25 Jul, 2025
OSI = Open Systems Interconnection
>> এটি একটি স্ট্যান্ডার্ড রেফারেন্স মডেল যা কম্পিউটার ও নেটওয়ার্ক ডিভাইসগুলোর মধ্যে ডেটা কিভাবে আদান-প্রদান হয় তা ব্যাখ্যা করে।
OSI Model তৈরি করেছে:
International Organization for Standardization (ISO)
তৈরি হয় ১৯৮৪ সালে
আগে প্রতিটি কোম্পানি তাদের নিজস্বভাবে কম্পিউটার ও নেটওয়ার্ক সিস্টেম তৈরি করত, যার ফলে এক কোম্পানির সিস্টেম আরেকটার সাথে ঠিকভাবে কাজ করত না।
OSI Model-এর মোট ৭টি স্তর (Layer) আছে। প্রতিটি লেয়ার একটি নির্দিষ্ট কাজ করে।
"All People Seem To Need Data Processing"
(প্রতিটি শব্দ একটি লেয়ারের প্রথম অক্ষর)
A - Application
P - Presentation
S - Session
T - Transport
N- Network
D - Data Link
P - Physical
"Please Do Not Throw Sausage Pizza Away"
Physical
Data Link
Network
Transport
Session
Presentation
Application
আপনি যখন google.com টাইপ করেন, তখন যাত্রা শুরু হয় Application Layer থেকে, আর ধাপে ধাপে নিচে নেমে যায় Physical Layer পর্যন্ত, তারপর Google সার্ভারে পৌঁছে যায়। রিপ্লাই এলেও এই ৭টি ধাপেই ফিরে আসে। OSI Model একটি বিশ্বজনীন ভাষা যা দিয়ে বোঝা যায় কম্পিউটারের ভিতরে কীভাবে ডেটা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যায়। এর ৭টি লেয়ার প্রতিটি নির্দিষ্ট ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। আর এই মডেল শেখা থাকলে, আপনি নেটওয়ার্কিং সমস্যা অনেক সহজে বুঝতে ও সমাধান করতে পারবেন।
এটি OSI মডেলের সর্বোচ্চ স্তর, যা সরাসরি ইউজার বা সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন এর সাথে কাজ করে।
মূল কাজ:
ব্যবহারকারীর অ্যাপ্লিকেশনকে নেটওয়ার্ক পরিষেবা দেয়।
যেমন: ওয়েব ব্রাউজার, ইমেইল ক্লায়েন্ট, ফাইল ট্রান্সফার সফটওয়্যার
প্রোটোকল: HTTP, FTP, SMTP, DNS
উদাহরণ:
তুমি যখন Google Chrome-এ google.com টাইপ করো, তখন HTTP প্রোটোকল ব্যবহার করে এই লেয়ার রিকোয়েস্ট পাঠায়।
এই লেয়ারটি ডেটার ফরম্যাটিং, এনক্রিপশন ও কম্প্রেশন এর কাজ করে।
মূল কাজ:
ডেটার ফরম্যাট নির্ধারণ (যেমন: JPEG, PDF, MP4)
ডেটা এনক্রিপ্ট/ডিক্রিপ্ট করে (নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে)
ডেটা কমপ্রেস/ডিকম্প্রেস করে
উদাহরণ:
আপনি একটি এনক্রিপ্টেড ওয়েবসাইট ভিজিট করলে (HTTPS), এই লেয়ার TLS/SSL দিয়ে ডেটা এনক্রিপ্ট করে।
এই লেয়ার দুই ডিভাইসের মধ্যে সেশন তৈরি, পরিচালনা ও বন্ধ করার দায়িত্বে থাকে।
মূল কাজ:
সেশন তৈরি করে, যেমন: client-server এর মধ্যে একটি নির্দিষ্ট সময়ের সংযোগ
একাধিক সেশন আলাদাভাবে চালায়
ডেটা ট্রান্সমিশনের সময় সেশন মেইনটেইন করে
উদাহরণ:
আপনি একসাথে দুইটি ব্রাউজারে আলাদা সাইট চালালে, Session Layer প্রতিটি সাইটের জন্য আলাদা সেশন চালায়।
এই স্তরটি ডেটার ভরসাযোগ্য ও সঠিক ট্রান্সমিশন নিশ্চিত করে।
মূল কাজ:
ডেটাকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে (segment)
ডেটা সঠিকভাবে পৌঁছেছে কিনা যাচাই করে
প্রয়োজনে হারানো ডেটা পুনরায় পাঠায়
প্রোটোকল: TCP (reliable), UDP (fast but unreliable)
উদাহরণ:
আপনি কোনো ফাইল ডাউনলোড করলে, এটি TCP ব্যবহার করে যাতে ডেটার একটিও অংশ না হারায়।
এই লেয়ারটি ডেটার রাউটিং ও IP address নির্ধারণ করে।
মূল কাজ:
গন্তব্য IP ঠিকানা নির্ধারণ করে
রাউটার ব্যবহার করে কোন পথ দিয়ে ডেটা যাবে তা ঠিক করে
প্যাকেট তৈরি করে
প্রোটোকল: IP, ICMP, ARP
উদাহরণ:
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে Google সার্ভারে রিকোয়েস্ট পাঠান, Network Layer ঠিক করে কোন ইন্টারনেট রুট দিয়ে তথ্য যাবে।
এই লেয়ারটি নেটওয়ার্কের একই অংশে থাকা ডিভাইসগুলোর মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য দায়ী।
মূল কাজ:
MAC Address ব্যবহার করে ফ্রেম তৈরি করে
এক হোস্ট থেকে আরেক হোস্টে ডেটা ট্রান্সফার করে
Error detection (CRC) ও flow control করে
উদাহরণ:
তোমার কম্পিউটার থেকে রাউটার পর্যন্ত ডেটা MAC Address দিয়ে পাঠানো হয়।
এটি OSI মডেলের সর্বনিম্ন স্তর, যা বাস্তব ডিভাইস ও সিগন্যাল নিয়ে কাজ করে।
মূল কাজ:
বিট আকারে (0 ও 1) ডেটা আদান-প্রদান
কেবল, ফাইবার অপটিক, WiFi, ইলেকট্রিক সিগন্যাল
ভোল্টেজ, ফ্রিকোয়েন্সি, কানেক্টর ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ
উদাহরণ:
ইথারনেট ক্যাবল, WiFi, USB সংযোগ --এগুলো সবই Physical Layer এর মাধ্যমে কাজ করে।
লেয়ার | নাম | কাজের ধরন |
---|---|---|
7 | Application | ইউজার সফটওয়্যার |
6 | Presentation | ফরম্যাট, এনক্রিপশন |
5 | Session | সংযোগ ম্যানেজ |
4 | Transport | সঠিক ডেলিভারি |
3 | Network | IP, Routing |
2 | Data Link | MAC, ফ্রেম |
1 | Physical | বিট পাঠানো |
https://www.google.com
-- এবার দেখি Encapsulation (ডেটা নিচে নামা) এবং Decapsulation (ডেটা ওপরে ওঠা) কীভাবে ঘটে:আপনি Chrome ব্রাউজারে Google.com টাইপ করলেন।
এটি HTTP/HTTPS ব্যবহার করে সার্ভারে রিকোয়েস্ট পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
ডেটা এনক্রিপ্ট করে (HTTPS হলে TLS/SSL ব্যবহৃত হয়) যাতে নিরাপদে পৌঁছায়।
ডেটার ফরম্যাট ঠিক রাখে যেন সার্ভার বুঝতে পারে।
Google সার্ভারের সাথে একটি Session তৈরি করে, যাতে আপনি লগইন করতে, সার্চ করতে পারেন।
রিকোয়েস্টকে TCP segments-এ ভাঙে।
পোর্ট নম্বর (যেমন: 443 for HTTPS) নির্ধারণ করে এবং সঠিকভাবে পাঠানোর নিশ্চয়তা দেয়।
Destination IP address (Google এর সার্ভার) নির্ধারণ করে।
Packet তৈরি করে এবং রাউটিং-এর জন্য প্রস্তুত করে।
MAC Address এর সাহায্যে ফ্রেম তৈরি করে।
লোকাল নেটওয়ার্কে (WiFi/Ethernet) রাউটার পর্যন্ত পৌঁছায়।
ডেটা বিট (0 এবং 1) হিসেবে কেবল বা WiFi মাধ্যমে রাউটার হয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে গুগলে পাঠানো হয়।
Google এর সার্ভার থেকে রেসপন্স পাঠানো হয়।
কাজ: ইলেকট্রিক সিগন্যাল, লাইট, বা রেডিও ওয়েভ হিসেবে ডেটা রিসিভ করে।
একে একে বিট আকারে তথ্য আসে।
বিটগুলো Data Link Layer-এ পাঠানো হয়
বিটগুলোকে ফ্রেমে সংগঠিত করে।
ভুল চেক করে (error detection)
MAC address দেখে সঠিক গন্তব্যে পাঠানো হচ্ছে কি না যাচাই করে।
সফল হলে ফ্রেম পাঠায় Network Layer-এ
IP address ব্যবহার করে চেক করে ডেটা সঠিক গন্তব্যে এসেছে কি না।
যদি ঠিক হয়, তাহলে উপরের লেয়ারে পাঠায়।
ডেটা পাঠায় Transport Layer-এ
TCP/UDP অনুযায়ী ডেটাকে segment আকারে দেখে।
সঠিকভাবে segment এসেছে কি না তা যাচাই করে।
ঠিক থাকলে সেগুলো একত্রিত করে।
ডেটা Session Layer-এ পাঠায়
সেশন ম্যানেজ করে — বুঝে নেয় কোন অ্যাপ্লিকেশনের জন্য এই ডেটা।
সেশন ঠিক থাকলে উপরের লেয়ারে পাঠায়।
Session থেকে যায় Presentation Layer-এ
ডেটা যদি এনক্রিপ্ট করা থাকে, ডিক্রিপ্ট করে।
কমপ্রেস করা থাকলে ডিকম্প্রেস করে।
ডেটার ফরম্যাট ঠিক করে (যেমন: JPEG, HTML, MP4)
Presentation , Application Layer এ পাঠায়
ইউজার অ্যাপ্লিকেশন (যেমন Chrome, Gmail) এই লেয়ারে ডেটা পায়।
ব্রাউজারে ওয়েবসাইট লোড হয়, বা ইমেইল আসে।
উদাহরণ দিয়ে বোঝাই:
আপনি একজন বন্ধুর কাছ থেকে একটি ইমেইল রিসিভ করলেন:
ইমেইলের ডেটা প্রথমে বিট আকারে আপনার রাউটারে এল → (Physical Layer)
ফ্রেমে পরিণত হলো → (Data Link Layer)
IP ঠিকানার মাধ্যমে বুঝল আপনার কম্পিউটার উদ্দেশ্য → (Network)
TCP দিয়ে চেক করল কিছু মিসিং আছে কি না → (Transport)
আপনার Gmail-এর জন্য Session খুঁজে পেল → (Session)
মেইলটি ডিক্রিপ্ট করল → (Presentation)
Gmail অ্যাপ্লিকেশনে ইমেইলটা দেখালো → (Application)
OSI Model এর মাধ্যমে বোঝা যায় কিভাবে একটি ছোট ইনফরমেশন পুরো পৃথিবী ঘুরে আবার ফিরে আসে।
প্রতিটি লেয়ারের নির্দিষ্ট কাজ বুঝলে troubleshooting সহজ হয়।
নেটওয়ার্ক সমস্যা কোথায় সেটা ধরতে সহায়তা করে (যেমন: DNS error হলে Application Layer, Routing সমস্যা হলে Network Layer)।
সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার কোম্পানি গুলোর মধ্যে একটি সাধারণ মান নির্ধারণ করে।
স্টুডেন্ট ও ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য নেটওয়ার্ক শেখা সহজ করে তোলে।
কোম্পানি ও ডিভাইস ভেদে পার্থক্য থাকলেও OSI মডেল একটি Reference Framework হিসেবে কাজ করে।
বিষয় | OSI Model | TCP/IP Model |
---|---|---|
স্তরের সংখ্যা | ৭টি লেয়ার | ৪টি লেয়ার |
পূর্ণরূপ | Open Systems Interconnection | Transmission Control Protocol/Internet Protocol |
তৈরি করেছে | ISO (International Organization for Standardization) | DARPA (USA Department of Defense) |
আলাদা আলাদা Presentation ও Session লেয়ার আছে | আছে | নেই (Application লেয়ারে merge) |
থিওরেটিকাল মডেল | বেশি | কম |
ব্যবহারিক মডেল | কম ব্যবহার হয় | বেশি ব্যবহার হয় (ইন্টারনেটে প্রয়োগযোগ্য) |
প্রোটোকল নির্ধারণ করে | না | করে (TCP, IP, UDP, etc.) |
TCP/IP Model বাস্তব ইন্টারনেট কমিউনিকেশনে ব্যবহার হয়।
তবে OSI Model শেখার জন্য ও troubleshooting এর জন্য অনেক বেশি কার্যকর।
OSI মডেল আমাদের ডেটা কিভাবে কম্পিউটার থেকে সার্ভার পর্যন্ত যায় এবং আবার ফিরে আসে তা বুঝতে সাহায্য করে। বাস্তবে TCP/IP Model বেশি ব্যবহৃত হলেও OSI Model শেখা বাধ্যতামূলক কারণ এটি প্রতিটি স্তরের কাজ পরিষ্কারভাবে আলাদা করে।
OSI Model এর ৭টি লেয়ার মনে রাখতে নিচের বাক্যটি ব্যবহার করো:
“Please Do Not Throw Sausage Pizza Away”
ব্যাখ্যা:
সংক্ষিপ্ত শব্দ | পূর্ণরূপ (Layer) |
---|---|
Please | Physical |
Do | Data Link |
Not | Network |
Throw | Transport |
Sausage | Session |
Pizza | Presentation |
Away | Application |
নিচ থেকে উপরে মনে রাখো (Layer 1 to Layer 7)। বাস্তব যোগাযোগও নিচ থেকে শুরু হয়ে ওপরে যায়।
OSI মডেল ডেটা আদান-প্রদানে সাতটি স্তরের সাহায্যে কাজ করে। প্রতিটি স্তর নির্দিষ্ট একটি দায়িত্ব পালন করে এবং নিচের স্তরের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী স্তর কাজ করে। ডেটা পাঠানোর সময় এটি নিচের দিকে নামে (Encapsulation), আর রিসিভ করার সময় উপরের দিকে উঠে যায় (Decapsulation)।
Transport Layer সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধরা হয় কারণ এটি ডেটার end-to-end ডেলিভারি, reliability, এবং error checking নিশ্চিত করে। TCP/UDP এর মতো প্রোটোকল এই লেয়ারে কাজ করে।
Network Layer ডেটাকে Packet আকারে রূপান্তর করে এবং IP Address এর মাধ্যমে রাউটিং করে। এটি ইন্টারনেট কমিউনিকেশনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
OSI মডেল বাস্তবে কম ব্যবহৃত হলেও এটি একটি Reference Model হিসেবে কাজ করে। TCP/IP Model বাস্তব ইন্টারনেট ট্রান্সমিশনে বেশি ব্যবহৃত হয়।
Application Layer-- যেমন আপনি ব্রাউজারে Google.com খুললে সেটি OSI এর Application Layer থেকে শুরু হয়।
OSI মডেল শেখার মাধ্যমে ডেটা কীভাবে এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে যায় তা বোঝা যায়।
নেটওয়ার্ক সমস্যার troubleshooting সহজ হয়।
প্রতিটি লেয়ারের আলাদা আলাদা কাজ বুঝলে ইন্টারভিউ বা পরীক্ষায় ভালো স্কোর করা যায়।
পরীক্ষায় OSI Model প্রায়ই Long Question বা Short Note হিসেবে আসে।
Practical life এ Network Engineer, Cyber Security Analyst, System Admin হিসেবে কাজ করতে হলে OSI মডেল জানা আবশ্যক।
Keyword:
ওএসআই মডেল কী ও OSI Model কিভাবে কাজ করে?
ওএসআই মডেল কী ও OSI মডেলের লেয়ারসমূহ
ওএসআই মডেল
OSI Model কী এবং কিভাবে কাজ করে?
ওএসআই মডেল কী এবং কিভাবে কাজ করে?
OSI মডেলের স্তরগুলি কী কী?
OSI মডেলের প্রথম লেয়ারের নাম কী?
Osi মানে কি?
ওএসআই মডেল কয়টি লেয়ারে বিভক্ত?
OSI মডেল কি এবং কেন?
ওএসআই(OSI) মডেল কী এবং কিভাবে কাজ করে?