অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বললেন ভারতের অর্থনৈতিক বাজেটের স্বপ্ন সম্পর্কে

অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বললেন ভারতের অর্থনৈতিক বাজেটের স্বপ্ন সম্পর্কে

করোনা মোকাবেলাতে ভারত সহ গোটা বিশ্ব অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পিছিয়ে রয়েছে। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ভারত কতটা উন্নতির ছুঁয়া পাচ্ছে তা প্রশ্ন সবার। দিন দিন ভারতে বাজারে সব কিছু দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের অর্থনীতির এরকম বেহাল দশা সবাই হয়তো আচ করতে পাচ্ছে।  করোনা সময়কাল শুরু হওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন ২০২৪-২৫  সালের মধ্যে ভারতের অর্থনীতির বাজেট হবে প্রায়  ৫ ট্রিলিয়ন ডলার। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন অর্থনীতি সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, "ভারত তার অর্থনীতির বাজেটের উপর আমাদের সরকার আসার পর থেকেই বহাল ছিল এবং থাকবে,  উদ্দেশ্যের জন্য যে বাজেট তৈরি করেছিলাম আমরা সেই হিসাবেই আমরা অবহত আছি। ২০২২-২৩ সালের  বাজেট করণাকালীনেও তা পিছিয়ে যাইনি।"  অর্থমন্ত্রীকে এই বলে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে উনি বর্তমানে অর্থনীতির বাজেটের উপর নির্ভর করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অর্থনীতির বাজেটের উপর ২০২৪-২৫ সালে  ৫  ট্রিলিয়ন বাজেট হবে যে তিনি বললেন এ বিষয়ে আপনি কি মনে করেন। আমরা কি সে স্থান  অর্জন করতে পারি ? তিনি আরো বলেন হ্যা আজ থেকে ৮-৯ বছর আগের ভারতের অর্থনৈতিক বাজেট অপেক্ষায় বর্তমান বাজেট অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। এটা সত্যি কথা মহামারীর কারণে আমাদের বাজেট কিছুটা নিচে টেনেছে। আমরা ২০২৪-২৫  সালের মধ্যে  ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি আমাদের বাজেট হতে পারতো। কিন্তু একটা কথা না  বললেই হয় না। বছর আগের তুলনা করলে  ভারত বর্তমানে অনেক ভালো অবস্থানে আছে। জিপিডি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, এফডিআই এবং আমাদের বিনিয়োগের কোনো বিশেষ স্তর বলতে কিছুই ছিল না। আজ থেকে ৮-৯ বছর আগের থেকে বর্তমানে করোনা মহামারী হয়েও আমাদের বাজেট ২ .৫  গুণ আগের থেকে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।  আজকে আমাদের অর্থনীতির বাজেট ২.৩ ট্রিলিয়ন ডলারের। কিন্তু আপনি যদি চিন্তা করেন ক্রমাগত অর্থনীতিতে অসহায় বার্তা এভাবে চলতে থাকলে আমাদের অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়বে। আমরা কিন্তু এখন জনগণের প্রতি ট্যাক্স এবং বিভিন্ন নিয়ম শৃঙ্খলার ওপর খুব বেশি হস্তক্ষেপ  করছি না। করোনার মহামারী যেকোনো সময় দেশের যেকোনো রূপ পাল্টে দিতে পারে।

 যুক্তরাষ্ট্র সহ বিভিন্ন ধনী দেশ গুলো এই মহামারীতে তাদের অর্থনীতির বাজেট হিমশিম খাচ্ছে। আর ঐদিকে আমাদের করোনা পরিস্তিতিতে আমাদের অবস্থান সবচেয়ে ভয়াবহ। যদি  করোনা পরিস্তিতি স্থিতিশীল আসে তাহলে আমরা অবশই ৫  ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি তে যেতে পারবো। কিন্তু মহামারীর প্রভাব আমাদের ২০২৪ -২৫ সালের মধ্যে কি আমাদের লক্ষ্য মাত্রায় পোঁছাতে দিবে কিনা তা বলা যায় না।  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২৪-২৫  সালের ৫ ট্রিলিয়ন ডলার ঘোষনার মাত্র তিন দিন আগে কেন্দ্রীয় সরকার থাকা ডক্টর ভি. অনন্ত নাগেশ্বরনকে প্রধানমন্ত্রী  প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। তিনি পদে আসার পর থেকেই ভারতের প্রধান মন্ত্রী অর্থনৈতিক ব্যাপারে নিশ্চিন্ত হন। ভারতের সাংবাদিকদের অর্থনৈতিক বাজেটের প্রশ্নে তিনি সম্মুর্খীন হলে তিনি বলেন "আমরা আশা প্রকাশ করি যে ভারতের ৮ - ৯  শতাংশ বৃদ্ধির হার অব্যাহত থাকলে আমরা অবশই ২০২৬ সালের মধ্যে লক্ষ্যে পোঁছাতে পারবো। তাছাড়া আমি ব্যক্তিগত ভাবে বলছি যদি এর মধ্যে ৫  বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত না হলেও ২০২৬-২৭ এর মধ্যে আমরা অবশই বাস্তবায়ন করতে পারবো "।

তবে যেই যা বলুক করোনা পরিস্তিতিতে ভারত এখনও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পিছিয়ে আছে। তবে ভারতের দেশেই  ফ্রীলান্সাররা এবং রেমিটেন্স যুদ্ধারা যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তা বলায় যাচ্ছে ভারত অতি শিগ্রই ৫ বিলিয়ন ডলারের বাজেটে পরিণত হবে এবং ২০৩০ সাল লাগাদ ভারত বিশ্বের বৃহত্তম  বাজেটে পরিণত হবে। সেই লক্ষে বাস্তবায়ন করতে ভারত সরকারকে জনগণের সাথে একজোটে কাজ করতে হবে এবং করোনা পরিস্তিতির মোকাবেলা আরো শক্তিশালী করতে হবে তাতেই ভারত উন্নতি করতে পারবে।