৬.৫ বল খেলে ১০ উইকেটে দলীয় রান ১৯৬ হয়।
রশিদ খান ১০ ওভার বল করে ৩ টি উইকেট নিয়ে ৩৭ রান দেন ওনার ইকোনোমি ছিল ৩.৭০, মুজিব ৮ ওভার বল করে কোনো উইকেট না নিয়ে ৩৭ রান দেন ওনার ইকোনোমি ছিল ৪.৬৩, মোহাম্মদ নবী ১০ ওভার বল করে ২টি উইকেট নিয়ে ২৯ রান দেন ওনার ইকোনোমি ছিল ২.৯০, নায়েব ৫ ওভার বল করে কোনো উইকেট না নিয়ে ২৫ রান দেন ওনার ইকোনোমি ছিল ৫.০০ এবং আজমাতুল্লাহ ওমরজাই ৬ ওভার বল করে ১টি উইকেট নিয়ে ২৯ রান দেন ওনার ইকোনোমি ছিল ৪.৮৩ । পরে মাঠে নামে আফগানিস্তান ঠান্ডা মাথায় তারা খেলছে তো খেলছেই। পেস, স্পিন, সুয়িং কোনো কিছুই তাদের আটকানো যাচ্ছিলো না কারণ তারা বুজে গেয়েছে এই ম্যাচ ঠান্ডা মাথায় উইকেট হাতে থাকলেই এই ম্যাচ জিতে যাবে। তাদের দলীয় রান ৭৯ এর সময় সাকিব এল হাসানের বলে রিয়াজ হাসান। উইকেট অনেক দেরিতে পড়লেও হাল ছাড়েনি বাংলাদেশ। তার পরে দুটি উইকেট নেন মেহিদি হাসান তারা হলেন রহমত শাহ এবং হাসমাতুল্লাহ শাহ। কিন্তু ততক্ষনে অনেক দেরি হয়ে যায় বাংলাদেশের। কিন্তু অবশেষে উইকেট আর না নিতে পারায় হেরে যাই টিম টাইগাররা। সাকিব এল হাসান ১০ ওভার বল করে ১ টি উইকেট নিয়ে ৪৭ রান দেন ওনার ইকোনোমি ছিল ৪.৭০। রহমানুল্লাহ গুরবাজ ফুল সেঞ্চুরি করে ম্যান অফ দ্যা ম্যান হন।
WorldTimeTech provides Top News,Education, Health Tips, Lifestyle, Science and Technology, Computer Help Tips and Unknown facts and also more and more. We Always Try to Give You Helpful Content to you. Thank You...
Copyright © 2023 WorldTimeTech.com All Rights Reserved.