08 Jul, 2025
বর্তমান সময়ে শুধুমাত্র একটি ইনকাম সোর্সে নির্ভর করে জীবনযাপন করা অনেকের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। দিন দিন বাড়ছে খরচ, কমছে চাকরির নিরাপত্তা। এমন অবস্থায় মানুষ খুঁজছে বাড়তি ইনকামের পথ। কিন্তু প্রশ্ন হলো—একজন সাধারণ মানুষ কি সত্যিই মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারে?
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বেকারত্বের হার বৃদ্ধি, এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই একাধিক ইনকাম সোর্সের দিকে ঝুঁকছে। বিশেষ করে যারা শিক্ষার্থী, গৃহিণী বা চাকরির পাশাপাশি কিছু করতে চান—তাদের জন্য অনলাইন ভিত্তিক আয় বা ছোট ব্যবসার ধারণাগুলো একেবারেই সময়োপযোগী।
হ্যাঁ, একদম সম্ভব। তবে এর জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা, সময় ও দক্ষতা। অনেকে অনলাইন থেকে এমনকি ঘরে বসেই এর চেয়েও বেশি আয় করছেন। শুরুতে ইনকাম কম হলেও নিয়মিত চর্চা, অভিজ্ঞতা ও স্ট্র্যাটেজি থাকলে মাসে ৫০ হাজার টাকা উপার্জন করা অসম্ভব নয়।
অনলাইন এখন শুধুমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং এটি একটি পূর্ণাঙ্গ কর্মক্ষেত্র। নিচে কয়েকটি প্রমাণিত অনলাইন ইনকাম সোর্স দেওয়া হলো যেগুলোর মাধ্যমে আপনি মাসে ৫০ হাজার টাকা বা তার বেশি আয় করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং হলো আপনার দক্ষতাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরার সুযোগ। আপনি যদি গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ডেটা এন্ট্রি, ভিডিও এডিটিং, বা ডিজিটাল মার্কেটিং-এর মতো স্কিলে পারদর্শী হন, তাহলে Fiverr, Upwork, Freelancer-এর মতো মার্কেটপ্লেসে প্রোফাইল খুলে আয় শুরু করতে পারেন।
গড় আয়: শুরুতে ৫–১০ হাজার টাকা, অভিজ্ঞদের জন্য মাসে ৫০ হাজার+ খুবই সম্ভব।
বিনিয়োগ: ইন্টারনেট সংযোগ, ল্যাপটপ/মোবাইল, স্কিল
চাহিদাসম্পন্ন স্কিল: SEO, Graphics, Writing, Programming, VA
আপনি যদি ভিডিও বানাতে পছন্দ করেন এবং কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর ধারাবাহিকভাবে ভিডিও দিতে পারেন, তাহলে YouTube হতে পারে আপনার জন্য দারুণ একটি আয়ের উৎস। AdSense, Sponsorship এবং Affiliate Marketing এর মাধ্যমে আয়ের সুযোগ রয়েছে।
গড় আয়: চ্যানেলের ভিউ ও সাবস্ক্রাইবারের উপর নির্ভর করে
বিনিয়োগ: মোবাইল ক্যামেরা, ভিডিও এডিটিং অ্যাপ, ইন্টারনেট
জনপ্রিয় নিচ: রেসিপি, ট্রাভেল, টিউটোরিয়াল, রিভিউ, ভ্লগ
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল অন্যের প্রোডাক্ট প্রমোট করে কমিশন আয় করা। আপনি Amazon, Daraz, ClickBank, বা দেশি কোনো ব্র্যান্ডের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে সোশ্যাল মিডিয়া বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে লিংক শেয়ার করে ইনকাম করতে পারেন।
গড় আয়: শুরুতে কম হলেও অভিজ্ঞ হলে মাসে ৫০ হাজার+ আয় সম্ভব
বিনিয়োগ: সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিটি, ওয়েবসাইট থাকলে ভালো হয়
টিপস: বিশ্বাসযোগ্য রিভিউ এবং লক্ষ্যভিত্তিক ট্র্যাফিক গুরুত্বপূর্ণ
আপনি যদি কোনো বিষয়ে ভালো দক্ষতা রাখেন (যেমন: ফটোগ্রাফি, ডিজাইন, প্রোগ্রামিং, ভাষা শিক্ষা), তাহলে সেটি অনলাইন কোর্স বানিয়ে বিক্রি করতে পারেন। Udemy, Skillshare, বা নিজস্ব ওয়েবসাইটে কোর্স আপলোড করে আয় করা সম্ভব।
গড় আয়: প্রতি কোর্স বিক্রিতে ১০–৫০ ডলার পর্যন্ত
বিনিয়োগ: ভিডিও রেকর্ডিং ও এডিটিং, কোর্স প্ল্যাটফর্ম
বড় সুবিধা: একবার বানালে বহুবার বিক্রি সম্ভব
সরাসরি কোনো অফিসে না গিয়েও আপনি ঘরে বসে বিভিন্ন ব্যবসার মাধ্যমে নিয়মিত আয় করতে পারেন। নিচে এমন কিছু লাভজনক ঘরোয়া ব্যবসার ধারণা দেওয়া হলো, যেগুলোর মাধ্যমে আপনি মাসে ৫০ হাজার টাকা বা তার বেশি আয় করতে পারেন।
যারা রান্না বা বেকিংয়ে পারদর্শী, তারা ঘরে বসে হোম কিচেন বা বেকারি শুরু করতে পারেন। কেক, পেস্ট্রি, লাঞ্চ বক্স, হোম-মেড ফুড অর্ডারে দিয়ে বিভিন্ন লোকাল এলাকায় হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা করলেই আয় শুরু করা সম্ভব।
আয় সম্ভাবনা: মাসে ২০,০০০–৭০,০০০+ (অর্ডারের উপর নির্ভরশীল)
বিনিয়োগ: চুলা, ওভেন, প্যাকেজিং, ফেসবুক পেজ
গ্রাহক টার্গেট: অফিস, বাসা, স্কুল, কলেজ
বিভিন্ন পাইকারি মার্কেট বা অনলাইন সোর্স থেকে জামাকাপড় বা কসমেটিকস সংগ্রহ করে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করা যায়। এটি মূলত একধরনের রিসেলিং ব্যবসা।
আয় সম্ভাবনা: শুরুতে ১০,০০০–৩০,০০০, পরে মাসে ৫০ হাজার+
বিনিয়োগ: ৫০০০–১৫,০০০ টাকা প্রাথমিক স্টকে
জনপ্রিয় পণ্য: থ্রি-পিস, শাড়ি, স্কিন কেয়ার, লিপস্টিক, হেয়ার কেয়ার
এটি এমন একটি ব্যবসা যেখানে আপনার ডিজাইন অনুযায়ী পণ্য (মগ, টি-শার্ট, হুডি ইত্যাদি) প্রিন্ট করে বিক্রি করা হয়। আপনাকে স্টক রাখতে হয় না, বরং ক্লায়েন্ট অর্ডার করার পর প্রিন্ট হয়।
আয় সম্ভাবনা: প্রতি প্রোডাক্টে ১০০–৩০০ টাকা লাভ, মাসে ৫০ হাজার+ আয় সম্ভব
প্ল্যাটফর্ম: Printful, Teespring, বা স্থানীয় প্রিন্টিং শপ
টিপস: ট্রেন্ডি ডিজাইন ও ক্যাচি কোড ব্যবহার
ড্রপশিপিং হলো এমন একটি ব্যবসা যেখানে আপনি প্রোডাক্ট সরবরাহ না করেও বিক্রি করতে পারেন। আপনি শুধু অনলাইনে অর্ডার নেবেন, বাকি কাজ (স্টক, শিপিং) করবে থার্ড-পার্টি ভেন্ডর।
আয় সম্ভাবনা: প্রোডাক্ট ও মার্কেটিং দক্ষতার উপর নির্ভর করে
প্রয়োজন: Shopify/WordPress ওয়েবসাইট, ফেসবুক অ্যাডস
সুবিধা: ইনভেন্টরি বা স্টোরেজ প্রয়োজন নেই
ফুলটাইম চাকরি না করেও ঘরে বসে বিভিন্ন স্কিল-ভিত্তিক সার্ভিস দিয়ে আয় করা যায়। শিক্ষার্থী, গৃহিণী বা ফ্রেশারদের জন্য এই ধরণের কাজ সহজলভ্য এবং লাভজনক।
বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের জন্য এটি অন্যতম সহজ এবং প্রচলিত আয় মাধ্যম। ক্লাস ১ থেকে এইচএসসি পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ের টিউশন দিয়ে ভালো আয় করা যায়।
আয় সম্ভাবনা: প্রতি শিক্ষার্থী থেকে ১০০০–৩০০০ টাকা, ১৫-২০ জন হলে ৫০ হাজার+
মাধ্যম: অফলাইন (বাসায় গিয়ে), অনলাইন (Zoom/Google Meet)
বিশেষ টিপস: ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিন, লোকাল গ্রুপে পোস্ট করুন
যারা SEO, Facebook/Google Ads, Email Marketing, বা Social Media Management জানেন, তারা বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্যক্তিকে সার্ভিস দিয়ে আয় করতে পারেন।
আয় সম্ভাবনা: প্রতিমাসে ২০,০০০–১,০০,০০০+
প্রয়োজনীয়তা: মার্কেটিং জ্ঞান ও কম্পিউটার স্কিল
ক্লায়েন্ট খোঁজার জায়গা: Fiverr, Upwork, LinkedIn
আপনার লেখার গুণ থাকলে ব্লগ, ওয়েবসাইট, স্ক্রিপ্ট বা সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট লিখে আয় করা সম্ভব। ইংরেজি জানলে আন্তর্জাতিক মার্কেটেও কাজ করতে পারবেন।
আয় সম্ভাবনা: প্রতি ৫০০ শব্দে ৫০০–১৫০০ টাকা, মাসে ৫০ হাজার+
চাহিদাসম্পন্ন নিস: হেলথ, ফাইনান্স, টেক, এডুকেশন
মার্কেটপ্লেস: Fiverr, PeoplePerHour, Freelancer
ফটোশপ, ক্যানভা, ফিমোরা, প্রিমিয়ার প্রো – এই সফটওয়্যারগুলোতে দক্ষতা থাকলে আপনি ফেসবুক পেজ, ইউটিউবার বা কোম্পানির ডিজাইন/ভিডিও তৈরির কাজ পেতে পারেন।
আয় সম্ভাবনা: প্রতি ডিজাইনে ২০০–৫০০ টাকা, ভিডিও এডিটে ৫০০–২০০০ টাকা
ক্লায়েন্ট খোঁজার উপায়: ফেসবুক গ্রুপ, Fiverr, ব্যক্তিগত পরিচিতি
পরামর্শ: প্রথম দিকে ২–৩টি ফ্রি কাজ করে রিভিউ তৈরি করুন
সবার পক্ষে অনলাইন বা ডিজিটাল মাধ্যমে কাজ করা সম্ভব হয় না। তবে চিন্তা নেই—আপনার আশেপাশেই অনেক লোকাল ব্যবসার সুযোগ রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে অল্প পুঁজি নিয়েও মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। নিচে এমন কিছু ব্যবসার উদাহরণ দেওয়া হলো:
একটি ছোট মুদি দোকান বা চায়ের দোকান খুলে প্রতিদিন কিছু নির্দিষ্ট সংখ্যক গ্রাহককে সার্ভিস দিলেই আপনি সহজেই নিয়মিত আয় করতে পারেন। লোকেশন ভালো হলে আয় আরও বেশি।
আয় সম্ভাবনা: প্রতিদিন ১,৫০০–২,০০০ টাকা আয় হলে মাসে ৪৫,০০০–৬০,০০০+
পুঁজি: মুদি দোকানে ৫০,০০০–১,০০,০০০ টাকা, চায়ের দোকানে ২০,০০০–৪০,০০০ টাকা
পরামর্শ: পরিচ্ছন্নতা, ভালো ব্যবহার ও কম দামে পণ্য বিক্রি করলে কাস্টমার ধরে রাখা সহজ
এখনকার দিনে প্রতিটি এলাকায় মোবাইল রিচার্জ, বিল পরিশোধ, বিকাশ/নগদ/রকেট ট্রানজেকশন অত্যন্ত চাহিদাসম্পন্ন সেবা। আপনি চাইলে ঘরের সামনেই ছোট একটি এজেন্ট দোকান খুলতে পারেন।
আয় সম্ভাবনা: দৈনিক ৫০০–২০০০ টাকা কমিশন, মাসে ৩০,০০০–৬০,০০০ টাকা
প্রয়োজন: বিকাশ/নগদ এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন, মোবাইল, কিউআর কোড, সামান্য পুঁজি
বোনাস আয়: মোবাইল এক্সেসরিজ, সিম বিক্রি, ফ্লেক্সিলোড
যারা গ্রামে থাকেন বা বাড়ির পাশে কিছু খালি জায়গা আছে, তারা সহজেই হাঁস-মুরগি পালন, সবজি চাষ বা গাভী পালন করে আয় শুরু করতে পারেন। এটি নিয়মিত খরচ ও পরিশ্রমসাপেক্ষ, তবে লাভজনক।
আয় সম্ভাবনা: মাসে ২০,০০০–৭০,০০০ টাকা পর্যন্ত
জনপ্রিয় খাত: ব্রয়লার মুরগি, লেয়ার মুরগি, দেশি হাঁস, লাউ/টমেটো/ধনেপাতা চাষ
সহায়তা: কৃষি অফিস, NGO ট্রেনিং, ইউটিউব চ্যানেল (Ex: Krishi Jagat, Deshi Agro BD)
যেকোনো ইনকামের জন্য স্কিল থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যেদিকেই যেতে চান, সেটি বুঝে নিচের স্কিলগুলোর যেকোনো একটিতে দক্ষতা অর্জন করুন:
ইনকাম সোর্স | প্রযোজ্য স্কিল |
---|---|
ফ্রিল্যান্সিং | Graphic Design, Writing, SEO, Programming |
ইউটিউব | স্ক্রিপ্ট লেখা, ভিডিও এডিটিং, প্রেজেন্টেশন |
হোম বিজনেস | কুকিং, প্রোডাক্ট সোর্সিং, কাস্টমার সার্ভিস |
লোকাল ব্যবসা | হিসাব রাখা, কাস্টমার ডিলিং, প্রডাক্ট চয়েস |
ফ্রি রিসোর্স:
YouTube: “Anisul Islam”, “Shahriar Palash”, “SabbirLive”
Google: Digital Garage, Coursera (Audit mode)
Facebook Group: Freelancing / Business / Dropshipping groups
পেইড রিসোর্স:
10 Minute School – Freelancing Course
CodersTrust – স্কিল ডেভেলপমেন্ট ট্র্যাক
Udemy – Low price international courses (with certificate)
আয় বাড়াতে হলে শুধু দক্ষতা নয়, সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করাও গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি প্রতিদিন ৩–৫ ঘণ্টা স্থির পরিকল্পনায় কাজ করতে পারেন, তাহলে ৩–৬ মাসের মধ্যেই ভালো ইনকাম শুরু হতে পারে।
কিছু টিপস:
প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ করুন শিখতে ও কাজ করতে
কাজ শুরু করার আগে প্ল্যান লিখে নিন
শুরুতে ধৈর্য ধরুন—অতিরিক্ত আয় সময়ের সাথে বাড়বে
শুধু থিওরি নয়—চলুন এবার দেখি বাস্তবে কীভাবে সাধারণ মানুষ তাদের জীবনের অবস্থান থেকে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করতে সক্ষম হয়েছেন। নিচের ২-৩টি রিয়েল কেস স্টাডি থেকে আপনি অনুপ্রেরণা ও দিকনির্দেশনা পাবেন।
অবস্থান: মিরপুর, ঢাকা
পূর্ব অভিজ্ঞতা: শূন্য
বর্তমান ইনকাম: মাসে প্রায় ৬০,০০০ টাকা
ফারজানা initially ইউটিউব দেখে ঘরে বসে কেক বানানো শুরু করেন। প্রথম দিকে আত্মীয়স্বজনদের অর্ডারেই সীমাবদ্ধ থাকলেও ফেসবুকে একটি পেজ খুলে তিনি অর্ডার বাড়ান। এখন তার ২ জন সহকারী আছে, এবং বিয়ের মৌসুমে ইনকাম ৮০ হাজারের বেশি হয়।
➡️ মূল আয়ের উৎস: হোম বেকারি + কাস্টম কেক
➡️ কী শিখেছেন: ভিডিও দেখে কেক ডেকোরেশন ও প্রমোশন
➡️ টিপস: কাস্টমার রিভিউ = নতুন অর্ডার
অবস্থান: রাজশাহী
পূর্ব অভিজ্ঞতা: IT support চাকরি
বর্তমান ইনকাম: মাসে ৭০,০০০+ টাকা
সাইফুল ফ্রিল্যান্সিং শেখেন CodersTrust থেকে। তিনি Fiverr-এ গ্রাফিক ডিজাইন দিয়ে শুরু করেন এবং পরে লোগো ডিজাইন, ব্যানার, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের কাজ করতে থাকেন। এখন তার নিজের ছোট একটি টিম আছে।
➡️ মূল ইনকাম: Fiverr, Upwork
➡️ জনপ্রিয় সার্ভিস: Logo + Social Media Graphics
➡️ পরামর্শ: একটিতে এক্সপার্ট হন, অনেক কিছু শিখতে গিয়ে বিভ্রান্ত হবেন না
অবস্থান: নরসিংদী
পূর্ব অভিজ্ঞতা: দোকানে চাকরি
বর্তমান ইনকাম: মাসে ৫০,০০০–৬৫,০০০ টাকা
হাসিবুল একটি ছোট মোবাইল রিচার্জের দোকান দিয়ে শুরু করেন। পরে বিকাশ, নগদ, রকেট এজেন্ট অ্যাকাউন্ট চালু করেন। তিনি সিম বিক্রি, মোবাইল কভার, চার্জারও রাখতে শুরু করেন। দিনে ২০০–৩০০ জন কাস্টমার আসেন।
➡️ মূল আয়ের উৎস: কমিশন + এক্সেসরিজ বিক্রি
➡️ সাফল্যের চাবিকাঠি: ভালো ব্যবহার, প্রতিদিন সময়মত দোকান খোলা
➡️ টিপস: গ্রামের এলাকাতেও ভালো ইনকাম সম্ভব, যদি কাস্টমার ধরে রাখতে পারেন
“মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়” নিয়ে অনেকেই স্বপ্ন দেখেন, কিন্তু বাস্তবে সফল হতে হলে দরকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ মানসিকতা:
সব কাজেই সময় লাগে। প্রথম মাসেই বড় ইনকাম আশা না করে শেখা, চেষ্টা ও ভুল থেকে শিখতে শিখতে এগোতে হবে। কোন প্ল্যাটফর্মে কেমন আয় হচ্ছে, সেটা বিশ্লেষণ করে স্ট্র্যাটেজি ঠিক করতে হবে।
হোক সেটা একটি ছোট ফেসবুক পেজ, বা একটি মোবাইল দোকান—আপনার যাত্রা শুরু হোক ছোট থেকে। কিন্তু লক্ষ্য হোক মাসে ৫০ হাজার টাকা বা তার বেশি।
দক্ষতা অর্জন করুন, বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করুন, এবং নিজেকে প্রতিদিন একটু করে উন্নত করুন। আয় শুধু আসবে না—তাকে আনার জন্য কাজ করতে হবে।
আপনার স্কিল, কাজের ধরন ও সময় দেওয়ার পরিমাণ অনুযায়ী এটি ভিন্ন হতে পারে। গড়পড়তা হিসেবে একজন নতুন ব্যক্তি ৩–৬ মাসের মধ্যে এই আয় অর্জন করতে পারেন।
কনটেন্ট রাইটিং, ফ্রিল্যান্সিং, অনলাইন টিউশন, ও ইউটিউবিং সহজ এবং বিনিয়োগ ছাড়াই শুরু করা যায়।
ছাত্র: কন্টেন্ট রাইটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, টিউশন
গৃহবধূ: হোম কিচেন, ফেসবুক বাণিজ্য, অনলাইন পোশাক বিক্রি
চাকরিজীবী: ফ্রিল্যান্সিং, ব্লগিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
ফ্রিল্যান্সিং (Fiverr, Upwork)
ইউটিউব ভিডিও বানানো
ফেসবুক অ্যাড ব্রেকস
ব্লগিং
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অনলাইন কোর্স বিক্রি
ই-কমার্স/ড্রপশিপিং
হ্যাঁ, সম্ভব। যদি আপনার Fiverr/YouTube/Online Store-এর ভালো সেল বা অর্ডার থাকে, তাহলে একদিনেই ৩০০০ বা তার বেশি ইনকাম করা যায়।
ঘরে বসে রান্নার ব্যবসা
অনলাইন পোশাক বা কসমেটিকস বিক্রি
ডিজাইন/রাইটিং/সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলিং
ইউটিউব চ্যানেল (বিউটি/রেসিপি/ভ্লগ)
Facebook Ad Breaks (ভিডিও কন্টেন্ট)
Affiliate Link শেয়ার করে
Facebook Page থেকে পণ্যের বিক্রি
স্পন্সর পোস্ট বা ব্র্যান্ড প্রমোশন
হ্যাঁ। ইউটিউব ভিডিও বানানো, কন্টেন্ট রাইটিং, রিচার্জ বিজনেস, ফেসবুক পেজ ম্যানেজমেন্ট—সবই মোবাইল দিয়েই সম্ভব।
অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং
ইউটিউব ভিডিও
হোম কিচেন বা ফুড ডেলিভারি
টিউশন
Facebook Page বা Shopify Store
Facebook Ad Breaks থেকে প্রতি ১০০০ ভিউতে আয় হতে পারে $0.20 – $3.00+, কন্টেন্ট ও দর্শকের দেশের উপর নির্ভর করে।
ইউটিউব বা ফেসবুকে ১ ভিউতে সরাসরি টাকা আসে না। গড়ে প্রতি ১০০০ ভিউতে আয় হয় $0.5–$3 (প্রায় ৫০–৩০০ টাকা)।
ফ্রিল্যান্সিং: পার্ট টাইম
কন্টেন্ট রাইটিং
হোম বেকারি
অনলাইন রিচার্জ ও মোবাইল এজেন্ট
টিউশন
গড়ে ১০,০০০ ভিউতে আপনি আয় করতে পারেন $5 – $30 (৫০০–৩০০০ টাকা) পর্যন্ত।
১ মিলিয়ন ভিউতে আয় হতে পারে $500 – $2000 (৫০,০০০ – ২ লাখ টাকা), কন্টেন্ট ও দর্শকের অবস্থানের উপর নির্ভর করে।
ইউটিউব ভিডিও
ফেসবুক পেজ থেকে আয়
অনলাইন শপ চালানো
ফ্রিল্যান্সিং
মোবাইল রিচার্জ/বিকাশ
PUBG, Free Fire বা Ludo-এর মতো গেমে অনলাইন টুর্নামেন্ট, স্ট্রিমিং অথবা স্পন্সর নিয়ে আয় করা যায়।
নিজের স্কিল বাড়ান
অনলাইন প্ল্যাটফর্মে জয়েন করুন
সময় ধরে কাজ করুন
ধৈর্য রাখুন
শুরুতে কম হলেও নিয়মিত পোস্ট ও ভিজিটর বাড়ালে Google AdSense + Affiliate Marketing মিলিয়ে মাসে ৫০,০০০+ আয় সম্ভব।
Fiverr
Upwork
iWriter
PeoplePerHour
TextBroker
Contena (প্রিমিয়াম)
যেকোনো একটি পথ বেছে নিয়ে স্কিল শিখুন, চেষ্টা চালিয়ে যান এবং প্রতিদিন কাজ করুন। নিয়মিত চেষ্টায় অবশ্যই আয় আসবে।
ওয়েবসাইট বা ইউটিউব থেকে প্রতি ১০০০ ভিউতে $1–$5 আয় করা যায়। ভিজিটর বেশি হলে আয়ও বেশি।
আয় হলো কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের শ্রম, পণ্য বা সেবা প্রদানের বিনিময়ে পাওয়া অর্থ বা সম্পদ।
ব্লগার হলেন এমন একজন ব্যক্তি, যিনি নিয়মিতভাবে ওয়েবসাইটে কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে তথ্য, মতামত বা গাইডলাইন লেখেন।