এইচএসসি ভৌত আলোকবিজ্ঞান অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন পর্ব ২

এইচএসসি ভৌত আলোকবিজ্ঞান অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন পর্ব ২

একাদশ দ্বাদশ শ্রেণী এইচএসসি (HSC) পদার্থবিজ্ঞান এ ভৌত আলোকবিজ্ঞান এর গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানমূলক নোট। 
এইচএসসি ভৌত আলোকবিজ্ঞান অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন পর্ব ২ 


প্রশ্নঃ হাইগেন্‌সের নীতিটি লিখ? 
উত্তর: হাইমেনুসের নীতি : তরঙ্গমুখের প্রতিটি বিন্দুকে নতুন গোলকীয় তরঙ্গের উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এসব তরঙ্গকে গৌণ তরঙ্গবলে। গৌণ তুরঙ্গগুলো মূল তরঙ্গের সমান বেগে চতুর্দিকে অগ্রসর হয়। এই গৌণ তরঙ্গ গুলো কোন নির্দিষ্ট সময়ে যে সাধারণ স্পর্শক তল আবৃত করে, তাই হলো ঐ সময়ে তুরঙ্গ মুখের নতুন অবস্থান।



প্রশ্নঃ ডোরী ব্যবধান কি? 
উত্তরঃ ডোরা ব্যবধান: একটি জোয়ার শুরু থেকে পরবর্তী অনুরূপ ডোরার শুরু পর্যন্ত দুরূত্ব অথবা একটি ডোরার মধ্যবিন্দু থেকে পরবর্তী অনুরূপ তোরার মধ্যবিন্দু পর্যন্ত দূরত্বকে ডোরা ব্যবধান বলে। 



প্রশ্নঃ ডোরা প্রস্থ কি? 
উত্তর: ডোরা প্রস্থ : একটি ডোরার শুরু থেকে তারই শেষ পর্যন্ত দুরত্বকে ডোরা প্রস্থ বলে। 



প্রশ্নঃ আলোর ব্যতিচার কাকে বলে? 
উত্তর: আলোর ব্যতিচার: দুই বা ততোধিক আলোক তরঙ্গের পারস্পারিক উপরিপাতন দ্বারা সৃষ্ট লব্ধি তরঙ্গের তীব্রতা পরিবর্তনজনিত ঘটনাকে আলোর ব্যতিচার বলে। 



প্রশ্নঃ তরঙ্গের উপরিপাতন কি? 
উত্তরঃ তরঙ্গের উপরিপাতন: কোনো মাধমের মধ্যদিয়ে একাধিক তরঙ্গ সঞ্চালিত হলে, যেমন কোন বা বিন্দুর সব্ধি স্মরণ ঘটবে। এ সব্ধি তরঙ্গগুলো কর্তৃক সৃষ্ট পৃথক পৃথক সরণের বীজগাণিতিক যোগফলের সমান। একে তরঙ্গের উপরিপাতন বলে। 



প্রশ্নঃ গঠনমূলক ব্যতিচার কাকে বলে? 
উত্তরঃ গঠনমূলক ব্যতিচার : দুই বা ততোধিক একই বৈশিষ্ট্যের আলোক তরঙ্গের পারস্পারিক সম দশায় উপরিপাতন দ্বারা সৃষ্ট লরি তরঙ্গের তীব্রতা অঙ্গীভূত তরঙ্গের পৃথক তীব্রতার চেয়ে বেশী হয়ে যে ব্যতিচার সৃষ্টি হয় তাকে গঠনমূলক ব্যতিচার বলে। 



প্রশ্নঃ চির কাকে বলে ?
উত্তরঃ দৈর্ঘ্যের তুলনায় প্রস্ত অনেক ছোট এমন আয়াতকার সরু ছিদ্রপথকে চির বলে।



প্রশ্নঃ ব্যতিচার সজ্জা কাকে বলে? 
উত্তরঃ ব্যতিচার সজ্জা : একটি পর্দার উপর ব্যাতিচার ঘটানো হলে পর্দায় আলো- আধারের একটি সজ্জা পাওয়া যায়। এ সজ্জাকে ব্যতিচার সজ্জা বলে। 



প্রশ্নঃ সুসংগত উৎস কি ?
উত্তরঃ  যে উৎস হতে আলোক তরঙ্গ সমূহ সর্বদা সমদশায় নিঃসৃত হয়, তাকে সুসংগত উৎস বলে। 



প্রশ্নঃ ধ্বংসাত্বক ব্যতিচার কাকে বলে? 
উত্তর: ধ্বংসাত্বক ব্যতিচার : দুই বা ততোধিক একই বৈশিষ্ট্যের আলোক তরঙ্গের পারস্পারিক বিপরীত দশায় উপরিপাতন দ্বারা সৃষ্ট লব্ধি তরঙ্গের তীব্রতা শূন্য হয় অথবা অন্ধকার বিন্দু পাওয়া যায় তাঁকে ধ্বংসাত্বক ব্যতিচার বলে।