বিষাক্ত পটকা মাছ
পটকা মাছ আমাদের সকলেরই খুবই পরিচিত একটি মাছ। বাংলাদেশের বিভিন্ন নদীনালাতে এই মাছটি দেখতে পাওয়া যাই। তবে আমাদের দেশের অপেক্ষায় ফিলিপিন্স, মেক্সিকো, চীন, জাপানে ইত্যাদি দেহে আরো বেশি পরিমানে দেখা যায়। এই মাছ গুলি বিষাক্ত এদের বিষক্রিয়ায় মানুষ আক্রান্ত হয়। এমনকি এই বিষক্রিয়ায় চিকিৎসা না পেলে মানুষ মারাও যেতে পারে।। কিন্তু মাছটি বিষাক্ত হওয়া সত্ত্বেও জাপান ও কোরিয়ার লোকদের পছন্দের খাবারের তালিকায় রয়েছে পটকা মাছ। বিষাক্ত হওয়া সত্ত্বেও কিভাবে তারা এই মাছটি খাই ? আসলে এদের বিষ শুধুমাত্র মস্তিষ্ক, যকৃত, ডিম্বাশয় ও চামড়াতে থাকে। টিটিএক্স বা টেট্রোডোটোক্সিন বিষ এই মাছটির ভিতরে পাওয়া যায়। পটকার বিষ এতটাই মারাত্মক যে তা পটাশিয়াম সায়ানাইডের চেয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ গুণ বেশি বিষাক্ত। প্রাপ্ত বয়স্ক একটি পটকা মাছের বিষ থেকে ২৫ থেকে ৩০ জন মানুষের মৃত্যু হতে পারে। জাপান ও কোরিয়ার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রাধুনি আছে যারা ভালোমতো জানে এই মাছটির কুন্ অংশ খাওয়া যাবে এবং কুন্ অংশটি ফেলে দিতে হবে। তারা এই মাছটি দিয়ে মজাদার স্যুপ তৈরী করে। এই স্যুপকে জাপানিরা বলে "ফুণ্ড" এবং কোরিয়ারা বলে "বক-উহ"। পটকা মাছ ঝাঁক বেঁধে চলে। এরা ভয় পেলে তাদের শরীরকে ফুলিয়ে ফেলে। যখন এদের ডাঙায় আনা হয় তখন তারা বাতাস দিয়ে পেট ফুলিয়ে নেয়। ঠিকমতো প্রক্রিয়াজাত না হলে বিষক্রিয়াতার লক্ষণ ১৫ মিনিট থেকে ২.৫ ঘন্টার ভিতর হতে পারে। তখন বমি বমি ভাব, মাথাব্যথা, তলপেটে ব্যথা, হাত ও পা দুর্বল হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আরো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এসব যখন দেখার সাথে সাথে হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে ভর্তি করে রুগীকে লাইফ সাপোর্টে রাখতে হবে। এবং রুগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগ মুহুত্ত রুগীকে বমি করানোর জন্য চেষ্টা করতে হবে। এই ক্ষেত্রে গ্রামের লোকেরা গোবরে পানি রুগীকে খাইয়ে থাকেন। বিষক্রিয়া নিরাময়ে কাঠ কয়লা গুড়ো পানীয়ও ব্যাপক কাজ করে থাকে। তাছাড়া রুগীকে বেশি বেশি পানি খাওয়াতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে রুগী যেন অজ্ঞান হয়ে না যায়, তাহলে বিষ দ্রুত শরীরে ছড়িয়ে পড়বে।
WorldTimeTech provides Top News, Health Tips, Lifestyle, Science and Technology, Computer Help Tips and Unknown facts. We Always Try to Give You Helpful Content to you. Thank You...
Copyright © 2023 WorldTimeTech.com All Rights Reserved.