ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর ১০ লক্ষণ

02 Jul, 2025

ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর ১০ লক্ষণ

বর্তমানে ক্যান্সার একটি ভয়ংকর রোগ হিসেবে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, এবং অনেক সময় এই রোগটি প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত না হওয়ায় জটিল আকার ধারণ করে। অথচ, শুরুতেই কিছু লক্ষণ চিনে নিতে পারলে অনেকাংশে জীবন বাঁচানো সম্ভব। এই লেখায় আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর ১০ লক্ষণ নিয়ে, যা সময়মতো বুঝে নেওয়া জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর ১০ লক্ষণ — 

  • অবিচার্য ওজন হ্রাস (Unexplained Weight Loss)

  • নিস্তেজতা বা অতিরিক্ত ক্লান্তি (Persistent Fatigue)

  • চামড়ায় অস্বাভাবিক পরিবর্তন (Skin Changes)

  • দীর্ঘস্থায়ী কাশি বা কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন (Chronic Cough or Hoarseness)

  • ঘন ঘন জ্বর বা সংক্রমণ (Frequent Infections or Fever)

  • আঘাত না লাগলেও রক্তপাত বা ক্ষত না শুকানো (Unusual Bleeding or Non-healing Sores)

  • গাঁট বা ফোলাভাব (Lump or Swelling Anywhere in the Body)

  • খাবারে অরুচি ও হজমে সমস্যা (Loss of Appetite and Digestive Issues)

  • মলমূত্রে পরিবর্তন (Changes in Bowel or Bladder Habits)

  • ব্যথা যা নিরবচ্ছিন্ন ও অকারণে হয় (Persistent and Unexplained Pain)

নিচে লক্ষণের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হলো:

১. অবিচার্য ওজন হ্রাস (Unexplained Weight Loss)

ক্যান্সার আক্রান্ত অনেক রোগীর প্রথম লক্ষণই হতে পারে হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া—যার কোনো সুস্পষ্ট কারণ নেই।

  • যদি আপনি ৬ মাসে আপনার শরীরের ১০% বা তার বেশি ওজন হারান, তবে সেটা উদ্বেগজনক হতে পারে।

  • ক্যান্সার কোষ শরীরে অতিরিক্ত শক্তি ব্যবহার করে এবং বিপাকক্রিয়া (metabolism) বাড়িয়ে তোলে, যার ফলে ওজন কমে যায়।

  • বিশেষ করে পাকস্থলি, অগ্ন্যাশয় (pancreas), খাদ্যনালী (esophagus) এবং ফুসফুসের ক্যান্সারে এই লক্ষণটি বেশি দেখা যায়।
     পরামর্শ: এই ধরনের ওজন হ্রাস হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি—even যদি আপনার ক্ষুধা ঠিকঠাক থাকে।


২. নিস্তেজতা বা অতিরিক্ত ক্লান্তি (Persistent Fatigue)

সাধারণ ক্লান্তি বিশ্রাম নিলে ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু ক্যান্সারজনিত ক্লান্তি হয় দীর্ঘস্থায়ী, বিশ্রাম নিলেও কমে না।

  • এটি শরীরের ভেতরে চলমান রোগপ্রক্রিয়ার কারণে ঘটে, যেমন:

    • শরীরের রক্তশূন্যতা (anemia),

    • ক্যান্সার কোষ থেকে নিঃসৃত বিষাক্ত পদার্থ,

    • শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা বেশি সক্রিয় হওয়া ইত্যাদি।

  • অনেক সময় এই ক্লান্তির সাথে মাথা ঝিমঝিম করা, মনোযোগ কমে যাওয়া বা হাঁটতে কষ্ট হওয়া দেখা যায়।

 পরামর্শ: যদি দীর্ঘদিন ধরে এই ধরণের ক্লান্তি থাকে এবং এর পেছনে কোনো স্পষ্ট কারণ না থাকে (যেমন ঘুমের সমস্যা, কাজের চাপ ইত্যাদি), তবে ডাক্তারি পরীক্ষা জরুরি।


৩. চামড়ায় অস্বাভাবিক পরিবর্তন (Skin Changes)

চামড়ায় হঠাৎ করে কিছু অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা দিলে তা ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে, বিশেষ করে ত্বক ক্যান্সারের ক্ষেত্রে।

লক্ষণগুলো হতে পারে:

  • নতুন কোনো তিল (mole) উঠা বা পুরনো তিলে রঙ, আকার, ঘনত্ব বা সীমানার পরিবর্তন

  • ত্বকের কোনো অংশে অস্বাভাবিক লালচে বা গা darkা ছোপ

  • ত্বকে ঘন ঘন ফুসকুড়ি ওঠা বা চুলকানি

  • ক্ষত বা ঘা যা অনেকদিনেও শুকায় না

  • ত্বক শুকিয়ে যাওয়া, মোটা হয়ে যাওয়া বা আঁশটে ভাব

পরামর্শ: ত্বকে যদি হঠাৎ এমন কিছু পরিবর্তন দেখা যায় এবং ২-৩ সপ্তাহেও ভালো না হয়, তবে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ বা অনকোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত।


৪. দীর্ঘস্থায়ী কাশি বা কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন (Chronic Cough or Hoarseness)

  • একটানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কাশি থাকলে এবং তা সাধারণ সর্দি-জ্বর ছাড়া অন্যকিছু মনে হলে তা চিন্তার বিষয়।

  • ফুসফুস ক্যান্সার, গলার ক্যান্সার, বা খাদ্যনালীর ক্যান্সারে এই ধরনের লক্ষণ দেখা যায়।

সম্ভাব্য উপসর্গ:

  • কাশির সাথে রক্ত আসা

  • কণ্ঠস্বর বদলে যাওয়া বা কর্কশ হয়ে যাওয়া

  • শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া

  • বুকে ব্যথা

পরামর্শ: নিয়মিত ধূমপান করেন বা দূষণযুক্ত পরিবেশে থাকেন এবং এই লক্ষণ থাকে—তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।


৫. ঘন ঘন জ্বর বা সংক্রমণ (Frequent Infections or Fever)

জ্বর বা সংক্রমণ আমাদের শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার প্রতিক্রিয়া। কিন্তু যদি আপনি বারবার অসুস্থ হন বা অকারণে জ্বর আসে, সেটা অস্বাভাবিক হতে পারে।

  • বিশেষ করে লিউকেমিয়া (Leukemia) বা রক্ত ক্যান্সারে শরীর সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে অক্ষম হয়ে পড়ে।

সাধারণ লক্ষণ:

  • হালকা কিন্তু বারবার জ্বর আসা

  • ঠাণ্ডা বা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো উপসর্গ ঘন ঘন হওয়া

  • শরীর দুর্বল অনুভব করা

  • মুখে ঘা বা মাড়িতে ব্যথা

  • ঘাম especially রাতে

পরামর্শ: বারবার ইনফেকশন বা জ্বর হলে তা হালকাভাবে নেবেন না। রক্তের পূর্ণ পরীক্ষা করিয়ে নিন।


৬. আঘাত না লাগলেও রক্তপাত বা ক্ষত না শুকানো (Unusual Bleeding or Non-healing Sores)

শরীরের যেকোনো অংশে অকারণে রক্তপাত বা কোনো ক্ষত দীর্ঘদিন না শুকানো ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

সাধারণ লক্ষণ:

  • মুখ বা মাড়িতে রক্ত আসা (মুখগহ্বর ক্যান্সার)

  • পায়খানায় রক্ত (কোলন বা রেকটাল ক্যান্সার)

  • প্রস্রাবে রক্ত (মূত্রথলি বা কিডনির ক্যান্সার)

  • মেয়েদের মাসিকের বাইরে রক্তপাত (জরায়ু বা সার্ভিক্স ক্যান্সার)

  • ত্বকে ছোট আঘাতে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত যা ভালো হচ্ছে না

পরামর্শ: যদি এই ধরনের রক্তপাত বা ক্ষত শুকাতে দীর্ঘ সময় লাগে (২ সপ্তাহের বেশি), তবে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন।


৭. গাঁট বা ফোলাভাব (Lump or Swelling Anywhere in the Body)

শরীরের যে কোনো অংশে নতুন গাঁট বা অস্বাভাবিক ফোলাভাব ক্যান্সারের শুরুতে একটি সাধারণ লক্ষণ হতে পারে।

লক্ষণ ও জায়গাসমূহ:

  • স্তনে গাঁট (Breast Cancer)

  • গলায় ফোলা গ্রন্থি (Throat বা Thyroid Cancer)

  • বগল বা কুঁচকিতে গাঁট

  • অণ্ডকোষে ফোলা বা গুটির মতো গাঁট

এই গাঁটগুলো সাধারণত ব্যথাহীন হয় এবং আস্তে আস্তে বড় হয়।

পরামর্শ: শরীরে যেকোনো নতুন গাঁট ২ সপ্তাহের বেশি থাকলে বা আকারে বাড়তে থাকলে, দেরি না করে চেকআপ করান।


৮. খাবারে অরুচি ও হজমে সমস্যা (Loss of Appetite and Digestive Issues)

হঠাৎ করে খেতে ইচ্ছা না করা বা খাবার খেলেই অস্বস্তি বোধ করাও ক্যান্সারের একটি অশুভ ইঙ্গিত হতে পারে।

লক্ষণ:

  • ক্ষুধা কমে যাওয়া

  • খাবার গলায় আটকে যাওয়ার মতো অনুভূতি

  • খাওয়ার পর বমি বমি ভাব বা ঢেঁকুর

  • পেট ফাঁপা, গ্যাস, বা হজমে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা

  • খাবার খেলেও ওজন না বাড়া

এগুলো পাকস্থলি, যকৃত (liver), অগ্ন্যাশয় (pancreas) বা খাদ্যনালীর ক্যান্সার ইঙ্গিত দিতে পারে।

পরামর্শ: এই লক্ষণগুলো যদি ২-৩ সপ্তাহ বা তার বেশি সময় স্থায়ী হয়, তবে গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্টের পরামর্শ জরুরি।


৯. মলমূত্রে পরিবর্তন (Changes in Bowel or Bladder Habits)

মলমূত্র ত্যাগের অভ্যাসে হঠাৎ পরিবর্তন, যা দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং সাধারণ কারণ ছাড়াও ঘটে, তা ক্যান্সারের ইঙ্গিত হতে পারে।

মলের ক্ষেত্রে লক্ষণ:

  • ঘন ঘন ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য

  • মলের রং কালচে বা রক্ত মেশানো

  • মল ত্যাগের সময় চাপ বা ব্যথা

  • মনে হওয়া পেট পুরোপুরি পরিষ্কার হয়নি

এই উপসর্গগুলো কোলন বা রেকটাল ক্যান্সারের ইঙ্গিত হতে পারে।

মূত্রের ক্ষেত্রে লক্ষণ:

  • প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া বা ব্যথা

  • প্রস্রাবের সময় রক্ত

  • ঘন ঘন প্রস্রাব লাগা, বিশেষ করে রাতে

  • প্রস্রাব আটকে যাওয়া বা কষ্ট হওয়া

এই লক্ষণগুলো প্রোস্টেট, কিডনি বা ব্লাডার ক্যান্সারের দিকে ইঙ্গিত দিতে পারে।

পরামর্শ: নিয়মিত অভ্যাসের বাইরে এমন পরিবর্তন ২ সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হলে ডাক্তারি পরীক্ষা জরুরি।


১০. ব্যথা যা নিরবচ্ছিন্ন ও অকারণে হয় (Persistent and Unexplained Pain)

ব্যথা সাধারণত কোনো আঘাত বা প্রদাহের কারণে হয়। কিন্তু যদি অকারণে এবং দীর্ঘদিন ধরে কোনো স্থানে ব্যথা অনুভব হয়, তা হতে পারে গভীর কোনো সমস্যার লক্ষণ।

ব্যথার ধরন ও জায়গা:

  • মাথাব্যথা: ব্রেন টিউমার

  • পেটব্যথা: লিভার বা পাকস্থলি ক্যান্সার

  • হাড় বা পিঠে ব্যথা: হাড়ের ক্যান্সার বা ছড়িয়ে পড়া (metastatic) ক্যান্সার

  • বুকে ব্যথা: ফুসফুস বা খাদ্যনালীর ক্যান্সার

  • মাসল বা জয়েন্টে ব্যথা

ব্যথা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, ওষুধে না কমে এবং ঘন ঘন ফিরে আসে—তাহলে অবহেলা করা ঠিক নয়।

পরামর্শ: সাধারণ ব্যথা এক সপ্তাহে কমে যাওয়ার কথা, যদি ২ সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়, চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

এই ১০টি লক্ষণ সবসময়ই ক্যান্সার নির্দেশ করে না, কিন্তু যখন এসব লক্ষণ দীর্ঘস্থায়ী হয় ও কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই ঘটে, তখন তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। দ্রুত চেকআপ করানো জীবন বাঁচাতে পারে।

ক্যান্সার কোন নিরব ঘাতক। তবে সচেতন থাকলে সময়মতো এর লক্ষণগুলো ধরতে পারা যায়। আমরা যে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর ১০ লক্ষণ সম্পর্কে আলোচনা করলাম, সেগুলো আপনার নিজের ও প্রিয়জনদের স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন হতে সাহায্য করবে। মনে রাখবেন, যেকোনো অসুস্থতা শুরুতেই চিনতে পারাই চিকিৎসার সবচেয়ে বড় সুযোগ। তাই কোনো লক্ষণকে অবহেলা না করে প্রয়োজনীয় পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া জরুরি। সুস্থ থাকুন, সচেতন থাকুন।


 

FAQ: ক্যান্সার সম্পর্কে সাধারণ জিজ্ঞাসা

শরীরে ক্যান্সার হলে কি কি লক্ষণ দেখা যায়?

 হঠাৎ ওজন হ্রাস, দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি, অকারণে ব্যথা, গাঁট বা ফোলাভাব, রক্তপাত, ক্ষত না শুকানো, চামড়ায় পরিবর্তন ইত্যাদি ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। বিস্তারিত জানতে পড়ুন: ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর ১০ লক্ষণ


ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য কোনটি দায়ী?

 ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত রোদ, জেনেটিক মিউটেশন, বিষাক্ত কেমিক্যাল, ভাইরাস (যেমন HPV, Hepatitis B/C) – সবই ক্যান্সার সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখতে পারে।


ক্ষত ক্যান্সার হলে কিভাবে বুঝবো?

 যদি কোনো ক্ষত ২ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে না শুকায়, রক্ত বা পূজ বের হয়, আকার বাড়ে বা ব্যথা হয়—তাহলে তা ক্যান্সার হতে পারে। ত্বক বিশেষজ্ঞ বা অনকোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।


ক্যান্সার হলে কত দিন বাঁচে?

 এটি নির্ভর করে ক্যান্সারের ধরন, স্টেজ এবং চিকিৎসা শুরু হওয়ার সময়ের ওপর। অনেকেই সঠিক চিকিৎসা নিয়ে দীর্ঘদিন বাঁচেন। তবে দেরিতে ধরা পড়লে ঝুঁকি বাড়ে।


ক্যান্সারের শেষ স্টেজ কী?

Stage 4 বা শেষ স্টেজে ক্যান্সার শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে (Metastasis)। এ পর্যায়ে রোগীর অবস্থা জটিল হয় এবং চিকিৎসা হয় মূলত উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে।


৩য় স্টেজ ক্যান্সার কি নিরাময়যোগ্য?

 হ্যাঁ, নির্ভর করে ক্যান্সারের ধরন ও রোগীর শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী। Stage 3 ক্যান্সারে অনেক সময় কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি ও সার্জারির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।


ক্যান্সারের টেস্টের নাম কি?

 ক্যান্সার নির্ণয়ে ব্যবহৃত সাধারণ টেস্টগুলো:

  • Blood test (CBC, tumor markers)

  • Imaging: CT scan, MRI, PET scan

  • Biopsy: টিস্যু পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া

  • Endoscopy, Colonoscopy, ইত্যাদি নির্ভর করে অংশবিশেষের ওপর।


কেমোথেরাপির দাম কত বাংলাদেশে?

 বাংলাদেশে কেমোথেরাপির এক কোরসের খরচ সাধারণত ৮,০০০ – ৫০,০০০ টাকা বা তার বেশি, নির্ভর করে ক্যান্সারের ধরন, ওষুধ এবং হাসপাতালের ওপর। কেমোথেরাপির খরচ আনলিমিটেড এবং অস্পষ্ট ।


কেমোথেরাপি দিলে কি ক্যান্সার ভালো হয়?

অনেক সময় কেমোথেরাপি ক্যান্সারকে পুরোপুরি ধ্বংস করে বা নিয়ন্ত্রণে রাখে। কিছু ক্যান্সার কেমোর মাধ্যমে সম্পূর্ণ নিরাময় হয়, আবার কিছু ক্ষেত্রে এটি জীবনের সময় বাড়ায়।


কি খেলে ক্যান্সার প্রতিরোধ হয়?

অ্যান্টি-অক্সিডেন্টযুক্ত খাবার যেমন:

  • লাল টমেটো 

  • গাজর 

  • সবুজ শাকসবজি 

  • হলুদ (Turmeric)

  • রসুন 

  • সবুজ চা 
    এসব খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।


কোন খাবার খেলে ক্যান্সার হয় না?

 প্রাকৃতিক, অপ্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন ফলমূল, শাকসবজি, বাদাম, মশলা—ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। পাশাপাশি ফাস্ট ফুড, জর্দা-সুপারি, অতিরিক্ত লাল মাংস এড়িয়ে চলা উচিত।


কোন যৌগ ত্বকের ক্যান্সার ঘটায়?

 অতিরিক্ত UV রশ্মি, arsenic, ও কিছু কেমিক্যাল যেমন polycyclic aromatic hydrocarbons (PAHs) ত্বকের ক্যান্সার ঘটাতে পারে।


ক্যান্সার কি সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য?

অনেক ক্যান্সার ধরা পড়লে শুরুতেই পুরোপুরি নিরাময় হয়। যেমন: Testicular, Thyroid, Skin ক্যান্সার ইত্যাদি। তবে দেরিতে ধরা পড়লে জটিলতা বাড়ে।


সবচেয়ে মারাত্মক ক্যান্সার কোনটি?

 সাধারণত Pancreatic, Lung, Brain এবং Liver ক্যান্সার সবচেয়ে মারাত্মক এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম।


বাংলাদেশের সেরা ক্যান্সার হাসপাতাল কোনটি?

 

  • National Institute of Cancer Research & Hospital (NICRH), Mohakhali

  • Delta Medical, Labaid, Square Hospitals, United Hospital – প্রাইভেট সেক্টরে সেবা দিয়ে থাকে।


কোলন ক্যান্সার হলে মানুষ কি বাঁচে?

 হ্যাঁ, যদি শুরুতে ধরা পড়ে এবং চিকিৎসা ঠিকমতো হয়, তাহলে কোলন ক্যান্সারে ভালোভাবে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি।


ক্যান্সার কত প্রকার ও কি কি?

সাধারণভাবে ক্যান্সার ৫টি প্রধান প্রকারে ভাগ করা হয়:

  1. Carcinoma

  2. Sarcoma

  3. Leukemia

  4. Lymphoma

  5. Central nervous system cancers


কেমোথেরাপি খরচ কত বাংলাদেশে?

 প্রতি সেশন ৮,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। উন্নত হাসপাতালে এবং বিদেশি ওষুধ ব্যবহারে খরচ আরও বাড়তে পারে।


ক্যান্সার চিকিৎসায় কত টাকা খরচ হয়?

পুরো চিকিৎসায় (কেমো, রেডিও, সার্জারি, টেস্টসহ) একেক রোগীর ক্ষেত্রে ১-৫ লাখ টাকা বা তার বেশি খরচ হতে পারে। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে খরচ আরও বাড়তে পারে।