02 Jul, 2025
ক্যান্সার একটি জটিল এবং প্রাণঘাতী রোগ, যা ধীরে ধীরে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে এবং রোগীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে পুরোপুরি পরিবর্তন করে দেয়। যখন ক্যান্সার রোগী মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যান, তখন শরীরে ও মনোভাবে একাধিক পরিবর্তন দেখা দেয়।
এই পরিবর্তনগুলোকে আগে থেকে জানা থাকলে পরিবারের সদস্য ও পরিচর্যাকারীরা (caregivers) রোগীর প্রতি আরও সচেতন ও সহানুভূতিশীল হতে পারেন। এছাড়া, মৃত্যুর সময়কে স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণ করে তোলার জন্য মানসিক প্রস্তুতিও সহজ হয়।
এই বিষয়টি জানা জরুরি কারণ:
পরিবারের সদস্যরা যাতে আতঙ্কিত না হয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন
রোগীর কষ্ট কমানোর জন্য উপযুক্ত প্যালিয়েটিভ কেয়ার বা হসপিস সেবা দেওয়া যায়
মানসিকভাবে নিজেকে ও পরিবারকে প্রস্তুত করা সম্ভব হয়
মৃত্যুকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করার মানসিক শক্তি গড়ে তোলা যায়
সঠিক জ্ঞান থাকলে মৃত্যু কখন আসছে – তা বোঝা সম্ভব না হলেও, তার আগমনের সংকেতগুলো আমরা অনুভব করতে পারি এবং প্রস্তুতি নিতে পারি।
ক্যান্সারের “শেষ পর্যায়” (End Stage বা Terminal Stage) বলতে বোঝায় এমন একটি অবস্থা, যেখানে চিকিৎসাবিদ্যার দৃষ্টিকোণ থেকে রোগীর আর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না, এবং চিকিৎসার উদ্দেশ্য কেবল কষ্ট কমানো বা জীবনের মান উন্নত করা হয়।
নিচের কিছু লক্ষণ ও পরীক্ষার মাধ্যমে এই পর্যায়টি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে:
ক্যান্সার শরীরের কোন কোন অঙ্গে ছড়িয়ে পড়েছে (Metastasis)
রোগী কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশন থেরাপি নিচ্ছেন কি না এবং তার কার্যকারিতা
রোগীর ওজন, রক্তচাপ, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা, প্রস্রাবের পরিমাণ
রোগীর মানসিক ও শারীরিক প্রতিক্রিয়া (কথা বলার ক্ষমতা, খাওয়ার ক্ষমতা)
“No curative option remains” — আর কোনো নিরাময়মূলক চিকিৎসা বাকি নেই
চিকিৎসক রোগীর বেঁচে থাকার সময় ৬ মাস বা তার কম নির্ধারণ করেন
রোগীর অবস্থা দিনে দিনে অবনতির দিকে যাচ্ছে
দুর্বলতা চরমে পৌঁছানো
ক্যান্সারজনিত ব্যথা ও সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া
একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যকারিতা ব্যর্থ হওয়া
এই পর্যায় চিহ্নিত হলে চিকিৎসকরা সাধারণত প্যালিয়েটিভ কেয়ার বা হসপিস সেবার পরামর্শ দেন, যেখানে মূল লক্ষ্য হয় কষ্ট লাঘব করা এবং একটি মর্যাদাপূর্ণ শেষ জীবন নিশ্চিত করা।
ক্যান্সারের শেষ পর্যায়ে পৌঁছালে শরীর ধীরে ধীরে তার স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ করতে শুরু করে। এই সময় শরীর ও মনের মধ্যে কিছু লক্ষণ ধীরে ধীরে প্রকাশ পায়, যা মৃত্যুর ঘনিষ্ঠ ইঙ্গিত বহন করে। এসব লক্ষণ জানলে রোগীকে আরও শান্তিপূর্ণভাবে বিদায় জানানো সম্ভব হয়।
রোগী সাধারণত খাওয়া-দাওয়া থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। শক্তি কমে যাওয়ায় চিবানো বা গিলতে কষ্ট হয়। এমনকি প্রিয় খাবারও আগ্রহ জাগায় না।
রোগী দীর্ঘ সময় ধরে ঘুমিয়ে থাকেন বা চেতনাহীন অবস্থায় থাকেন। তারা ধীরে ধীরে আশপাশের বিষয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
শ্বাস অনিয়মিত হয়ে যায় – অনেক সময় দ্রুত আবার কখনো ধীর শ্বাস নেওয়া হয়। মাঝে মাঝে শ্বাস বন্ধ থাকে কিছু সময়ের জন্য, যাকে চেইন-স্টোকস রেসপিরেশন (Cheyne-Stokes respiration) বলে।
হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায় এবং শরীরের তাপমাত্রা ওঠানামা করে। রক্তসঞ্চালন কমে যাওয়ায় এমনটা হয়।
রক্ত চলাচল কমে যাওয়ায় ত্বক নীলচে, ধুসর বা ফ্যাকাসে দেখায়। বিশেষ করে হাত-পায়ের আঙুলে এটি বেশি লক্ষণীয় হয়।
কিডনির কার্যকারিতা ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে প্রস্রাবের পরিমাণ খুব কমে যায় বা একেবারে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। প্রস্রাব গাঢ় ও বাদামি হতে পারে।
রোগী কম কথা বলেন বা উত্তর না দিয়ে চুপ করে থাকেন। পরিচিতদের চিনতে পারেন না বা চোখের দিকে তাকাতে কষ্ট হয়।
চেতনা হারিয়ে যেতে থাকে। কেউ কেউ ঘুম ঘুম ভাবের মধ্যে থাকেন, কেউ আবার অস্পষ্টভাবে কিছু বলেন যা বোঝা যায় না।
এই লক্ষণগুলো সব রোগীর ক্ষেত্রে একসাথে বা একইভাবে দেখা নাও দিতে পারে। তবে একাধিক লক্ষণ একত্রে থাকলে, সেটি মৃত্যুর কাছাকাছি সময়ের একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত হতে পারে। এসময় রোগীর পাশে থেকে মানসিক শান্তি, ভালোবাসা ও সহানুভূতির প্রকাশ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।
ক্যান্সারের শেষ পর্যায়ে শুধু শারীরিক দুর্বলতা বা ব্যথাই নয়, রোগী মানসিক ও আবেগিক দিক থেকেও এক গভীর পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যান। মৃত্যুর সময় যত ঘনিয়ে আসে, ততই রোগীর মানসিক অবস্থাও জটিল হয়ে পড়ে। নিচে কয়েকটি সাধারণ মানসিক ও আবেগিক লক্ষণ তুলে ধরা হলো:
রোগী মৃত্যুর চিন্তায় ভীত বা উদ্বিগ্ন থাকতে পারেন। "আমি মারা যাচ্ছি" – এই উপলব্ধি অনেক সময় তাদের মনকে ভারাক্রান্ত করে তোলে।
অনেক রোগী খুব সহজে রেগে যান বা অস্থির হয়ে পড়েন। এটি তাদের অসহায়ত্বের প্রকাশ।
রোগী নিজেকে সমাজ ও পরিবারের বাইরে একজন “বোঝা” মনে করতে পারেন, যা গভীর মানসিক কষ্ট সৃষ্টি করে।
অনেকেই মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক বিষয় নিয়ে ভাবতে শুরু করেন – যেমনঃ পরকাল, ক্ষমা, মুক্তি ইত্যাদি।
কিছু রোগী পরিবার বা আশপাশের মানুষ থেকে দূরে সরে যান। তারা কম কথা বলেন, নিজের মধ্যে থাকেন।
এমন পরিস্থিতিতে রোগীর প্রতি ধৈর্য ও সহানুভূতির সঙ্গে আচরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
যখন একজন ক্যান্সার রোগী মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে থাকেন, তখন তার পরিবারের ভূমিকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। নিচে কিছু করণীয় দেওয়া হলো, যা এই সময় রোগীর মানসিক শান্তি ও মর্যাদাপূর্ণ বিদায়ে সহায়তা করে:
শুধু শারীরিক সেবাই নয়, পাশে বসে হাত ধরা, চোখে চোখ রাখা – এসব ছোট ছোট কাজ রোগীর মনকে অনেক শান্ত করে।
“তোমাকে ভালোবাসি”, “তুমি একা নও” – এমন বাক্য হৃদয় থেকে উচ্চারণ করুন। শেষ মুহূর্তে এই কথাগুলোর অর্থ অসীম।
রোগীর বিশ্বাস অনুযায়ী দোয়া, নামাজ, মন্ত্রপাঠ বা ধর্মীয় আলোচনা করলে তারা অনেকটা মানসিক শক্তি ফিরে পান।
সবসময় কথা বলতে হবে না, চুপ করে পাশে বসে থাকা বা হাত ধরে রাখা – এসব অনেক বেশি গভীরভাবে কাজ করে।
ঠোঁট শুকিয়ে গেলে পানি দেওয়া, বিছানা বদলানো, শরীর পরিষ্কার রাখা – এইসব কাজ শুধু পরিচর্যা নয়, ভালোবাসার প্রকাশ।
রোগীর ইচ্ছা, বিশ্বাস ও স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে শান্তিপূর্ণভাবে তাকে বিদায় জানানো উচিত।
ক্যান্সার রোগীর শেষ পর্যায়ে ঘন ঘন শারীরিক ও মানসিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় পরিবার নিজেরাই রোগীর পরিচর্যা করতে চেষ্টা করে, কিন্তু কিছু সংকেত আছে যেখানে অবশ্যই চিকিৎসা বা প্রশিক্ষিত প্যালিয়েটিভ কেয়ার টিমের সহায়তা নেওয়া উচিত।
ব্যথা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া
বারবার শ্বাসকষ্ট হওয়া বা অক্সিজেনের প্রয়োজন
বারবার বমি বা তরল গ্রহণে অক্ষমতা
প্রস্রাব বা পায়খানা নিয়ন্ত্রণ হারানো
রোগী মানসিকভাবে বিভ্রান্ত হয়ে পড়া বা আচরণগত সমস্যা
জ্বর, সংক্রমণ বা অতিরিক্ত দুর্বলতা
হঠাৎ অচেতন বা প্রতিক্রিয়াহীন হয়ে যাওয়া
এই পরিস্থিতিতে রোগীকে কষ্টমুক্ত রাখতে পেশাদার প্যালিয়েটিভ কেয়ার বা হসপিস সেবা খুবই কার্যকর। চিকিৎসক রোগীর শেষ সময়কে আরও মানবিক, ব্যথাহীন ও সম্মানজনক করে তুলতে সাহায্য করেন।
মৃত্যু অবধারিত হলেও তা যেন কষ্টদায়ক না হয়, সেটিই প্যালিয়েটিভ কেয়ার ও হসপিস সেবার মূল লক্ষ্য। এই সেবা সাধারণত শেষ পর্যায়ের রোগীদের জন্য দেওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসা আর নিরাময় নয়, বরং আরাম ও মানসিক প্রশান্তি প্রাধান্য পায়।
ব্যথা ও শারীরিক কষ্ট কমানোর ব্যবস্থা
মানসিক চাপ কমাতে কাউন্সেলিং
পরিবারকে প্রস্তুত করা ও মানসিক সাপোর্ট
ঘরে কিংবা হসপিস সেন্টারে সার্বক্ষণিক সেবা প্রদান
ধর্মীয়/আধ্যাত্মিক চাহিদা পূরণে সহায়তা
Hospice Bangladesh
ASHIC Foundation
Bangladesh Palliative and Supportive Care Foundation (BPSCF)
যারা এসব সেবা দিয়ে থাকে। চাইলে স্থানীয় চিকিৎসক বা অনলাইন মাধ্যমেও আপনি এমন সেবা খুঁজে পেতে পারেন।
একজন ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর সময়টা শুধু একজন মানুষের নয় – পুরো পরিবারের জন্যই এক সংবেদনশীল সময়। তাই মৃত্যুকে ভয় নয়, বরং প্রস্তুতির মাধ্যমে সম্মান জানানোই শ্রেয়। মৃত্যুর আগের মুহূর্তগুলোতে ভালোবাসা, দয়া ও সহানুভূতির প্রকাশই সবচেয়ে বড় দান।
রোগীর কষ্ট কমানোই প্রাধান্য দেওয়া উচিত
মানসিক শান্তির পরিবেশ তৈরি করা উচিত
পরিবারের সবার মানসিক প্রস্তুতি থাকা উচিত
মৃত্যুকে স্বাভাবিক জীবনের অংশ হিসেবে গ্রহণ করা উচিত
একটি মর্যাদাপূর্ণ ও কষ্টমুক্ত বিদায় শুধু রোগীর নয়, পরিবারের মানসিক শান্তির জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার (অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার) সবচেয়ে মারাত্মক ধরা হয় কারণ এটি দ্রুত ছড়ায় এবং প্রাথমিকভাবে ধরা পড়ে না।
সাধারণত ক্যান্সারের ৪টি ধাপ (Stage I–IV) রয়েছে। শেষ ধাপকে “মেটাস্টেটিক” বা ছড়ানো পর্যায় বলা হয়।
অস্বাভাবিক ফোলা, দীর্ঘমেয়াদি কাশি, হঠাৎ ওজন কমা, রক্তপাত, ঘন ঘন ক্লান্তি ইত্যাদি ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। পরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিত হওয়া যায় না।
প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে অনেক ক্যান্সারই সম্পূর্ণ ভালো হয়। তবে স্টেজ ও ক্যান্সারের ধরণ অনুযায়ী এটি ভিন্ন হতে পারে।
হ্যাঁ, অনেক ক্ষেত্রেই কেমোথেরাপি ক্যান্সারকে ছোট করে বা সম্পূর্ণ নির্মূল করতে পারে। তবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও থাকে।
প্যানক্রিয়াটিক ক্যান্সার, ব্রেন ক্যান্সার (গ্লিওব্লাস্টোমা), ও ফুসফুস ক্যান্সার — এরা মৃত্যুহার বেশি।
এটি নির্ভর করে ক্যান্সারের ধরণ, স্টেজ, চিকিৎসা, ও রোগীর অবস্থা অনুযায়ী। কেউ মাসখানেক, কেউবা বহু বছর বাঁচেন।
CT scan, MRI, Biopsy, PET scan, Tumor Marker Test (যেমনঃ CA-125, PSA), Endoscopy ইত্যাদি।
হ্যাঁ, তবে সব ক্ষেত্রে নয়। যদি প্রাথমিক স্টেজে ধরা পড়ে ও চিকিৎসা হয়, তাহলে অনেকেই সুস্থ থাকেন।
যদি প্রাথমিক স্টেজে ধরা পড়ে, তাহলে ৫ বছরের সারভাইভাল রেট 90% পর্যন্ত। স্টেজ ৪ হলে অনেক কমে যায়।
বেশি ফলমূল, শাকসবজি, আঁশযুক্ত খাবার, গ্রিন টি, মাছ; কম চর্বিযুক্ত ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চললে ক্যান্সার ঝুঁকি কমে।
এটি নির্ভর করে কোন ধরণের ব্রেন টিউমার। কিছু ধরণ ভালো হয়ে যায়, আবার কিছু খুব আগ্রাসী হয়। যেমন গ্লিওব্লাস্টোমা খুব মারাত্মক।
Stage 4 বা মেটাস্টেটিক স্টেজ, যেখানে ক্যান্সার শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে এবং নিরাময় সম্ভব হয় না।
কিছু ক্যান্সার ৩য় স্টেজে হলেও চিকিৎসার মাধ্যমে অনেকাংশে নিরাময় সম্ভব। তবে চিকিৎসা আগ্রাসী হয়।
মাথাব্যথা, বমি, স্মৃতিভ্রংশ, কথা জড়িয়ে যাওয়া, দৃষ্টিশক্তি সমস্যা ইত্যাদি। সব টিউমার ক্যান্সার নয়; কিছু benign (অ-বিপজ্জনক) হয়।
শ্বাসকষ্ট, রক্ত কাশি, কণ্ঠে ঘড়ঘড়, দুর্বলতা, চেতনা হারানো ইত্যাদি মৃত্যুর আগের লক্ষণ হতে পারে।
এটি শেষ ধাপ যেখানে ক্যান্সার লিভার ছাড়াও শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। নিরাময়ের সম্ভাবনা কম থাকে।
লিউকেমিয়া হলো ব্লাড ক্যান্সারের এক ধরনের। এছাড়াও লিম্ফোমা ও মাইলোমা নামক ব্লাড ক্যান্সারের অন্যান্য ধরন রয়েছে।
অতিরিক্ত ক্লান্তি, অ্যানিমিয়া, রক্তপাত, সংক্রমণ, হাড়ে ব্যথা, চেতনা হারানো ইত্যাদি মৃত্যুর কাছাকাছি সময়ের ইঙ্গিত হতে পারে।