অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম, নিবন্ধন যাচাই, সংশোধন ও অনলাইন নিবন্ধন ফরম ডাউনলোড ২০২২

অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার নিয়ম, নিবন্ধন যাচাই, সংশোধন ও অনলাইন নিবন্ধন ফরম ডাউনলোড ২০২২

জন্ম নিবন্ধন কি? ( Birth Registration or Jonmo Nibondhon)

কোনো ব্যাক্তির নাম, জন্ম, ঠিকানা এবং পিতা-মাতার নাম সরকারি ডাটাবেজে প্রথমবারের মতো বসানো একটি প্রক্রিয়ার নাম জন্ম নিবন্ধন। এর মাধ্যমে ব্যাক্তিটি আইনগত ভাবে জানান দিতে পারে তার অস্তিত্ব। জন্ম নিবন্ধন হলো জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ২৯ নং আইন) এর আওতায় একজন মানুষের নাম, লিঙ্গ, জন্মের তারিখ ও স্থান, বাবা-মায়ের নাম, তাদের জাতীয়তা এবং স্থায়ী ঠিকানা নির্ধারিত নিবন্ধক কর্তৃক রেজিস্টারে লেখা বা কম্পিউটারে এন্ট্রি প্রদান এবং জন্ম সনদ প্রদান করা। অথাৎ কোনো ব্যাক্তি প্রথম বারের মতো সরকারি খাতায় নাম লিখালেই তা জন্ম নিবন্ধন এবং জন্ম সম্পর্কিত যেমন ব্যাক্তির নাম, জন্ম, ঠিকানা এবং পিতা-মাতার নাম ইত্যাদির তথ্য থাকে যে সনদে তাকে জন্ম সনদ বলা হয়। জন্ম নিবন্ধন বাংলাদেশের যেকোনো বয়সী নাগরিকের একটি নাগরিক অধিকার। 

জন্ম নিবন্ধন কোন কোন ক্ষেত্রে প্রয়োজন পরবে:

জন্ম নিবন্ধন খুবই দরকারি একটি সনদ যা বহু কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। নিচে যে সকল কাজে জন্ম নিবন্ধন ব্যবহার হয়ে থাকে তার একটি তালিকা করা হলো :
  • চিঠি নিতে। 
  • পাসপোর্ট ইস্যু। 
  • পেনশন তুলতে। 
  • বিবাহ নিবন্ধন। 
  • চাকুরীর ক্ষেত্রে। 
  • জমি রেজিষ্ট্রেশন। 
  • মৃত সনদের জন্য। 
  • প্রত্যয়ন পত্রের জন্য। 
  • ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি। 
  • ব্যাংক হিসাব খোলা। 
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি। 
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু। 
  • ভোটার তালিকা প্রণয়ন। 
  • জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তি। 
  • ঠিকাদারী লাইসেন্স প্রাপ্তি। 
  • গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্তি। 
  • উত্তরাধিকার সনদ প্রয়োজনে। 
  • বাড়ির নকশা অনুমোদন প্রাপ্তি। 
  • আমদানি ও রপ্তানী লাইসেন্স প্রাপ্তি। 
  • এন আইডি কার্ড এর বিকল্প হিসাবে।  
  • জন্ম তারিখ দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই। 
  • গ্যাস, পানি, টেলিফোন ও বিদ্যুৎ সংযোগ প্রাপ্তি।  
  • টিআইএন বা ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার প্রাপ্তি। 
  • সরকারী বেসরকারী বা স্বায়ত্বশাসিত সংস্থায় নিয়োগ। 
  • সাধারণত এ সকল কাজে জন্ম নিবন্ধন প্রয়োজন পরে তাছাড়া সময় বেধে তা পরিবর্তন হতে পারে। 

জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে কি কি কাগজপত্র প্রদান করা লাগবে

জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে সাধারণত বাবা মায়ের ভোটার আইডি কার্ড এবং যে বাড়িতে থাকেন সে বাড়ির ট্যাক্সের রশিদ বা ট্যাক্সের রশিদ না থাকলে মূল দলিলের ফটোকপি এবং আপনি যদি ভাড়াটিয়া হন তাহলে বাড়িওলার নিকট হতে সামনের ১ বছরে সে বাড়িতে থাকার হলফ নামার প্রয়োজন হবে সাথে বাড়িওলার ট্যাক্সের রশিদের ফটোকপি সহ। তবে জায়গায় বেদে ভিন্ন ভিন্ন কাগজপত্র চেয়ে থাকে তাই আপনি নিজে সরাসরি সংশ্লিষ্ট নিবন্ধকের কার্যালয় যোগাযোগ করুন। আমরা নিচে কিছু ধারণা দেয়ার চেষ্টা করছি :  

শিশুর জম্মের ০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করলে:
  • হাসপাতাল বা ক্লিনিকে জন্মগ্রহণ করে থাকলে সেখান থেকে প্রদত্ত সার্টিফিকেট বা ছাড়পত্র
  • ইপিআই (টিকা) কার্ড
  • পিতা ও মাতার ডিজিটাল বা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন (বাংলা ও ইংরেজি বাধ্যতামূলক) কপি
  • পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি
  • বাসার ট্যাক্সের রশিদ আর না থাকলে মূল দলিলের ফটোকপি 
  • অভিভাবকের মোবাইল নম্বর
  • চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র বা চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত জন্ম সংক্রান্ত সনদের সত্যায়িত কপি বা পূরণকৃ্ত আবেদনপত্রে বার্থ এটেন্ডের এর প্রত্যায়ন বা ইপিআই কার্ডের সত্যায়িত অনুলিপি
  • পিতা / মাতা/ পিতামহ / পিতামহীর দ্বারা স্বনামে স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে ঘোষিত আবাস স্থলের বিপরীতে হালনাগাদ কর পরিশোধের প্রমানপত্র বা পিতা / মাতা/ পিতামহ / পিতামহীর জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট ঘোষিত স্থায়ী ঠিকানা বা জমি অথবা বাড়ি ক্রয়ের দলিল, খাজনা ও কর পরিশোধ রশিদ। (নদীভাঙ্গন অন্য কোন কারনে স্থায়ী ঠিকানা বিলুপ্ত হলে)
শিশুর জম্মের ৪৬ দিন থেকে ৫ বছর হলে:
  • হাসপাতাল বা ক্লিনিকে জন্মগ্রহণ করে থাকলে সেখান থেকে প্রদত্ত সার্টিফিকেট বা ছাড়পত্র
  • ইপিআই (টিকা) কার্ড / স্বাস্থ্য কর্মীর প্রত্যায়নপত্র (স্বাক্ষর ও সীলসহ)
  • পিতা ও মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন ফটোকপি
  • পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
  • বাসার ট্যাক্সের রশিদ আর না থাকলে মূল দলিলের ফটোকপি 
  • অভিভাবকের মোবাইল নম্বর
  • আবেদন ফরম জমা দেয়ার সময় ১ কপি রঙ্গিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  • চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র বা চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত জন্ম সংক্রান্ত সনদের সত্যায়িত কপি বা পূরণকৃ্ত আবেদনপত্রে বার্থ এটেন্ডের এর প্রত্যায়ন বা ইপিআই কার্ডের সত্যায়িত অনুলিপি ।
  • পিতা / মাতা/ পিতামহ / পিতামহীর দ্বারা স্বনামে স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে ঘোষিত আবাস স্থলের বিপরীতে হালনাগাদ কর পরিশোধের প্রমানপত্র বা পিতা / মাতা/ পিতামহ / পিতামহীর জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট ঘোষিত স্থায়ী ঠিকানা বা জমি অথবা বাড়ি ক্রয়ের দলিল , খাজনা ও কর পরিশোধ রশিদ। (নদীভাঙ্গন অন্য কোন কারনে স্থায়ী ঠিকানা বিলুপ্ত হলে)
৫ বছর বা তার চেয়ে ব্যক্তির জন্য:
  • প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট, মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট এর  ফটোকপি  
  • পিতা ও মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন ফটোকপি 
  • পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি 
  • বাসার ট্যাক্সের রশিদ আর না থাকলে মূল দলিলের ফটোকপি 
  • আবেদন ফরম জমা দেয়ার সময় ১ কপি রঙ্গিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  • চিকিৎসক কর্তৃক প্রত্যায়ন পত্র (বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত এমবিবিএস বা তদূর্ধ্ব ডিগ্রিধারী) বা সরকার কর্তৃক পরিচালিত প্রথমিক শিক্ষা সমাপনী, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট এবং শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট
  • পিতা / মাতা/ পিতামহ / পিতামহীর দ্বারা স্বনামে স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে ঘোষিত আবাস স্থলের বিপরীতে হালনাগাদ কর পরিশোধের প্রমানপত্র বা পিতা / মাতা/ পিতামহ / পিতামহীর জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট ঘোষিত স্থায়ী ঠিকানা বা জমি অথবা বাড়ি ক্রয়ের দলিল, খাজনা ও কর পরিশোধ রশিদ। (নদীভাঙ্গন অন্য কোন কারনে স্থায়ী ঠিকানা বিলুপ্ত হলে)

অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন

ধাপ ১: অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন করার জন্য আপনি এখানে ক্লিক করুন। পরে আপনি নিচের চিত্রের ন্যায় একটি বক্স দেখতে পারবেন।


জন্ম নিবন্ধন সনদ পত্রটি আপনি আপনার কোন ঠিকানা হতে সংগ্রহ করতে চান সেখানে তা নির্বাচন করুন। আপনি আপনার জন্মস্থান, স্থায়ী ঠিকানা বা বর্তমান ঠিকানার যেখানে নির্বাচন করেছেন তার নিকটবর্তী সংশ্লিষ্ট নিবন্ধকের কার্যালয় হতে সনদপত্রটি গ্রহণ করতে হবে। যেমন বর্তমান ঠিকানাই নির্বাচন করলে সেখান থেকেই জন্ম নিবন্ধন সনদ পত্রটি নিতে হবে জন্মস্থান হতে নিতে পারবেন না। 

ধাপ ২ :  এখানে আপনার নাম(বাংলায় ও ইংরেজিতে), জন্ম তারিখ, পিতা ও মাতার কততম সন্তান লিঙ্গ, দেশ, বিভাগ, জেলা , সিটি কর্পোরেশন, ক্যান্টনমেন্ট/ উপজেলা, পৌরসভা/ ইউনিয়ন ওয়ার্ড, ডাকঘর(বাংলায় ও ইংরেজিতে), গ্রাম/ পাড়া/ মহল্লা (বাংলায় ও ইংরেজিতে), বাসা ও সড়ক (বাংলায় ও ইংরেজিতে)  ইত্যাদি সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। 



আপনার নাম যদি ১টি অংশ হয় যেমন রাকিব তাহলে নামের শেষ অংশের জায়গায় রাকিব লিখবেন আর যদি নামের ২টি অংশ থাকে যেমন রাকিব হাসান তাহলে বাম পাশে রাকিব ও ডান পাশে হাসান লিখবেন এবং আর যদি নামের ৩টি অংশ থাকে যেমন রাকিব হাসান সামিদ তাহলে বাম পাশে রাকিব হাসান এবং ডান পাশে সামিদ। নামের ৪টি অংশ থাকলে ৩ টি অংশ বামে এবং আরেকটি ডানে বসবেন। 

ধাপ ৩ : এখানে আবেদনকারীর পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর দেওয়ার সাথে সাথে স্বয়ংক্রীয়ভাবে তাদের নামসমূহ চলে আসবে। যদি আবেদনকারী ২০০১ সালের আগে জন্মগ্রহণ করেন তাহলে পিতা ও মাতার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার না দিলেও চলবে শুধু মাত্র পিতা মাতার নাম লিখে দিলেই হবে। 


ধাপ ৪

এখন বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা দেয়ার পালা। নিচের ছবিটির মতো আসলে কোনটিই নয় "নির্বাচন" করুন।তখন নিচের ছবির মত অপশন আসবে। 

স্থায়ী ঠিকানার ক্ষেত্রে জন্মস্থান ও স্থায়ী ঠিকানা একই হলে  চেক বক্সে টিক দিন তাহলে স্বয়ংক্রীয়ভাবে স্থায়ী ঠিকানার ফরম গুলো পূর্ণ হয়ে যাবে। এবং বর্তমান ঠিকানার ক্ষেত্রে  স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা একই হলে চেক বক্সে টিক দিন তাহলে স্বয়ংক্রীয়ভাবে  বর্তমান ঠিকানার ফরম গুলো পূর্ণ হয়ে যাবে। আর যদি আলাদা আলাদা হয়ে থাকে তাহলে স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানার ফরম গুলো  গ্রাম, বাসা ও সড়ক নম্বর লিখে পূর্ণ করুন। এরপর পরবর্তী বাটনে চাপুন। 


ধাপ ৫ : এ পর্যায়ে যে আবেদন করেছেন তার নাম ও মোবাইল নাম্বার দিতে হবে। যার আবেদন সে যদি আবেদন করে থাকে তাহলে "নিজ" অপশনটি সিলেক্ট করবে অনথাই অন্যান্য  অপশনটি সিলেক্ট করুন। বিস্তারিত দিয়ে পরবর্তী বাটনে চাপুন। 


ধাপ ৬ : এবার আপনার সামনে একটি পিডিএফ ফাইল আসবে সেখানে ভালো মতো চেক করে দেখুন সব খুঁটিনাটি টিক আছে কিনা। পরে সেটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে আবেদনকারীর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ/ পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন/ ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড অফিসে জমা দিতে হবে। 

অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সম্পর্কে প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন: জন্ম নিবন্ধন কোথায় করতে হবে?

উত্তর: জন্ম নিবন্ধন করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ে করতে হয়। সেখানে জম্ম মৃত্যু নিবন্ধন কক্ষ রয়েছে সেখানে যোগাযোগ করুন। 

প্রশ্ন: জন্ম নিবন্ধন কোন বয়সে করতে হয়?
উত্তর: আপনি যখন ইচ্ছা তখনই করতে পারেন। তবে শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে করা ভালো সেখানে বিনা খরচে করা যায়। কিন্তু বয়স ৫ বছরের অধিক হলে অনেক বেশি কাগজপত্রের প্রয়োজন পরে যা অনেক জামেলা জনক। 

প্রশ্ন: জন্ম নিবন্ধন কিভাবে করতে হয়?
উত্তর: প্রথমে আপনাকে অবশ্যই অনলাইনে আবেদন করতে হবে। পরে তা প্রিন্ট করে সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ/ পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন/ ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড অফিসে জমা দিতে হবে। 

প্রশ্ন: জন্ম নিবন্ধন কি দুইবার করা যায়?
উত্তর: না, করা যাবে না তবে আপনি সংশোধন করতে পারেন। 

প্রশ্ন: জন্ম নিবন্ধন ফ্রি কত টাকা ?
উত্তর: জন্ম নিবন্ধন ফ্রি সর্বোচ্চ ৫০ টাকা। তবে বয়স বেদে আরো কম রয়েছে যেমন জম্মের পঁয়তাল্লিশ দিনের মধ্যে করলে বিনা মূল্যে এবং জম্মের ছয়চল্লিশ দিন থেকে ৫ বছরের মধ্যে করলে ২৫ টাকা ফ্রি দিতে হয়। 

প্রশ্ন: পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন নেই কিভাবে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করবো?
উত্তর:যদি আবেদন কারীর বয়স ২০০১ সালের আগে হয়ে থাকে তাহলে পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর ছাড়াও জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা যাবে তবে ২০০১ সালের নিচে হলে পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর ছাড়া জন্ম নিবন্ধন সম্ভব নয়। 

প্রশ্ন: বাড়ি কিনেছি ট্যাস্ক অফিসে এখনও নাম উঠেনি বা বাড়ির ট্যাস্ক কাগজে আগের বাড়িওলার নাম দেয়া আছে কি করবো। 
উত্তর: তাহলে আপনার বাড়ির মূল দলিলের ফটোকপি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ/ পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন/ ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড অফিসে জমা দিতে হবে।

প্রশ্ন: আমার ভোটার আইডি কার্ডে আমার পিতার নাম একটি এবং আমার পিতার ভোটার আইডি কার্ডে আরেকটি তাহলে আমি জন্ম নিবন্ধনের সময় কোনটি ব্যবহার করবো ?
উত্তর: আপনার পিতার ভোটার আইডি কার্ডে যে নাম দেওয়া আছে সেটি ব্যবহার করুন। 

প্রশ্ন: অনলাইনে ছাড়া অফলাইনে জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করা যাবে কি?
উত্তর: না, করা যাবে না।  প্রথমে অনলাইন ফরম পূরণ করতে হবে পরে আবেদন ফর্ম সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ/ পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন/ ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড অফিসে জমা দিতে হবে। 

প্রশ্ন: জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড কিভাবে করবো ?
উত্তর: জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন। 

প্রশ্ন: জন্ম নিবন্ধন ফরম অনলাইন 
উত্তর: জন্ম নিবন্ধন ফরম খুঁজতে এখানে ক্লিক করুন। 

প্রশ্ন: বিবাহিত নারীর জন্ম নিবন্ধন-এ স্বামীর কোনো কিছু উল্লেখ করতে হবে ?
উত্তর: না, কোনো কিছু উল্লেখ করতে হবে না বা আবেদন ফর্মে স্বামীর বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া যাবে না। 

প্রশ্ন: বিদেশে জন্ম হলে দেশে জন্ম নিবন্ধন কি করা যাবে ?
উত্তর: হ্যা করা যাবে তবে প্রমান দিতে হবে যে আবেদনকারী বাংলাদেশের নাগরিক। 

প্রশ্ন: জন্ম নিবন্ধন যাচাই ও অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কপি ডাউনলোড?
উত্তর: যদি আপনি  জন্ম নিবন্ধন যাচাই বা জন্ম নিবন্ধন কপি ডাউনলোড করতে চান তাহলে এখানে ক্লিক করুন। পরে জন্ম নিবন্ধন নম্বর ও জম্ম তারিখ ফর্মে দিলেই  অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন ফরমটি দেখতে পারবেন। 

প্রশ্ন: জন্ম নিবন্ধন সংশোধন কিভাবে করবেন :
উত্তর: জন্ম নিবন্ধন সংশোধন সরাসরি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ/ পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন/ ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড অফিসে গিয়ে করতে পারেন অথবা অনলাইনেও করতে পারেন। অনলাইনে করে এখানে ক্লিক করুন। 





Tags:
online jonmo nibondhon, jonmo nibondon, jonmo, jonmo nibondhon online, jonmo nibondhon, jonmo nibondhon bangladesh, জন্ম নিবন্ধন, bdris.gov.bd, জন্ম নিবন্ধন যাচাই, birth certificate bd, birth certificate bangladesh, online bris, bdris online application, জন্ম নিবন্ধন অনলাইন, bdris, জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড, জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড, জন্ম নিবন্ধন অনলাইন আবেদন ২০২২, জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড 2022, জন্ম নিবন্ধন সংশোধন, online birth registration, জন্ম নিবন্ধন ফরম ২০২২, জন্ম নিবন্ধন যাচাই, সংশোধন ও অনলাইন কপি ডাউনলোড ২০২২, জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড ২০২২, অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম ২০২২, জন্ম নিবন্ধন যাচাই, অনলাইন আবেদন, সংশোধন, নিবন্ধন ফরম, Online Birth Certificate Registration, Checking, Correction