02 Jul, 2025
রোগ-ব্যাধি মানুষের জীবনের বাস্তবতা। কখনো তা শারীরিক, আবার কখনো মানসিক। ইসলামে রোগকে শুধু বিপদ হিসেবে নয়, পরীক্ষা ও গোনাহ মোচনের মাধ্যম হিসেবে দেখা হয়। আর রোগ হলে শুধু চিকিৎসা গ্রহণই নয়, পাশাপাশি আল্লাহর কাছে দোয়া করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ রোগ যত বড়ই হোক, আল্লাহর করুণা তার চেয়েও বড়।
রাসুল (সা.) বলেন,
“আল্লাহ কোনো রোগ দেননি, যার কোনো চিকিৎসা রাখেননি।” (বুখারি: ৫৬৭৮)
চিকিৎসা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি দোয়া হচ্ছে একান্ত আত্মিক চিকিৎসা। দোয়া এমন এক ইবাদত, যা বিপদের সময় যেমন কাজে আসে, তেমনি সুস্থতার সময়ও রক্ষা করে।
নবী করিম (সা.) আমাদের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ দোয়া শিখিয়েছেন, যা মৃত্যু ছাড়া সব রোগ থেকে মুক্তির জন্য অত্যন্ত উপকারী। রোগাক্রান্ত কারো ওপর তিনি নিজের হাতে এই দোয়া পড়ে ফুঁ দিতেন।
অর্থ : হে আল্লাহ! মানুষের প্রতিপালক, কষ্ট দূরকারী। আমাকে আরোগ্য দিন, আপনি আরোগ্যকারী—আপনি ছাড়া কোনো আরোগ্যকারী নেই। এমন আরোগ্য দাও যে, কোনো রোগ অবশিষ্ট না থাকে।
হাদিস সূত্র:
সহিহ বুখারি ও মুসলিমে এ দোয়াটি এসেছে। এটি রাসুল (সা.) অসুস্থ কাউকে দেখে দোয়া করতেন।
এটি সরাসরি রাসুল (সা.)-এর শিখানো।
এতে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে:
আল্লাহর প্রতি আকুতি
তাঁর একমাত্র ক্ষমতার স্বীকৃতি
পরিপূর্ণ আরোগ্য কামনা
হালাল জীবিকা থাকা
মনোযোগ ও একাগ্রতার সঙ্গে দোয়া করা
দোয়ার প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখা
পাপ ও গুনাহ থেকে দূরে থাকা
বেশি বেশি নেক কাজ করা
রোগ বা দুঃখকে গোনাহ মাফের সুযোগ হিসেবে দেখা
মাজারে গিয়ে রোগ মুক্তির আশায় মানত মানা বা দোয়া করা শিরক।
তাবিজ, কবজ, সুতা, চোখ রক্ষা কবচ—সব শিরক unless কোরআনের আয়াত দিয়ে সহিহভাবে করা হয়।
আরোগ্য শুধু আল্লাহর কাছেই কামনা করা উচিত।
নামাজের পর
ঘুমানোর আগে
অসুস্থ কাউকে দেখতে গেলে
নিজের অসুস্থতা হলে
প্রতিদিন সকালে ও রাতে
"رَبَّ النَّاسِ" – আল্লাহ সব মানুষের প্রতিপালক, তিনিই রোগ দেন, তিনিই আরোগ্য দেন।
"أَذْهِبِ الْبَأْسَ" – কষ্ট বা রোগ দূর করে দাও।
"لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ" – একমাত্র আরোগ্যদাতা তুমি।
"شِفَاءً لَا يُغَادِرُ سَقَمًا" – এমন শিফা দাও, যাতে কোনো অসুখই অবশিষ্ট না থাকে।
এটি শুধু মুখে পড়ার জন্য নয়, বরং পূর্ণ বিশ্বাস, একাগ্রতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে পাঠ করলে দোয়ার প্রভাব বাস্তবেই অনুভব করা যায়।
দোয়া করার নির্দিষ্ট কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, তবে কিছু সময় এবং অবস্থায় দোয়া করলে তা কবুলের সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর দোয়ার জন্য বিশেষ কোনো ভাষা নির্ধারিত নয়, তবে রাসুল (সা.)-এর শেখানো দোয়া সর্বোত্তম।
নামাজের পর (বিশেষত ফরজ নামাজ)
রাতের শেষ প্রহরে (তাহাজ্জুদের সময়)
রোজা অবস্থায় এবং ইফতারের আগে
আযানের সময় ও আযানের পর
বৃষ্টির সময়
বিপদের সময়, অসুস্থ অবস্থায়, দুঃখ-কষ্টে
অজু থাকা উত্তম
কিবলামুখী হয়ে বসা
দুআর শুরুতে আল্লাহর প্রশংসা ও দুরূদ শরিফ পাঠ করা
নিজ ভাষায় বা হাদিসে বর্ণিত দোয়া পাঠ করা
আত্মবিশ্বাস ও আশা নিয়ে দোয়া করা
শেষেও দুরূদ শরিফ পাঠ করা
দোয়া শুধু মুখের কথা নয়, বরং একটি আত্মিক আবেদন। কুরআন-হাদিসে দোয়া কবুলের জন্য কিছু শর্তের কথা বলা হয়েছে:
হালাল উপার্জন ও হালাল খাবার খাওয়া
আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রাখা
মনোযোগ ও আন্তরিকতা সহকারে দোয়া করা
অপবিত্রতা ও গোনাহ থেকে বিরত থাকা
ধৈর্য ধরা ও তাড়াহুড়া না করা
নেক কাজে আগ্রহী হওয়া
দোয়ায় শুধু ভালো জিনিস চাওয়া (কোনো গোনাহ বা সম্পর্ক ছিন্ন করার দোয়া নয়)
হাদিসে এসেছে:
“তোমাদের কেউ যেন না বলে—‘আমি তো দোয়া করেছি, কিন্তু কবুল হয়নি।’”
(সহিহ বুখারি: ৬৩৪০)
بَاب مَا عَوَّذَ بِهِ النَّبِيُّ ﷺ وَمَا عُوِّذَ بِهِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ رَبِّهِ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَانَ مِمَّا يَقُولُ لِلْمَرِيضِ بِبُزَاقِهِ بِإِصْبَعِهِ " بِسْمِ اللَّهِ بِتُرْبَةِ أَرْضِنَا بِرِيقَةِ بَعْضِنَا لِيُشْفَى سَقِيمُنَا بِإِذْنِ رَبِّنَا " .
আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর আংগুলে লালা লাগিয়ে রোগীর জন্য এই বলে দোয়া করতেনঃ ’’বিসমিল্লাহ তুরবাতু আরদিনা বিরীকাতি বাদিনা লিয়াশফা সাকীমুনা বিইযনি রব্বিনা ’’ (আল্লাহর নামে আমাদের এ যমীনের মাটি আমাদের কারো লালার সাথে মিশিয়ে দিলাম, যেন তাতে আমাদের প্রভুর নির্দেশে আমাদের রোগী আরোগ্য লাভ করে)।
(ইবনে মাজাহ: ৩৫২১)
بَاب رُقْيَةِ النَّبِيِّصلى الله عليه وسلم
دَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ رَبِّهِ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عَمْرَةَ، عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ لِلْمَرِيضِ " بِسْمِ اللَّهِ، تُرْبَةُ أَرْضِنَا. بِرِيقَةِ بَعْضِنَا، يُشْفَى سَقِيمُنَا بِإِذْنِ رَبِّنَا
’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোগীর জন্য (মাটিতে ফুঁ দিয়ে) এ দু’আ পড়তেনঃ আল্লাহর নামে আমাদের দেশের মাটি এবং আমাদের কারও থুথু, আমাদের প্রতিপালকের নির্দেশে আমাদের রোগীকে আরোগ্য দান করে। [৫৭৪৬; মুসলিম ৩৯/২১, হাঃ ২১৯৪, আহমাদ ২৪৬৭১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩২৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২২১)
(সহিহ বুখারি, ৫৭৪৫)
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ وَرْدَانَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَجُلاً، جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَىُّ الدُّعَاءِ أَفْضَلُ قَالَ " سَلْ رَبَّكَ الْعَافِيَةَ وَالْمُعَافَاةَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ " . ثُمَّ أَتَاهُ فِي الْيَوْمِ الثَّانِي فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَىُّ الدُّعَاءِ أَفْضَلُ فَقَالَ لَهُ مِثْلَ ذَلِكَ ثُمَّ أَتَاهُ فِي الْيَوْمِ الثَّالِثِ فَقَالَ لَهُ مِثْلَ ذَلِكَ . قَالَ " فَإِذَا أُعْطِيتَ الْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَأُعْطِيتَهَا فِي الآخِرَةِ فَقَدْ أَفْلَحْتَ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ سَلَمَةَ بْنِ وَرْدَانَ .
ইউসুফ ইবন ঈসা (রহঃ) ...... আনাস ইবন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, জনৈক ব্যাক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এল। বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ কোন দু’আ সর্বোত্তম?
তিনি বললেনঃ তোমার রবের কাছে যাঞ্চা করবে সুস্থতা এবং দুনিয়া ও আখেরাতের বিপদমুক্তি। লোকটি দ্বিতীয় দিন আবার এল। বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! সর্বোত্তম দু’আ কোনটি? তিনি এই দিনও তাকে আগের মত জওয়াব দিলেন। পরে সে তৃতীয় দিনও এল। এবারও তিনি আগের মতই জওয়াব দিলেন এবং বললেনঃ দুনিয়াতে তুমি যদি বিপদমুক্ত থাক আর আখিরাতেও তা পাও, তবে তুমি সফলকাম হলে।
যঈফ, ইবনু মাজাহ ৩৮৪৮, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৫১২
আল্লাহ তাআলা কোরআনকে শুধু হেদায়াত নয়, রোগমুক্তির মাধ্যম হিসেবেও নাজিল করেছেন। কোরআনে যেসব আয়াতে “শিফা” (আরোগ্য) শব্দটি আছে, সেগুলোকেই “আয়াতে শেফা” বলা হয়। এই আয়াতগুলো পাঠ করা এবং বিশ্বাসসহ পড়া শরীর ও আত্মার আরোগ্যের জন্য খুবই উপকারী।
১. সূরা আত-তাওবা : আয়াত ১৪
وَ یَشۡفِ صُدُوۡرَ قَوۡمٍ مُّؤۡمِنِیۡنَ
উচ্চারণ: ওয়া ইয়াশফি ছুদূর কাওমিমমুউমিনিন।
অর্থ: আল্লাহ, তুমি মুমিনদের অন্তরকে রোগমুক্ত করে দাও।
২. সূরা ইউনুস : আয়াত ৫৭
وَ شِفَآءٌ لِّمَا فِی الصُّدُوۡرِ ۬ۙ وَ هُدًی وَّ رَحۡمَۃٌ لِّلۡمُؤۡمِنِیۡنَ
উচ্চারণ: ওয়া শিফা উল্লিমা ফিছছুদূর। ওয়া হুদাও ওয়া রহমাতুললিল মু’মিনিন।
অর্থ: (এই কোরআন) অন্তরের রোগের প্রতিষেধক, হিদায়াত ও মুমিনদের জন্য রহমত।
৩. সূরা বনী ইসরাঈল : আয়াত ৮২
وَ نُنَزِّلُ مِنَ الۡقُرۡاٰنِ مَا هُوَ شِفَآءٌ وَّ رَحۡمَۃٌ لِّلۡمُؤۡمِنِیۡنَ
উচ্চারণ: ওয়া নুনায্জিলু মিনাল কুরআন মা হুয়া শিফাউওয়া রহমাতুল লিল মু’মিনিন।
অর্থ: আমি কোরআনে এমন কিছু নাজিল করেছি, যা মুমিনদের জন্য শিফা ও রহমত।
৪. সূরা আশ-শুআরা : আয়াত ৮০
وَاِذَا مَرِضۡتُ فَہُوَ یَشۡفِیۡنِ
উচ্চারণ: ওয়া ইজা মারিদ্তু ফাহুয়া ইয়াশফিন।
অর্থ: আমি যখন অসুস্থ হই, তখন তিনিই আমাকে আরোগ্য দেন।
এসব আয়াত পাঠের সময় শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস জরুরি। আপনি চাইলে এসব আয়াত লিখে পানি ফুঁ দিয়ে পান করতে পারেন, তবে শিরক বা বিদআতের কোনো উপাদান যেন না থাকে।
ইসলামে রোগমুক্তি চাওয়া একটি ইবাদত, কিন্তু এই ইবাদতকে শিরক বা বিদআত দ্বারা নষ্ট করা মহাপাপ। আজকাল অনেকেই কোরআনের বদলে তাবিজ-কবজ, মাজার, পীরের উসিলা ইত্যাদির ওপর ভরসা করে। এটি সরাসরি ইসলামের আকিদার বিরুদ্ধে।
মাজারে গিয়ে মানত মানা বা দোয়া করা
কাউকে সিজদা করা বা কুর্নিশ করা
তাবিজ, কবজ, লাল সুতা, শিশির গলায় বা হাতে বাঁধা
আউলিয়া বা পীরের নামে দোয়া করা – "খাজা বাবার উসিলায়", "পীর সাহেবের ফুতে"
পীরের বানানো বিশেষ তাসবিহ, তালিম বা মন্ত্র পাঠ
মনে করা যে কোনো অলৌকিক ব্যক্তি সন্তান দিতে পারে, বিপদ সরাতে পারে
“যে ব্যক্তি ঝাড়ফুঁক, তাবিজ বা মন্ত্র ব্যবহার করে, সে শিরক করল।”
(আহমদ: ১৭৪৪৫)
সহিহ হাদিসে বর্ণিত কোরআনের আয়াত বা দু'আ দ্বারা ঝাড়ফুঁক (রুকিয়া শরইয়াহ)
রোগমুক্তির জন্য কেবল আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া
তাওহিদের আকিদা ঠিক রেখে কোরআনের ওপর আস্থা রাখা
শুধু কোরআনই শিফা, পীর না। শুধু আল্লাহই আরোগ্যদাতা, তাবিজ নয়।
শিরক ও বিদআত থেকে বেঁচে থেকে, কোরআন ও হাদিসের আলোকে রোগমুক্তির দোয়া ও আয়াত পড়া–এটাই একজন মুসলমানের জন্য নিরাপদ পথ।
ইসলামে দোয়া কবুল হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হলো—হালাল উপার্জন ও পবিত্র জীবনযাপন। হারাম খাদ্য, অসততা ও ধোঁকাবাজির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ দ্বারা শরীর গঠিত হলে, সেই শরীর থেকে দোয়া কবুল হওয়ার আশা করা ভুল।
“হে রাসুলগণ! তোমরা পবিত্র বস্তু আহার কর এবং সৎকাজ কর।”
(সূরা আল-মুমিনুন: ৫১)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,
“এক ব্যক্তি দীর্ঘ সফর করে এল, ধুলো-মাটি-মাখা অবস্থায় হাত তোলে এবং বলে, হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পোশাক হারাম এবং হারাম দিয়ে লালিত। তাহলে তার দোয়া কীভাবে কবুল হবে?”
(মুসলিম: ১০১৫)
হালাল উপার্জনের চেষ্টা করা
জালিয়াতি, ঘুষ, সুদ, চুরি, ভেজাল, কম ওজনে বিক্রি ইত্যাদি থেকে বিরত থাকা
হারাম খাদ্য ও পানীয় পরিহার করা
ঘরের পরিবেশ পবিত্র রাখা
আত্মশুদ্ধির জন্য নামাজ, কোরআন, জিকিরে অভ্যস্ত হওয়া
মানুষ অসুস্থ হবে—এটাই বাস্তবতা। কিন্তু সেই অসুস্থতা থেকে আরোগ্য পাওয়া শুধুই আল্লাহর ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে। কোরআন ও হাদিসে দোয়ার মাধ্যমে রোগমুক্তির অসংখ্য নির্দেশনা এসেছে। তাই আমাদের উচিত:
শুধু চিকিৎসার ওপর নয়, আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা
নিয়মিত দোয়া ও আমল করা
আয়াতে শেফা ও রাসুল (সা.)-এর শেখানো দোয়াগুলো পড়া
শিরক ও বিদআতের সব ধরণের কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকা
হালাল জীবনযাপন করা, যেন দোয়া কবুল হয়
আল্লাহ বলেন:
“তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।”
(সূরা গাফির: ৬০)
রোগমুক্তির দোয়া শুধু রোগে পড়লে নয়, বরং প্রতিদিন সকালে-সন্ধ্যায়, নামাজের পর এবং রাতে ঘুমানোর সময় নিয়মিত পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে আল্লাহর রহমতে দুনিয়া ও আখেরাতে আপনি নিরাপদ থাকবেন।