মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ

মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ

জাপানের জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি, আইএইচআই কর্পোরেশন এবং জাপানিজ ট্রেডিং হাউস সুমিতোমো কর্পোরেশন কক্সবাজারের দক্ষিণ পূর্ব উপকূলীয় শহর মহেশখালীর মামাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছেন। গত সোমবার এক সংবাদ সম্মলনের মাধ্যমে জলবায়ু ও পরিবেশ বিভাগের গবেষক বলেছেন জাপানের বাংলাদেশে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ বন্ধ করা উচিত। কারণ এর উৎপন্ন ধুয়া ও রাসায়নিক বজ্র পদার্থ পরিবেশর বৈশ্বিক উষ্ণতাকে পরিবর্তন করবে এবং ভূমিকে উর্বরহীন করবে। এতে  নিম্নভূমির এই ক্ষুদ্র দেশটিকে জলবায়ু পরিবর্তনের আশংখা ঝুঁকিতে ফেলবে। গবেষকরা আরো বলেন জাপান "গ্রুপ অফ সেভেন" দেশ গুলোর সাথে যে চুক্তি করেছিল পরিবেশ রক্ষায় তা বাংলাদেশের মহেশখালীতে মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র তা রাখা হয়নি। ২০২১ সালে শেষ নাগাদ কয়লা শক্তির জন্য তহবিল বন্ধ  করেন "গ্রুপ অফ সেভেন" জাপানকে তাদের নিয়ম নীতি  ভঙ্গের কারণে। বিদ্যুৎ বা তাপের জন্য পোড়ানোর  ফলে নির্গমনকে ক্যাপচার করার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করা না হলে কয়লাকে নিরবচ্ছিন্ন বলে মনে করা হয়। জাপান বিদ্যুৎ উৎপাদনে যা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেননি ।  

জাপান তাদের নিয়ম ভঙ্গের কারণে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে এই মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থানীয়দের জীবিকাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে। সমুদ্র সৈকতে জলবায়ুর প্রভাব সাথে সাথে হয় বলে সেখানে দ্রুত বৃহত্তর জলবায়ু সমস্যা সৃষ্টি হবে। মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিযুক্ত কর্মকর্তারা বলেন তারা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জীবাশ্ম-জ্বালানি তৈরী করছেন এখানে তেমন কোনো পরিবেশের উপর প্রভাব বিস্তার সম্ভব নয়। তাছাড়া নেতিবাচক পরিণতি পরিবেশের উপর কমাতে সরকার ব্যাপক ভাবে ব্যবস্তা নিচ্ছেন জাপানের সাথে এক হয়ে। কিছু দিন আগে জাপানের মধ্যে ছাত্র আন্দোলন হয় সেখানে এক ছাত্র ইয়ামামোতো আন্দোলনকারী সাংবাদিকদের বলেন," এশীয় দেশগুলিকে উন্নয়ন সহায়তা বলে সহযুগিতা দিচ্ছে কিন্তু এই অবকাঠামোর জন্য পরিবেশ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে অথচ আন্তর্জাতিক ভাবে এদেরকে সমর্থন দেওয়া হচ্ছে। জাপানের বিজ্ঞানীরা বলেন," সুমিতোমো এবং জাইকা কাজ বন্ধ উচিত, বিশ্ব উষ্ণায়নকে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য অবশই জাপানের নোংরা বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে। যদি বন্ধ না করা হয় খুব শিগ্রই ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উদ্বে আবহাওয়া পরিবর্তন হয়ে যাবে, যার বরপাই সমগ্র বিশ্বকে দিতে হবে। পরিবেশকে উন্নত রাখতে অবশই উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে যতই ব্যায় বহুল হোক না কেন।" ইয়ামামোতো তার সোশ্যাল মিডিয়াতে বলেন, "মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বিশ্বের মানুষের উপর ব্যাপক প্রাকৃতিক দুর্যোক ভাবে হানা দিবে, বাংলাদেশ তার মূল কাঠামো হবে, সেখানে তাদের প্রচুর মানুষ তাদের ঘর বাড়ি হারাবে। বিষাক্ত বর্জ্যের কারণে প্রায় বছরে ১০ হাজার মানুষ মারা যাবে।" জাপানের ছাত্ররা আরো বলছেন আরেক ভিন্ন কথা বৈশ্বিক প্রচেষ্টার সাথে বিরোধপূর্ণ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ কেন্দ্র জলবায়ু পরিবর্তন রোধে, ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষ অযুক্তিক। এই ব্যাপারে বাংলাদেশের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের কারিগরি শাখার প্রধান বলেন," বাংলাদেশে ৮% বিদ্যুৎ সরবরাহ আসে কয়লা থেকে। গত বছর দূষণকারী জ্বালানীর জন্য ১৭ টি কয়লা চালিত প্ল্যান্টের মধ্যে ৯ টি বাতিল করে ছিল বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু এবার বাংলাদেশের পরিবেশ উন্নয়ন গবেষণা থেকে কোনো নোটিশ আসে নি যে তারা জাপানের সাথে কন্ট্রাক বন্ধ করবে। তিনি ইতিমধ্যেই থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে বলে দিয়েছে যে তারা এটি মধ্যেই বহু প্ল্যান্ট বাতিল করে দিয়েছিলো পরিবেশ বান্ধব না হওয়ায়। তিনি আরো বলেন, আর বর্তমান কাজটি একটি চলমান প্রকল্প যেকোনো শেষ হয়নি যে আমরা একনি তাদের বিচারের আওতায় আনবো। ২০২৪ সালের ভিতরে এই প্লান্টের কাজ শেষ হবে। পরিবেশের ক্ষতি এড়াতে তারা নির্গমন সীমিত করবে, তারা কথা দিয়েছে তারা যতটুকু প্রযুক্তি ব্যবহার করা দরকার ততটুকুই করবে, অতিরিক্ত পানির অপচয় তারা করবে না আর অ্যাইস ফ্লাশ রোধ করতে এটি মধ্যেই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করে দিয়েছে। দেশ দ্রুত উন্নয়ন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে বিদ্যুৎ এর চাহিদাও দিন দিন বিধি পাচ্ছে। প্রকল্পটি নেওয়ার প্রধান কারণ হলো ২০৩০ সালে বাংলাদেশের বিদ্যুতে চাহিদা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।