দ্রুত গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার উপায় | Google AdSense Approve Pawar Upay

24 Jun, 2025

দ্রুত গুগল অ্যাডসেন্স পাওয়ার উপায় | Google AdSense Approve Pawar Upay

অ্যাডসেন্সে কীভাবে দ্রুত অ্যাপ্রুভ পাবেন? (বাংলাদেশি ওয়েবসাইটের জন্য সম্পূর্ণ গাইড)

 ১. ওয়েবসাইট কনটেন্ট থাকতে হবে মানসম্পন্ন

  • ইউনিক (অন্য কোথাও কপি না করা)

  • প্রতিটি পোস্টে মিনিমাম ৮০০–১০০০ শব্দ

  • প্রতিটি পোস্টে কমপক্ষে ১টি ছবি (alt tag সহ)

  • বিষয়বস্তু যেন পাঠকের সমস্যার সমাধান করে

 টিপস: বাংলা ও ইংরেজি মিশিয়ে ব্লগ লেখা গেলে আন্তর্জাতিক পাঠকও আসতে পারে।

Google AdSense মূলত একটি কনটেন্ট-ভিত্তিক বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক। তারা তাদের বিজ্ঞাপন এমন ওয়েবসাইটে দেখাতে চায়, যেগুলোর কনটেন্ট উপকারী, নির্ভরযোগ্য, ও পাঠক-সন্তুষ্টিকর। এজন্য কনটেন্টের মান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 ইউনিক কনটেন্ট (কপি-পেস্ট নয়)

আপনার লেখা যেন একদম নিজের ভাষায় লেখা হয়। অন্য ওয়েবসাইট থেকে হুবহু কপি করা কনটেন্ট গুগল বুঝে ফেলে এবং এটিকে পলিসি ভায়োলেশন হিসেবে ধরে। এতে অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভ তো পাবেনই না, বরং সাইটটি ব্ল্যাকলিস্টেও চলে যেতে পারে।

 টিপস:

  • অন্যের কনটেন্ট পড়ুন, কিন্তু নিজের ভাষায় ব্যাখ্যা করুন

  • Google Translate দিয়ে অনুবাদ করেও যদি পোস্ট করেন, সেটাকে ইউনিক করে লিখে নিন

 প্রতিটি পোস্টে মিনিমাম ৮০০–১০০০ শব্দ

গুগল চায় এমন কনটেন্ট, যেখানে বিস্তারিত আলোচনা আছে। সংক্ষিপ্ত বা ২–৩ প্যারার পোস্ট দিয়ে অ্যাপ্রুভ পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

 ভালো পোস্টে থাকে:

  • ভূমিকা

  • মূল আলোচনা (উদাহরণ, পরামর্শ, উপায়)

  • উপসংহার

  • Bullet points বা Heading দিয়ে সাজানো

 প্রতিটি পোস্টে কমপক্ষে ১টি ছবি (alt tag সহ)

ছবি শুধু কনটেন্টকে সুন্দর করে না, SEO-এর জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। Google Image Search-এ দেখা যায় ছবি থেকেও ট্র্যাফিক আসে।

Alt Tag কেন দরকার?
Alt tag মানে ছবির বর্ণনা। এটা গুগলকে বুঝতে সাহায্য করে ছবিটি কী বিষয়ে। যেমন:

<.img src="adsense-approve.jpg" alt="অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভ পাওয়ার টিপস".>

 বিষয়বস্তু যেন পাঠকের সমস্যার সমাধান করে

গুগল চায় আপনি এমন বিষয় নিয়ে লিখুন যা মানুষ সার্চ করে, এবং যার মাধ্যমে তাদের কোনো সমাধান হয়।
যেমন:

  • ভালো: “বাংলাদেশে অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভ পাওয়ার নিয়ম”

  • খারাপ: “আমার ব্লগ গল্প ১” – এতে সাধারণ পাঠকের উপকার নেই

 অতিরিক্ত টিপস:

  • SEO ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট লিখুন (ফোকাস কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন)

  • ইংরেজি শব্দ বা টার্ম মিশিয়ে লিখলে গুগলের জন্য বুঝতে সহজ হয়

  • প্রতিটি পোস্টে ১টা Featured Image এবং ২–৩টি ইনলাইন ইমেজ ব্যবহার করুন

মানসম্পন্ন কনটেন্টই অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভের প্রথম ধাপ। যদি আপনার পোস্টগুলো ইউনিক, বিস্তারিত, তথ্যবহুল হয় এবং পাঠককে বাস্তবে সাহায্য করে—তাহলে অ্যাপ্রুভ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।


 ২. কমপক্ষে ১৫–২০টি পোস্ট থাকতে হবে

গুগল দেখে আপনি নিয়মিত কনটেন্ট দেন কিনা। তাই অ্যাডসেন্স অ্যাপ্লাই করার আগে:

  • কমপক্ষে ২০টি ভালো পোস্ট দিন
  • সময় করে ২০–২৫ দিনের ব্যবধানে পোস্ট করুন
  • কপি-পেস্ট নয়, নিজস্ব ভাষায় লিখুন

AdSense অ্যাপ্রুভ পেতে হলে শুধু একটি ভালো ডিজাইন আর ডোমেইন থাকলেই হয় না—সাইটে পর্যাপ্ত ও মানসম্মত কনটেন্টও থাকতে হবে। গুগল চায় এমন ওয়েবসাইট, যেখানে নিয়মিত নতুন কনটেন্ট প্রকাশিত হয় এবং সেটি পাঠকের কাজে লাগে।

 কেন ১৫–২০টি পোস্ট দরকার?

গুগল চায় ওয়েবসাইটটি যেন:

  • নতুন, অথচ পরিপূর্ণ হয়

  • ইনফরমেটিভ ও গভীর কনটেন্ট দিয়ে গঠিত হয়

  • নিয়মিত আপডেট হয়

একটা বা দুইটা পোস্ট দিয়ে অ্যাপ্রুভ চাওয়া মানে হচ্ছে—একটি খালি দোকানে "গ্রাহক চাই" লেখা ঝুলিয়ে রাখা!

 কমপক্ষে ২০টি ভালো পোস্ট দিন

"ভালো পোস্ট" বলতে কী বোঝায়?

  • প্রতিটি পোস্টে ৮০০–১০০০ শব্দ থাকুক

  • ইউনিক ও নিজস্ব ভাষায় লেখা

  • রিলেভেন্ট টপিক (যেমন: টেক, হেলথ, এডুকেশন, ইসলামিক, লাইফস্টাইল ইত্যাদি)

  • ছবি ও হেডিং দিয়ে সুন্দরভাবে সাজানো

 নিয়মিত পোস্ট করুন (২০–২৫ দিনের মধ্যে)

গুগল ওয়েবসাইটের Activity History বিশ্লেষণ করে দেখে, আপনি কি নিয়মিত কনটেন্ট দেন? হঠাৎ করে একদিনে ২০টা পোস্ট দিলে সন্দেহ সৃষ্টি হয়। তারচেয়ে:

  • প্রতিদিন ১টি করে পোস্ট করুন

  • অথবা প্রতি ২–৩ দিনে ১টি করে

  • ২০–২৫ দিনের মধ্যে ১৫–২০টি পোস্ট তৈরি করে নিন

 কপি-পেস্ট নয়, নিজস্ব ভাষায় লিখুন

আপনার লেখার স্টাইল, উদাহরণ ও বিশ্লেষণ যেন অন্যের মতো না হয়। নিজের ভাষায়, নিজের মতামত যোগ করে লিখুন। গুগলের Web Crawler খুব স্মার্ট—কপি বুঝে ফেলে সাথে সাথে!

টিপস:

  • Trending Topic ধরুন (যেমন: “BCS প্রস্তুতির আপডেট ২০২৫”, “ইউজাররা কীভাবে ChatGPT ব্যবহার করছে”, ইত্যাদি)

  • বিভিন্ন টপিকের উপর কিছু পোস্ট রাখুন যাতে সাইট ভার্সেটাইল মনে হয়

গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভ পেতে চাইলে শুধু একটি ভালো সাইট না, তার ভেতরে থাকা কনটেন্টও পরিমিত ও মানসম্পন্ন হতে হবে। অন্তত ১৫–২০টি ইউনিক ও গভীর কনটেন্ট থাকলে গুগল বুঝতে পারে আপনি একজন রেগুলার, সিরিয়াস ব্লগার, আর তখন অ্যাপ্রুভ পাওয়া অনেক সহজ হয়।


 ৩. ওয়েবসাইটের নেভিগেশন ও ডিজাইন হোক ক্লিন

একটি সিম্পল ও মোবাইল-ফ্রেন্ডলি ডিজাইন বেছে নিন।
জরুরি পেজগুলো অবশ্যই রাখুন:

  • About Us

  • Contact Us

  • Privacy Policy

  •  Terms & Conditions

  • Disclaimer (optional)

টিপস: নিচে footer এ এই লিংকগুলো দিন।

AdSense শুধুমাত্র কনটেন্ট দেখে না—ওয়েবসাইটের ইউজার এক্সপেরিয়েন্স (UX), নেভিগেশন ও ডিজাইনও গুরুত্ব দিয়ে বিচার করে। আপনার সাইট যদি দেখতে বিশৃঙ্খল বা জটিল হয়, তাহলে গুগলের চোখে সেটি ব্যবহারকারীর জন্য উপযুক্ত নয়।

 সিম্পল ও মোবাইল-ফ্রেন্ডলি ডিজাইন

বর্তমানে ৭০%+ ট্রাফিক মোবাইল ব্যবহারকারী। তাই আপনার সাইট হতে হবে:

  • Mobile Responsive

  • Clean Layout (সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড + স্পষ্ট লেখাগুলো)

  • দ্রুত লোড হয় এমন থিম/টেমপ্লেট (Page Speed গুরুত্বপূর্ণ)

 ভালো ডিজাইনের উদাহরণ:

  • নিউজ পোর্টাল বা ব্লগ: ২ কলাম লেআউট

  • হেলথ বা এডুকেশন সাইট: ১ কলাম সিম্পল ব্লগ স্টাইল

 ওয়েবসাইটে থাকা জরুরি পেজগুলো

Google AdSense টিম আপনার ওয়েবসাইটের বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাই করে। এজন্য নিচের পেজগুলো অবশ্যই থাকা উচিত:

  1. About Us
     আপনি কে, কেন ব্লগটি করছেন, আপনার মিশন কী

  2. Contact Us
     যোগাযোগের মাধ্যম (ইমেইল, ফর্ম, সোশ্যাল মিডিয়া লিংক)

  3. Privacy Policy
     ভিজিটরদের তথ্য কীভাবে সংগ্রহ ও ব্যবহার হয় তা ব্যাখ্যা

  4. Terms & Conditions
     সাইট ব্যবহারের শর্তাবলি

  5. Disclaimer (ঐচ্ছিক)
     আপনি কোন দায় নিচ্ছেন না, এই বিষয়টি স্পষ্ট করুন (বিশেষ করে হেলথ, টেক বা ইনকাম রিলেটেড কনটেন্টে)

টিপস:
এই পেজগুলো আপনার ওয়েবসাইটের footer এ দিন, যেন প্রতিটি পৃষ্ঠায় এসব লিংক দেখা যায়।

 সহজ নেভিগেশন মানেই ভালো ইউজার অভিজ্ঞতা

  • মেনুতে Category Wise লিংক দিন (Tech, Health, News, etc.)

  • Breadcrumb Navigation ব্যবহার করলে SEO তে সুবিধা হয়

  • Sidebar ও Footer এ জনপ্রিয় পোস্ট বা Latest Post দেখান

আপনার ওয়েবসাইট যদি দেখতে পরিচ্ছন্ন, দ্রুত লোড হয় এবং প্রয়োজনীয় পেজগুলো থাকে, তাহলে Google AdSense আপনার সাইটকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করবে। এক কথায়, "Clean Look = Quick Approval"


 ৪. কোন ধরণের কনটেন্ট অ্যাডসেন্স পছন্দ করে না

নিচের বিষয়গুলোর ওপর কনটেন্ট থাকলে অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভ মিলবে না:

  • Hacking/Cracking
  • Adult বা নীল কনটেন্ট
  • কপিরাইট লঙ্ঘন (ফ্রি সিনেমা, গান ডাউনলোড)
  • জুয়া, বাজি বা ঘৃণামূলক ভাষা

Google AdSense একটি পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও ব্যবহারকারীবান্ধব ইন্টারনেট গড়তে চায়। এজন্য তারা কিছু নির্দিষ্ট ধরণের কনটেন্টকে স্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করেছে। আপনার ওয়েবসাইটে এইসব কনটেন্ট থাকলে অ্যাডসেন্স কখনোই অ্যাপ্রুভ দেবে না।

x Hacking/Cracking সম্পর্কিত কনটেন্ট

  • হ্যাকিং শেখানো

  • সফটওয়্যার বা ওয়েবসাইট হ্যাক করার টিপস

  • পেইড অ্যাপ ফ্রিতে পাওয়ার ট্রিকস (MOD APK, Cracked Software)

উদাহরণ:
“ফেসবুক হ্যাক করার উপায়”, “হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক সফটওয়্যার” — এসব পোস্ট অ্যাডসেন্সের চোখে স্প্যাম।

x Adult বা অশ্লীল কনটেন্ট

  • নগ্নতা, পর্ন, যৌন উদ্দীপক ছবি বা লেখা

  • রিলেশনশিপ বিষয়ক পোস্টে অশ্লীল ভাষা বা ইঙ্গিত

  • এমনকি "18+ Movie Download" লেখাও নিষিদ্ধ

টিপস:
বিজ্ঞাপনদাতা চায় নিরাপদ পরিবেশ। অশ্লীল কনটেন্টে তারা বিজ্ঞাপন দেখাতে চায় না।

x কপিরাইট লঙ্ঘন (Copyright Violation)

  • ফ্রি মুভি, গান, সফটওয়্যার ডাউনলোড লিংক দেওয়া

  • অন্য ব্লগ বা নিউজ কপি করে দেওয়া

  • Google Drive লিংকে কনটেন্ট শেয়ার করা যা আপনার নয়

 উদাহরণ:
“Pathaan Movie Download Link”, “Windows 11 Crack ISO” — এসব একদম নিষিদ্ধ।

x জুয়া, বাজি বা ঘৃণামূলক কনটেন্ট

  • অনলাইন ক্যাসিনো, লটারির প্রোমোশন

  • ধর্মীয় বিদ্বেষ, বর্ণবাদ, বা গালাগালি পূর্ণ লেখা

  • রাজনৈতিকভাবে উস্কানিমূলক পোস্ট


 গুগল কী পছন্দ করে?

  • শিক্ষামূলক ও তথ্যবহুল কনটেন্ট

  • ইউনিক ব্লগ ও গাইড

  • হেলথ, টেক, লাইফস্টাইল, শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়

আপনার সাইট যদি Google এর কনটেন্ট পলিসি অনুসারে তৈরি হয়, তাহলে অ্যাপ্রুভাল দ্রুত পাওয়া সম্ভব। কিন্তু উপরোক্ত নিষিদ্ধ বিষয়গুলো এড়িয়ে না চললে শুধু অ্যাপ্রুভ না হওয়াই নয়, বরং ভবিষ্যতে সাইট ব্যান পর্যন্ত হতে পারে।​​​​​​


 ৫. ট্র্যাফিক থাকা জরুরি নয়, কিন্তু...

গুগল বলে থাকে, ওয়েবসাইটে অনেক ভিজিটর না থাকলেও অ্যাপ্রুভ হতে পারে। তবে,

  • সোশ্যাল মিডিয়া থেকে কিছু ভিজিটর থাকলে ভালো
  • Google Search Console ও Analytics যুক্ত থাকলে ভালো ইম্প্রেশন পড়ে

গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করার সময়ে ট্র্যাফিকের পরিমাণ সরাসরি একটি প্রয়োজনীয় ফ্যাক্টর নয়। অর্থাৎ, ওয়েবসাইটে যদি খুব বেশি ভিজিটর না থাকে, তবুও আপনি অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে, কিছু বিষয় আছে যা সাইটের ইম্প্রেশন উন্নত করতে সাহায্য করে, যা গুগলের দৃষ্টিতে আপনার সাইটকে বিশ্বস্ত ও প্রফেশনাল করে তোলে।

 সোশ্যাল মিডিয়া থেকে কিছু ভিজিটর থাকলে ভালো

আপনার সাইটে যদি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে কিছু ট্র্যাফিক আসে, গুগল সেটা ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে
এটা শুধু ট্র্যাফিকই নয়, গুগল বুঝতে পারে আপনার কনটেন্টে ইন্টারঅ্যাকশন হচ্ছে, এবং আপনি নিয়মিত ভিজিটর আনার চেষ্টা করছেন

 টিপস:

  • Facebook, Twitter, Instagram বা LinkedIn এ আপনার কনটেন্ট শেয়ার করুন

  • জনপ্রিয় ফোরামে, গ্রুপে সাইটের লিংক শেয়ার করুন

  • নিয়মিত ইন্টারঅ্যাক্টিভ কনটেন্ট যেমন: Polls, Quizzes, Giveaways ব্যবহার করুন

 Google Search Console ও Analytics যুক্ত থাকলে ভালো ইম্প্রেশন পড়ে

গুগল অ্যাডসেন্স আপনাকে সাইটে Google Search ConsoleGoogle Analytics যুক্ত করার জন্য পরামর্শ দেয়। এতে আপনি সহজেই ট্র্যাক করতে পারবেন সাইটের ভিজিটর সংখ্যা, কীওয়ার্ড র‍্যাংকিং, এবং কনটেন্টের কার্যকারিতা।

 Google Search Console & Analytics-এ যুক্ত হওয়ার সুবিধা:

  • Search Console: গুগল জানতে পারে আপনার সাইট কীভাবে সার্চ ইঞ্জিনে ইন্ডেক্স হচ্ছে, কোন পেজগুলি র‍্যাঙ্ক করছে এবং কোনো কীওয়ার্ড ভালো পারফর্ম করছে।

  • Analytics: সাইটের ভিজিটর সংখ্যা, সেশন ডিউরেশন, Bounce Rate ইত্যাদি জানার মাধ্যমে আপনার কনটেন্টের উন্নতি করার সুযোগ থাকে।

 রেগুলার কনটেন্ট আপডেট করুন

গুগল চায় এমন সাইট যেগুলো নিয়মিত নতুন কনটেন্ট প্রকাশ করে, ফলে নতুন ভিজিটর আসতে থাকে।
আপনার সাইটে ফ্রেশ কনটেন্ট এবং নতুন পোস্ট থাকলে গুগল দেখে আপনি নিয়মিত আপডেট করছেন এবং আপনাকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করে।

অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভ পাওয়ার জন্য আপনার সাইটে প্রচুর ট্র্যাফিক থাকা জরুরি নয়, তবে কিছু সোশ্যাল মিডিয়া ট্র্যাফিক এবং Google Search ConsoleAnalytics ব্যবহার করলে তা গুগলকে ভালো ইম্প্রেশন দেয়। তাই এই টুলগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে সাইটের মান ও বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করুন।

 

 ৬. একটি টপ-লেভেল ডোমেইন (TLD) ব্যবহার করুন

ডোমেইন যেমন:

  • Yes-> .com, .net, .org, .xyz, .info
  • No-> ফ্রি সাবডোমেইন (যেমন: example.blogspot.com) ব্যবহার না করাই ভালো

গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভ পেতে হলে টপ-লেভেল ডোমেইন (TLD) ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি টপ-লেভেল ডোমেইন (TLD) গুগলকে আপনার সাইটের পেশাদারিত্ব এবং বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কে সঠিক সংকেত দেয়। আর যদি আপনি ফ্রি সাবডোমেইন ব্যবহার করেন, তবে অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।

 টপ-লেভেল ডোমেইন (TLD) কী?

টপ-লেভেল ডোমেইন (TLD) হল একটি ওয়েবসাইটের ডোমেইনের শেষের অংশ, যেমন:

  • .com

  • .net

  • .org

  • .xyz

  • .info

এগুলি পেইড ডোমেইন, যেগুলি আপনি একটি ডোমেইন রেজিস্ট্রার থেকে কেনেন (যেমন: GoDaddy, Namecheap, বা অন্যান্য)।

উদাহরণ:

  • example.com

  • mywebsite.net

  • techhub.org

 ফ্রি সাবডোমেইন ব্যবহার করবেন না

গুগল ফ্রি সাবডোমেইন ব্যবহারকারী ওয়েবসাইটগুলোকে কম বিশ্বাসযোগ্য মনে করে। যেমন, example.blogspot.com বা example.wordpress.com—এই ধরনের ডোমেইনগুলি গুগলের কাছে প্রফেশনাল সাইটের মত দেখায় না। এগুলো সাধারণত স্বাধীন ও কম মানসম্পন্ন সাইটের জন্য ব্যবহৃত হয়, যার কারণে অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভে সমস্যা হতে পারে।

x উদাহরণ:

  • example.blogspot.com

  • example.wordpress.com

  • example.wixsite.com

 কেন TLD ব্যবহার করা উচিত?

  1. বিশ্বাসযোগ্যতা: পেইড ডোমেইন ওয়েবসাইটের প্রফেশনাল ভাব বাড়ায়, যা গুগল এবং ভিজিটরদের জন্য বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে।

  2. ব্র্যান্ডিং: একটি পেশাদার ডোমেইন আপনার ব্র্যান্ডের পরিচিতি তৈরি করতে সাহায্য করে।

  3. SEO সুবিধা: TLD সাইটগুলির জন্য গুগল সার্চ র‍্যাংকিংয়ে কিছুটা বাড়তি সুবিধা থাকতে পারে, বিশেষ করে যদি সাইটটি কার্যকরী ও রেগুলার কনটেন্ট প্রদান করে।

 টিপস:

  • সস্তা পেইড ডোমেইন কিনতে .xyz, .info, বা .tech যেমন TLD ব্যবহার করতে পারেন।

  • ভবিষ্যতে সাইটের ব্র্যান্ড উন্নত করার জন্য .com, .org, বা .net ধরনের TLD বেছে নিন।

গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করার আগে একটি টপ-লেভেল ডোমেইন (TLD) ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার সাইটকে আরও পেশাদার ও বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে এবং অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভ পেতে সহায়ক হয়। তাই, ফ্রি সাবডোমেইন এড়িয়ে, পেইড ডোমেইন ব্যবহার করুন।

 

 ৭. হোস্টিং ও সাইট স্পিড চেক করুন

  • ফ্রি হোস্টিং থেকে যতদূর সম্ভব দূরে থাকুন
  • Google PageSpeed Insights বা GTMetrix দিয়ে চেক করুন ওয়েবসাইট কত দ্রুত লোড হয়

গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করার আগে সাইটের হোস্টিং এবং লোড স্পিড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গুগল, বিশেষ করে অ্যাডসেন্স, এমন ওয়েবসাইট পছন্দ করে যেখানে সাইট দ্রুত লোড হয় এবং ব্যবহারকারীদের জন্য স্মুথ এক্সপেরিয়েন্স প্রদান করে। ফ্রি হোস্টিং ব্যবহার করলে সাইটের লোড স্পিড কম এবং ব্যবহারকারীরা ওয়েবসাইটে থাকার সময় কম পায়, যা অ্যাডসেন্সের আবেদনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

 ফ্রি হোস্টিং থেকে দূরে থাকুন

ফ্রি হোস্টিং সার্ভিসের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল সাইটের লোড স্পিড, সীমিত রিসোর্স, এবং অবিশ্বাসযোগ্য সার্ভিস। ফ্রি হোস্টিং ব্যবহারে কিছু প্রধান সমস্যা:

  • স্লো লোড টাইম: ফ্রি হোস্টিংে সাধারণত অনেক বেশি ওয়েবসাইট থাকে, যার কারণে সাইট ধীরগতিতে লোড হয়।

  • নিরাপত্তা ঝুঁকি: ফ্রি হোস্টিং সার্ভিসে সাইটের নিরাপত্তা দুর্বল হতে পারে।

  • সাইট ডাউনটাইম: অনেক সময় ফ্রি হোস্টিং সার্ভিসের সাইট বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

xউদাহরণ:

  • WordPress.com ফ্রি হোস্টিং

  • Wix.com ফ্রি হোস্টিং

  • Blogspot.com ফ্রি ডোমেইন (যেমন: example.blogspot .com)

 প্রিমিয়াম হোস্টিং ব্যবহার করুন

গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য পেশাদার সাইটের জন্য একটি প্রিমিয়াম হোস্টিং ব্যবহার করা বেশি উপকারী। এতে থাকে:

  • দ্রুত লোড স্পিড

  • উন্নত নিরাপত্তা

  • উন্নত সাপোর্ট

  • বিশ্বাসযোগ্য সার্ভিস

 কিছু জনপ্রিয় প্রিমিয়াম হোস্টিং পরিষেবা:

  • SiteGround

  • Bluehost

  • A2 Hosting

  • HostGator

  • InMotion Hosting

সাইট স্পিড চেক করুন

গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য সাইটে দ্রুত লোড স্পিড হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ধীরগতির ওয়েবসাইট অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভালে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। সাইটের স্পিড চেক করতে আপনি কিছু টুল ব্যবহার করতে পারেন:

  1. Google PageSpeed Insights

    • এটি সাইটের লোড স্পিড পরীক্ষা করার জন্য একটি জনপ্রিয় টুল। এটি পেজ লোডিং টাইমের পাশাপাশি SEO ইস্যু এবং মোবাইল-ফ্রেন্ডলিনেস সম্পর্কেও বিস্তারিত পরামর্শ দেয়।

    • লিঙ্ক: Google PageSpeed Insights

  2. GTMetrix

    • GTMetrix সাইটের লোড স্পিড বিশ্লেষণ করে এবং প্রয়োজনীয় অপটিমাইজেশন পরামর্শ প্রদান করে।

    • লিঙ্ক: GTMetrix

 টিপস:

  • পেজ লোডিং টাইম কমানোর জন্য ছবি অপটিমাইজেশন, ক্যাশিং এবং কন্টেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক (CDN) ব্যবহার করুন।

  • Google AMP (Accelerated Mobile Pages) ব্যবহার করলে মোবাইল ডিভাইসে সাইট আরও দ্রুত লোড হবে।

গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য অ্যাপ্লাই করার আগে আপনার ওয়েবসাইটের হোস্টিং এবং লোড স্পিড খতিয়ে দেখুন। ফ্রি হোস্টিং থেকে যতটা সম্ভব বিরত থাকুন এবং প্রিমিয়াম হোস্টিং ব্যবহার করুন। এর পাশাপাশি সাইটের স্পিড চেক করতে Google PageSpeed Insights বা GTMetrix টুল ব্যবহার করুন, যাতে অ্যাডসেন্সের জন্য ভালো ইম্প্রেশন তৈরি হয়।


 ৮. কনটেন্টের ভাষা গুগল সাপোর্ট করে কিনা যাচাই করুন

গুগল এখন বাংলা ভাষা সাপোর্ট করে Ok। তাই বাংলা ব্লগ থেকে অ্যাডসেন্স পাওয়া সম্ভব।

গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করার সময়, আপনার কনটেন্টের ভাষা গুগল সাপোর্ট করে কিনা সেটি নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক ভাষা ব্যবহার করলে অ্যাডসেন্সের আবেদন প্রক্রিয়া সহজ হতে পারে, এবং আপনার সাইটের র‍্যাংকিং ও ভিজিটর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।

 গুগল এখন বাংলা ভাষা সাপোর্ট করে Ok

গুগল এখন বাংলা ভাষাকে পূর্ণরূপে সমর্থন করে, এবং এর ফলে বাংলা ব্লগ বা বাংলা ওয়েবসাইট থেকে অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভ পাওয়া সম্ভব। অনেক বছর আগেও, গুগল বাংলায় অ্যাডসেন্স অনুমোদন প্রদান নিয়ে কিছুটা রক্ষণশীল ছিল, তবে বর্তমানে বাংলা কনটেন্ট নিয়ে গুগলের আপত্তি নেই।

 কেন গুগল বাংলা সাপোর্ট করে:

  • গুগল Google Translate এবং Google Search-এ বাংলা ভাষার উন্নত সমর্থন দিয়েছে।

  • বাংলা কনটেন্ট এখন জনপ্রিয় এবং বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের পাঠকদের কাছে কার্যকরী।

  • গুগল AdSense-এ বাংলা ভাষার কনটেন্ট এখন সহজে অ্যাপ্রুভ পায়, যদি কনটেন্ট ইউনিক, মানসম্পন্ন, এবং গুগলের নীতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হয়।

 কীভাবে বাংলা কনটেন্ট উপকারি হতে পারে?

  1. বাংলা ভাষার পাঠকপ্রান্ত:
    বাংলাদেশ, ভারতসহ অন্যান্য দেশে বাংলা ভাষার ব্যাপক পাঠক রয়েছে, এবং আপনার সাইটে যদি ভালো কনটেন্ট থাকে, তবে আপনি বাংলাদেশি ভিজিটর থেকেই ভালো ট্র্যাফিক পেতে পারেন।

  2. SEO এবং কিওয়ার্ড র‍্যাংকিং:
    গুগল বাংলা ভাষায় সার্চ রেজাল্টে উন্নত হয়েছে, এবং যদি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের কনটেন্ট সঠিকভাবে SEO-ফ্রেন্ডলি হয়, তবে গুগল আপনার সাইটকে র‍্যাংক করবে। যেমন:

    • "বাংলা ব্লগ"

    • "বিসিএস প্রস্তুতি"

    • "ইসলামিক কনটেন্ট"

  3. অ্যাডসেন্সে আবেদন:
    যদি আপনার সাইটে বাংলা কনটেন্ট থাকে, তবে সেটি গুগলের নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হলে AdSense অ্যাপ্রুভ পেতে কোনো বাধা থাকবে না।

 অন্য ভাষার সাপোর্ট

গুগল অ্যাডসেন্স কেবল বাংলা নয়, অনেক ভাষা সাপোর্ট করে, যেমন:

  • ইংরেজি

  • হিন্দি

  • আরবি

  • স্প্যানিশ

  • ফরাসি

 টিপস:
আপনি যদি ইংরেজি এবং বাংলা মিশিয়ে পোস্ট করেন, তা আরও ভালো হতে পারে, কারণ এটা আন্তর্জাতিক পাঠকও আকর্ষণ করতে পারে।

গুগল এখন বাংলা ভাষা সাপোর্ট করে এবং এর মানে হলো, আপনি যদি বাংলা ব্লগ বা বাংলা ওয়েবসাইট চালান, তবে অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভ পাওয়ার সুযোগ আছে। তবে, কেবল বাংলা কনটেন্ট হলেও নিশ্চিত করতে হবে যে আপনার সাইটের কনটেন্ট ইউনিক, মানসম্পন্ন এবং গুগলের নির্দেশিকা অনুসারে লেখা।


 ৯. AdSense এ আবেদন করার সঠিক পদ্ধতি

  1. ওয়েবসাইট তৈরি শেষ হলে AdSense এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান
  2. Gmail দিয়ে সাইন আপ করুন
  3. ওয়েবসাইটের URL দিন
  4. কোড কপি করে ওয়েবসাইটের <head> সেকশনে বসান
  5. রিভিউয়ের জন্য আবেদন সাবমিট করুন
  6. সাধারণত ২–৭ দিনের মধ্যে রেজাল্ট আসে
গুগল অ্যাডসেন্সে আবেদন করার সময় কিছু নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ করতে হয়। সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভ পেতে সহজ হবে। নিচে এই প্রক্রিয়া বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হলো:

 ১. ওয়েবসাইট তৈরি শেষ হলে AdSense এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান

  • প্রথম ধাপ: আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করে শেষ করুন। ওয়েবসাইটে কমপক্ষে ১৫-২০টি ইউনিক, মানসম্পন্ন পোস্ট থাকা উচিত এবং সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ পেজ (যেমন About Us, Contact Us, Privacy Policy, Terms & Conditions) থাকতে হবে।

  • এরপর, Google AdSense এর অফিসিয়াল সাইটে যান: AdSense Official Website

 ২. Gmail দিয়ে সাইন আপ করুন

  • গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য একটি Gmail অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।

  • যদি আপনার ইতোমধ্যে Gmail অ্যাকাউন্ট থাকে, তবে লগ ইন করুন, আর যদি না থাকে, তাহলে একটি নতুন Gmail অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।

  • লগ ইন করার পর “Sign Up” বা “Start” বাটনে ক্লিক করুন।

 ৩. ওয়েবসাইটের URL দিন

  • AdSense আবেদন ফর্মে, আপনার সাইটের URL প্রদান করুন।

  • যেমন: www.example. com

  • এখানে সাইটের URL নিশ্চিত করুন এবং গুগলকে জানিয়ে দিন যে আপনার সাইটটি অ্যাডসেন্সের জন্য প্রস্তুত।

 ৪. কোড কপি করে ওয়েবসাইটের <head> সেকশনে বসান

  • অ্যাডসেন্স অ্যাপ্লিকেশনের সময় গুগল আপনাকে একটি HTML কোড দেবে।

  • এই কোডটি আপনার সাইটের <head> সেকশনে বসাতে হবে।

  • কোডটি সাধারণত দেখতে এমন হবে:

<.script. async src="https.://.pagead2.googlesyndication..com/pagead/js/adsbygoogle..js"></script> 
<ins class="adsbygoogle" style="display:block" data-ad-client="ca-pub-XXXXXXX" data-ad-slot="XXXXXXX"></ins>
 <script> 
(adsbygoogle = window..adsbygoogle || [])..push({});
 </script>
  • এই কোডটি সাইটের head সেকশনে যুক্ত করুন, যেটি আপনার ওয়েবপেজের মূল ফাইল (যেমন index..html বা header..php) এ থাকে।

 ৫. রিভিউয়ের জন্য আবেদন সাবমিট করুন

  • সবকিছু ঠিকভাবে সেট আপ করার পর, AdSense অ্যাপ্লিকেশন ফর্মে গিয়ে আপনার ওয়েবসাইটের তথ্য সাবমিট করুন।

  • অ্যাডসেন্স সাধারণত কিছুদিন (২-৭ দিন) সময় নেয় আপনার আবেদন রিভিউ করার জন্য।

  • সাবমিট করার পরে, গুগল আপনার ওয়েবসাইটটি পর্যালোচনা করবে এবং আপনি অ্যাডসেন্সের নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কি না তা যাচাই করবে।

 ৬. সাধারণত ২–৭ দিনের মধ্যে রেজাল্ট আসে

  • অ্যাডসেন্স আপনার সাইটের আবেদন পর্যালোচনা করার পর, সাধারণত ২–৭ দিনের মধ্যে আপনি ফলাফল পাবেন।

  • অ্যাপ্রুভাল হলে: গুগল আপনার সাইটে অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য অনুমোদন দেবে।

  • অ্যাপ্রুভ না হলে: গুগল আপনাকে কিছু পরামর্শ দেবে, যাতে আপনি পরবর্তীতে আরও ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে আবেদন করতে পারেন।

গুগল অ্যাডসেন্সে আবেদন করার সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে আবেদন প্রক্রিয়া সহজ হয়ে যায়। ওয়েবসাইটের URL দিয়ে সাইন আপ করে, কোড সাইটে বসিয়ে, সঠিকভাবে আবেদন পাঠিয়ে ২-৭ দিনের মধ্যে অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভ পাওয়ার আশা করা যেতে পারে।
অতএব, সঠিক নিয়মে আবেদন করুন এবং ধৈর্য ধরে ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করুন।

 

অতিরিক্ত টিপস

  • পোস্টে Heading Tag (H1, H2, H3...) ব্যবহার করুন
  • ছবি হলে Alt Attribute দিন
  • Category ও Tag ঠিকঠাকভাবে ব্যবহার করুন
  • Footer এবং Sidebar সুন্দরভাবে সাজান
​​​​​​​

আপনার ওয়েবসাইটে অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভ পেতে কিছু অতিরিক্ত টিপস অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ, যা আপনার সাইটকে আরও SEO-friendly এবং ব্যবহারকারী বান্ধব করে তোলে। এগুলি গুগলকে আপনার সাইটের মান ও প্রফেশনালিজম সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা দেয়।

 পোস্টে Heading Tag (H1, H2, H3...) ব্যবহার করুন

  • Heading Tags (H1, H2, H3...) আপনার কনটেন্টকে structure করে, এবং এটি SEO এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

  • H1 সাধারণত পেজের প্রধান শিরোনাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়, এবং এটি একটি পেজে শুধুমাত্র একবার ব্যবহার করা উচিত

  • H2, H3 হেডিংগুলির মাধ্যমে আপনি সাইটের কনটেন্ট আরও বিশদভাবে ভাগ করতে পারেন এবং এটি পাঠকদের জন্য সহজবোধ্য করে তোলে।

 টিপস:

  • H1: পেজের প্রধান শিরোনাম (যেমন, "BCS প্রস্তুতির সম্পূর্ণ গাইড")

  • H2: প্যারাগ্রাফ বা সেকশন শিরোনাম (যেমন, "BCS পরীক্ষার প্রাথমিক প্রস্তুতি")

  • H3: আরো বিস্তারিত উপশিরোনাম (যেমন, "কিভাবে টাইম ম্যানেজমেন্ট করবেন")

 ছবি হলে Alt Attribute দিন

  • Alt attribute একটি ছবির বর্ণনা দেয়, যা গুগলকে বুঝতে সাহায্য করে ছবিটি কিসের সাথে সম্পর্কিত।

  • এটি SEO-এ সহায়তা করে এবং বিশেষভাবে অন্ধ বা দৃষ্টিহীন ব্যক্তিদের জন্যও সাইটকে অ্যাক্সেসযোগ্য করে তোলে।

  • Alt tag শুধুমাত্র ছবির বর্ণনা নয়, এতে সঠিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত, তবে কিওয়ার্ড স্প্যামিং করবেন না।

টিপস:

  • Alt tag উদাহরণ: <img src="bcs-preparation.jpg" alt="BCS পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গাইড">

 Category ও Tag ঠিকঠাকভাবে ব্যবহার করুন

  • Categories এবং Tags সাইটের কনটেন্টকে সাজানোর জন্য সাহায্য করে এবং SEO-এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

  • Categories সাধারণত সাইটের বৃহত্তর বিভাগ, যেমন: টেক, হেলথ, শিক্ষা ইত্যাদি।

  • Tags সাধারণত ছোট বিষয়বস্তু সম্পর্কিত শব্দ, যেমন: BCS, প্রস্তুতি, পরামর্শ ইত্যাদি।

 টিপস:

  • পোস্টের সাথে তথ্যপূর্ণ এবং প্রাসঙ্গিক Tags যুক্ত করুন, যা পোস্টের বিষয়বস্তু সম্পর্কিত।

  • Category হিসেবে ব্যাপক বিষয় নির্বাচন করুন, যা সাইটের মৌলিক কনটেন্ট নির্দেশ করে।

 Footer এবং Sidebar সুন্দরভাবে সাজান

  • Footer এবং Sidebar সাইটের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এগুলি SEO এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্স (UX) এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

  • Footer এ আপনি আপনার সাইটের গুরুত্বপূর্ণ পেজের লিঙ্ক রাখতে পারেন যেমন: Privacy Policy, Terms & Conditions, Contact Us, About Us, ইত্যাদি।

  • Sidebar এ আপনি জনপ্রিয় পোস্ট বা ক্যাটেগরি দেখাতে পারেন, অথবা সোশ্যাল মিডিয়া লিংক, Newsletters, Recent Posts ইত্যাদি যোগ করতে পারেন।

 টিপস:

  • Footer এবং Sidebar যেন cluttered না হয়, সহজ, পরিষ্কার ও পাঠকের জন্য কার্যকরী হয়।

  • Responsive Design নিশ্চিত করুন যাতে মোবাইল ডিভাইসে সাইটে নেভিগেশন সুবিধাজনক থাকে।

এখানে দেওয়া অতিরিক্ত টিপস গুলি আপনার সাইটকে SEO-friendly এবং ব্যবহারকারী বান্ধব করে তোলার পাশাপাশি গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আরও উপযুক্ত করে তুলবে। Heading Tags, Alt Attributes, CategoriesTags, এবং Footer/Sidebar এর সঠিক ব্যবহারে আপনার সাইটকে অনন্য এবং প্রফেশনাল হিসেবে তুলে ধরা সম্ভব।

 আমার অভিজ্ঞতা এবং AdSense এর সাথে কর্তৃত্ব বৃদ্ধি

AdSense থেকে আয় শুরু করতে হলে প্রথমেই ওয়েবসাইটের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং কনটেন্টের মান তৈরি করা জরুরি। আমি নিজে যখন AdSense অ্যাপ্লিকেশন দিয়েছিলাম, তখন কয়েকটি বিষয় অত্যন্ত কাজে এসেছে যেগুলি আপনিও অনুসরণ করতে পারেন।

কনটেন্টের মান তৈরি করা

প্রথমেই সাইটে ভালো কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। আমি শুরুতে প্রতি সপ্তাহে নতুন পোস্ট শেয়ার করতাম, প্রতিটি পোস্টে ৮০০-১০০০ শব্দের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা এবং relevant ছবি ব্যবহার করতাম। গুগল সার্চে বাংলা ভাষায় কনটেন্ট যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, তাই আমি মূলত বাংলা কনটেন্টে ফোকাস করেছিলাম, যাতে স্থানীয় ট্র্যাফিক বাড়ে।

SEO Optimization

AdSense অ্যাপ্রুভ পেতে SEO অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি প্রতিটি পোস্টের জন্য ভালো keyword research করতাম এবং SEO ফ্রেন্ডলি হেডিং, Alt Tags, Meta Description ব্যবহার করতাম। এছাড়া, Google Search Console এবং Google Analytics-এ সাইট যুক্ত করেছিলাম যাতে গুগল জানে আমি কীভাবে সাইট অপটিমাইজ করছি।

বিশ্বাসযোগ্যতা এবং কর্তৃত্ব

গুগল অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রুভ পাওয়ার জন্য বিশ্বাসযোগ্য সাইট এবং অধিকারমূলক কনটেন্ট অপরিহার্য। আমি সাইটে About Us, Contact Us, Privacy Policy পেজ যুক্ত করেছিলাম যাতে গুগল সাইটের মূল উদ্দেশ্য ও কন্ট্যাক্ট পদ্ধতি জানতে পারে। এছাড়া, সাইটে নিয়মিত কনটেন্ট আপডেট করতে থাকলে গুগল সাইটকে অথরিটেটিভ মনে করে।

সোশ্যাল মিডিয়া ট্র্যাফিক

আমার অভিজ্ঞতায়, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে কিছু ট্র্যাফিক আসলে তা গুগলের কাছে আরও প্রভাবশালী হিসেবে ধরা পড়ে। আমি ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউবের মাধ্যমে সাইটের কনটেন্ট শেয়ার করতাম, যা ট্র্যাফিক বৃদ্ধি এবং AdSense অ্যাপ্রুভের জন্য সহায়ক ছিল।

AdSense এর জন্য প্রস্তুতি

যখন সব কিছু প্রস্তুত হয়ে গেল, তখন আমি AdSense অ্যাপ্লিকেশনের জন্য আবেদন করি। প্রাথমিকভাবে কিছু টেকনিক্যাল ইস্যু ছিল, কিন্তু সাইটের কনটেন্ট আরও পরিষ্কার ও সঠিকভাবে অপটিমাইজ করার পর আমি অ্যাডসেন্স থেকে প্রথম অ্যাপ্রুভাল পাই।


AdSense-এ কর্তৃত্ব অর্জন করার কিছু টিপস:

  1. বিশ্বাসযোগ্য কনটেন্ট: গুগল সাইটের কনটেন্টকে মূলত ইউনিক, প্রামাণিক এবং তথ্যমূলক হিসেবে দেখতে চায়।

  2. অভিজ্ঞতা এবং জানাশোনা: নিজের অনুভূতি এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করা, যেমন আমি করেছি, তা পাঠকদের সাথে গভীর সম্পর্ক তৈরি করে।

  3. নিয়মিত আপডেট: অ্যাডসেন্স অ্যাপ্রুভ পেতে হলে সাইটের কনটেন্ট নিয়মিত আপডেট করতে হবে।

  4. ফ্রি হোস্টিং এড়ানো: ভালো মানের প্রিমিয়াম হোস্টিং ব্যবহার করুন যা দ্রুত লোড হয় এবং নির্ভরযোগ্য।

গুগল অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রুভ পাওয়ার জন্য নিয়মিত কাজ করতে হয় এবং সময়ের সাথে সাথে অধিকার এবং কর্তৃত্ব তৈরি করতে হয়। আমার অভিজ্ঞতায়, যদি আপনি SEO, বিশ্বাসযোগ্যতা, এবং কনটেন্ট মান ঠিকভাবে চালিয়ে যান, তবে অ্যাডসেন্সের জন্য সঠিকভাবে আবেদন করলে অ্যাপ্রুভাল আসবেই।

 

 উপসংহার

বাংলাদেশি ওয়েবসাইট থেকে গুগল অ্যাডসেন্সে দ্রুত অ্যাপ্রুভ পাওয়ার জন্য আপনাকে নিয়মিত, মানসম্পন্ন কনটেন্ট দিতে হবে এবং সাইটকে প্রফেশনালভাবে গুছিয়ে রাখতে হবে। ধৈর্য ধরে কাজ করলে ইনশাআল্লাহ অ্যাপ্রুভ আসবে।